- অনলাইন প্রতিবেদক
- ১৮ মে ২০২২, ১৮:১০
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের আয়-ব্যয় তদন্তের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘স্যাটেলাইট পরিচালনার ক্ষেত্রে অভিজ্ঞদের নিয়োগ না দিয়ে দলবাজ কিংবা শীর্ষ নেতৃত্বের স্বজনতোষণের ফলে সরকার আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় ফেল করেছে। যা দেশকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এ বিষয়ে তদন্ত হওয়া দরকার।’
বুধবার রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এ দাবি জানান।
সোমবার রাতে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
ফখরুল জানান, ‘সভায় স্যাটেলাইট-১ গত ৪ বছরেও কোনো অর্থ আয় করতে না পারার বিষয়ে আলোচনা হয়। সভা মনে করে, কেবলমাত্র ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিল ও উন্নয়নের ডামাডোল বাজাতেই এ ধরনের অপরিণামদর্শী প্রকল্প গ্রহণ করে দেশকে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন করা হয়েছে। স্যাটেলাইট-১ তৈরি এবং উৎক্ষেপণে বাংলাদেশের প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছিল।’
বক্তব্যে ফখরুল বলেন, ‘আমাদের সকলের মনে আছে, উৎক্ষেপণের সময় বলা হয়েছিল, পরবর্তী সাত বছরের মধ্যে অর্থাৎ ২০২৫ সালের মধ্যে এই অর্থ তুলে আনা সম্ভব হবে। কিন্তু স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণের চার বছর পূর্তিতে এসে পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে ‘চার বছরের মধ্যে প্রথম তিন বছরে আমরা নানা কারণে কোনো আয় করতে পারিনি। কিন্তু আস্তে আস্তে আমরা আয় করতে শুরু করছি।’
সম্প্রতি বিটিআরসি’র এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির বিষয়ে ফখরুল বলেন, ‘সাম্প্রতিক প্রেস স্টেটমেন্ট এ বলা হয়েছে, গত তিন বছরে ৩০০ কোটি টাকা আয় হয়েছে ডোমেস্টিক সোর্স থেকে। সব চেয়ে হতাশার কথা হচ্ছে, তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে আন্তর্জাতিক বাজারটি ধরতে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ। এজন্য এখন তারা দেশের ভেতরে নতুন বাজার মানে কাজের ক্ষেত্র খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে’।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘স্যাটেলাইটের যখন এই হতাশার চিত্র তখন নতুন করে আর একটি স্যাটেলাইট প্রকল্প গ্রহণের পাঁয়তারা চলছে। শ্বেত-হস্তী রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পটি আর্থিকভাবে অলাভজনক ও বিপদজনক হওয়া সত্ত্বেও নতুন করে দক্ষিণবঙ্গে আর একটি আণবিক প্রকল্প গ্রহণের প্রাথমিক কাজ হাতে নেয়া হয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।