ঢাকা
দেশের একাধিক গণমাধ্যমে সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যের এক ক্রেতার কাছ থেকে সম্প্রতি বিশেষ এক ধারাযুক্ত ঋণপত্র পেয়েছেন বাংলাদেশের এক ব্যবসায়ী। সেই ধারায় বলা হয়েছে, জাতিসংঘ, ইইউ, যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও সংস্থার আরোপিত নিষেধাজ্ঞার কারণে এই ঋণপত্রের লেনদেনের অর্থ পরিশোধ না–ও করতে পারে ক্রেতা প্রতিষ্ঠান। বিলম্বও হতে পারে। সে জন্য তাদের দায়ী করা যাবে না।
বিষয়টি নিয়ে আজ বুধবার তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ আনুষ্ঠানিকভাবে বলেছে, গণমাধ্যমে অনুমাননির্ভর প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। কিছু কাহিনি ছাড়া এই প্রতিবেদনের পক্ষে প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
বিজিএমইএ বলেছে, ‘প্রতিটি ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব নীতিমালা থাকতেই পারে। এ ব্যাপারে আমরা শ্রদ্ধাশীল। তবে একটি ঋণপত্রের কপি কখনোই একটি দেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার আনুষ্ঠানিক উপকরণ হতে পারে না। এমনকি কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এ ধরনের স্পর্শকাতর ঘোষণা দেওয়ার এখতিয়ার নেই।’ এ ছাড়া বিজিএমইএ এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে সদস্য অথবা সহযোগী সদস্যদের কাছ থেকে তথ্য পায়নি। এমনকি জিজ্ঞাসারও সম্মুখীন হয়নি। এ ব্যাপারে কেউ উদ্বেগও প্রকাশ করেনি।
গত ১০ ডিসেম্বর জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে র্যাব এবং এই বাহিনীর সাবেক ও বর্তমান উচ্চপদস্থ সাত কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর ও রাজস্ব বিভাগ পৃথক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। বিষয়টি উল্লেখ করে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক প্রতিষ্ঠান ও সাত ব্যক্তির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে সরাসরি প্রভাব পড়তে পারে, এমন আশঙ্কার কথা সেই সময় জানিয়েছিলেন পোশাকশিল্পের ব্যবসায়ীরা। এখন সে আশঙ্কাই বাস্তবে রূপ নিতে শুরু করেছে। আন্তর্জাতিক ব্যবসায় ব্যবহৃত হওয়া ঋণপত্রে যুক্ত হতে শুরু করেছে বিশেষ ধারা।
বিজিএমইএর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, গত ৩১ জানুয়ারি ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস গণমাধ্যমের জন্য একটি বিবৃতি জারি করে।
সেখানে প্রভাবশালী মার্কিন কংগ্রেসম্যান ও চেয়ার অব দ্য হাউস কমিটি অন অ্যাফেয়ার্সের জর্জ ডব্লিউ মিকসের উদ্ধৃতি দেওয়া হয়েছে, ‘আমরা নিশ্চিত করছি, আমরা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নই (যেকোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ) এবং আমরা এখনো গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করছি।’