বগুড়ায় নতুন আক্রান্ত ১৮৩, হাসপাতালে ১৭ জনের মৃত্যু

Daily Nayadiganta


বগুড়ায় করোনায় নতুন করে ১৮৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে আক্রান্তের হার ৩৭ দশমিক ৫৭ ভাগ। একইসাথে গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার তিনটি করোনা হাপসাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ বলেছে, মৃত ১৭ জনের মধ্যে সাতজন করোনা পজিটিভ ও ১০ জন করোনার উপসর্গ ছিল।

হাসপাতালে শয্যা সঙ্কট
এদিকে দিন দিন করোনা বা কোভিড রোগী আশঙ্কাজনকহারে বৃদ্ধির কারণে সরকারি বগুড়ার হাসপাতালে বেড (শয্যা) সঙ্কট দেখা দিয়েছে। করোনা বিশেষায়িত ২৫০ বেডের সরকারি মোহাম্মাদ আলী হাপসাতালে শনিবার পর্যন্ত ২০টি আইসিইউ বেডসহ ২৭৮ জন কোভিড রোগী ভর্তি ছিল। তাই ভর্তি হতে না পেরে নতুন রোগী নিয়ে ফিরে যাচ্ছেন স্বজনরা।

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা: এ টি এম নুরুজ্জামান বলেছেন, বেড খালি না হলে নতুন রোগী ভর্তির কোনো সুযোগ নেই। ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত রোগী নিয়ে সেবা দিতে হিমশিম অবস্থা। তাই বেড বাড়ানোর কোনো অবস্থা নেই। এ হাসপাতালে অন্য কোনো বিভাগে রোগী ভর্তি নেই। তবে আউটডোরে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

অপরদিকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের ৫০০ বেডের অর্ধেকই এখন করোনা ইউনিটে ব্যবহার করা হচ্ছে। সেখানেও শনিবার পর্যন্ত আইসিইউ ২০ বেডসহ ২০০ রোগী ভর্তি ছিল। কিছু বেড থাকলেও সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া বেসরকারি টিএমএসএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ২০ বেড করোনা ইউনিটে থাকলেও রোগী রয়েছেন প্রায় ১০০ জন। ব্যয়বহুল চিকিৎসার কারণে সাধারণ রোগীরা সেখানে যান না।

এমন অবস্থায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ বুগড়া ডায়বেটিক হাসপাতাল ও মিশন হাসপাতালে করোনা রোগী ভর্তির চেষ্টা করছেন।

শনিবার করোনায় মৃত সাতজনের মধ্যে তিনজন বগুড়া জেলার ও বাকি চারজন অন্য জেলার। মৃত ব্যক্তিরা হলেন- বগুড়া সদরের মোজাম্মেল (৭৫), ধুনটের সহুরা বেগম (৬৫), শিবগঞ্জের মহিউদ্দীন (৭২), সিরাজগঞ্জের জিয়াউল হক(৬৫), নওগাঁর বজলুর রশিদ(৫৩), গাইবান্ধার মুরাদ(৪৫) এবং নাটোর মিনা খানম(৫৫)। তাদের মধ্যে মোজাম্মেল, সহুরা ও মহিউদ্দীন বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে, জিয়াউল, বজলুর ও মুরাদ সরকারি মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ও মিনা খানম টিএমএসএস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা: মোস্তাফিজুর রহমান রোববার অনলাইন ব্রিফিংয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে সাতজনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছেন। তিনি জানান, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় জেলায় আরো ৪৮৭টি নমুনা পরীক্ষায় ১৮৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে সদরে ১০১ জন, শেরপুরে ২২ জন, সারিয়াকান্দিতে ১১ জন, নন্দীগ্রামে ১০ জন, সোনাতলায় ৮ জন, গাবতলীতে ৮ জন, শাজাহানপুরের ৬ জন, ধুনটে ৫ জন, দুপচাঁচিয়ায় ৪ জন, শিবগঞ্জে ৪ জন ও কাহালুতে ৪ জন।