সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০ জুন ২২
প্রস্তাবিত বাজেটের বিষয়ে মোটা দাগে চারটি সুপারিশ তুলে ধরেছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)। সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন এসব সুপারিশ তুলে ধরেন।
শুক্রবার রাজধানীর লেক শোর হোটেলে জাতীয় বাজেট ২০২২-২৩ পর্যালোচনা তুলে ধরেন তিনি। সুপারিশগুলো হলো-
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর থেকে কর তুলে দেওয়া কিংবা কর কমিয়ে ফেলার সুপারিশ, আমদানির ক্ষেত্রে এবং দেশের ভেতরের পর্যায়েও।
মধ্যম ও নিম্নমধ্যম আয়ের মানুষকে করের বোঝা থেকে কিছুটা অব্যাহতি দেওয়া।
ভর্তুকির জন্য পর্যাপ্ত অর্থ রাখা, যাতে গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখা যায় এবং কিছু দিনের জন্য সেখানে ভর্তুকি চালিয়ে যাওয়া।
জনগণের জন্য বিশেষ করে দরিদ্র জনগণের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর প্রসার, এর আওতা বাড়ানো এবং পরিমাণ বাড়ানো।
প্রস্তাবিত বাজেটে পাচার করা টাকা দেশে আনার যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে সিপিডি তা নৈতিকতা পরিপন্থি বলে মনে করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পাচার করা টাকা কর দিয়ে দেশে আনার সুযোগ দেয়া হয়েছে। এতে সৎ করদাতাদের নিরুৎসাহিত করা হয়, এটা অনৈতিক। এটা থেকে কোনো অর্থ আসবে না। কারণ যারা দেশের বাইরে টাকা পাচার করে তারা দেশে ফিরে আসার জন্য টাকা পাচার করে না।
এ সময় শুধু জিডিপি প্রবৃদ্ধির উপর নজর না দিয়ে মূল্যস্ফীতির চাপের পরিপ্রেক্ষিতে জনগণকে সুরক্ষা দেওয়া এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষার উপর জোর দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সিপিডি।
ড. ফাহমিদা বলেন, আমরা শুধু জিডিপি প্রবৃদ্ধির ওপর নজর না দিয়ে আমাদের বর্তমান অর্থনীতি ও মূল্যস্ফীতির যে চাপ, তার পরিপ্রেক্ষিতে যারা দরিদ্র ও নিম্নআয়ের জনগণ আছেন, তাদের কীভাবে সুরক্ষা দেওয়া যায় এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা কীভাবে রক্ষা করা যায় সেগুলোর ওপর জোর দিতে বলেছিলাম। সেটি করতে গিয়ে যা প্রয়োজন আর্থিক বা মুদ্রা পদক্ষেপ, সেটির মধ্যে সমন্বয় করা খুবই প্রয়োজন। আমরা প্রায়শই দেখি, এগুলোর মধ্যে কোনো সমন্বয় থাকে না।
এ সময় সিপিডির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো মুনতাসির কামাল, সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান, গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তোফিকুল ইসলাম খান এবং রিসার্চ ফেলো সৈয়দ ইউসুফ সাদাত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।