ফরিদপুরে দুই ভাইকে হত্যায় হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে: হেফাজত

হেফাজতে ইসলামের নেতারা আজ বৃহস্পতিবার ফরিদপুরে পিটিয়ে হত্যার শিকার নির্মাণশ্রমিক দুই ভাইয়ের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন

ফরিদপুরে পিটিয়ে হত্যার শিকার নির্মাণশ্রমিক দুই ভাইয়ের পরিবারের সঙ্গে আজ বৃহস্পতিবার সাক্ষাৎ করেছে হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব শায়েখ সাজেদুর রহমানের নেতৃত্বে সংগঠনের একটি প্রতিনিধিদল। তারা নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানায় ও আর্থিক সহযোগিতা করে বলে হেফাজতের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

নিহত ব্যক্তিদের মা-বাবার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে হেফাজতের মহাসচিব সাজিদুর রহমান উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ফরিদপুরে দুই শ্রমিককে বিনা দোষে ও বিনা কারণে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এটি অত্যন্ত বর্বরোচিত ও ন্যক্কারজনক ঘটনা। তিনি বলেন, ‘আমরা সংক্ষুব্ধ ও স্তম্ভিত। আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে।’

হেফাজতের মহাসচিব বলেন, ‘আমরা এ ঘটনার বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজে দেখেছি। এই জঘন্য ঘটনার সঙ্গে এই এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্য সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন। তাঁদের এখন পর্যন্ত কেন গ্রেপ্তার করা হলো না? তাঁদের অতি দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে। সুষ্ঠু বিচার কার্যকর করে তাঁদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।’ তিনি বলেন, ফরিদপুরের ঘটনায় দেশ ও জাতির মনে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। একটি স্বাধীন ও সভ্য দেশে এমন ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া না হলে হেফাজতে ইসলাম কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবে।

১৮ এপ্রিল রাতের ওই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে ২৩ এপ্রিল স্থানীয় তৌহিদি জনতার মানববন্ধনে পুলিশ গুলি চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেন হেফাজতের মহাসচিব। তিনি বলেন, প্রতিবাদ জানানো দেশের সাধারণ নাগরিকদের সাংবিধানিক অধিকার। জনগণের সাংবিধানিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করা থেকে বিরত থাকতে পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন হেফাজতের নেতা মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, হেলাল উদ্দিন, আহমদ আলী কাসেমী, মনির হোসাইন কাসেমী, আজিজুল হক ইসলামাবাদী, আতাউল্লাহ আমিন, হাবিবুল্লাহ মাহমুদ কাসেমী, কিফায়াতুল্লাহ আজহারী প্রমুখ।

prothom alo