- ২৪ ডেস্ক
রাষ্ট্রচিন্তক ও কবি ফরহাদ মজহার মন্তব্য করেছেন, দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ ভারতের কাছেই থেকে যাবে। শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এই কথা বলেন।

তিনি বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর ছাত্র-তরুণদের বিপ্লবী সরকার গঠন না করা একটি ভুল ছিল। তার মতে, এই ভুলের কারণেই নির্বাচনকে সব সমস্যার সমাধান হিসেবে দেখার একটি ভ্রান্ত ধারণা তৈরি হয়েছে। ফরহাদ মজহার বলেন, ‘নির্বাচন হলে আন্তর্জাতিক মহল হাততালি দেবে, ক্ষমতা থাকবে ভারতের হাতে।’ তরুণদের বিপ্লবী আকাঙ্ক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি আরও বলেন, ‘তরুণরা এখনো পর্যন্ত একটি পত্রিকাও বের করতে পারেনি। কীভাবে তারা বিপ্লব করবে?’
বর্তমান সরকারকে ‘অবৈধ’ আখ্যা দিয়ে ফরহাদ মজহার বলেন, এই সরকারের ঐকমত্য বা অন্য কোনো কমিশন গঠনের এখতিয়ার নেই। তিনি সংবিধান প্রসঙ্গে বলেন, ‘শেখ হাসিনার সংবিধানে যদি আপনি শপথ করেন, তাহলে এটার রক্ষা আপনাকে করতে হবে। এটাকে আপনি পরিবর্তন করতে পারবেন না। সংস্কার করতে পারবেন না।’ তিনি প্রশ্ন তোলেন, সংবিধান বহাল রাখলে ঐকমত্য কমিশনের প্রয়োজন কী? আর পরিবর্তন করতে চাইলে তা স্পষ্টভাবে ঘোষণা করা উচিত।
রাষ্ট্রক্ষমতার বিকল্প হিসেবে ‘গণ সার্বভৌমত্ব’ প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দেন এই রাষ্ট্রচিন্তক। তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পর জনগণের হাতে ক্ষমতা তুলে দিতে হয়। তার মতে, রাষ্ট্রের ক্ষমতা মানে আমলা, সেনাবাহিনী বা পুলিশের ক্ষমতা। কিন্তু জনগণ এখন নিজেদের হাতে ক্ষমতা চায়, যাতে তারা সরাসরি রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণে ও বাস্তবায়নে অংশ নিতে পারে।









