‘ডামি সংসদ’ বাতিল করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা-কর্মীরা। তবে তাঁরা সেই বাধা অতিক্রম করে মিছিল চালিয়ে গেছেন।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর তোপখানা রোড এলাকায় ওই মিছিল করা হয়।
মিছিলের আগে ‘ডামি সংসদ’ বাতিল করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা-কর্মীরা। বিক্ষোভ শেষে সরকারবিরোধী স্লোগান দিতে দিতে মিছিল শুরু হয়। প্রেসক্লাবের সামনে থেকে শুরু হওয়া ওই মিছিল ইউটার্ন নিয়ে পুরানা পল্টনের দিকে যাওয়ার সময়ই পুলিশ সদস্যরা মঞ্চের নেতাদের মিছিলে বাধা দেন।
মিছিলের আগে অনুষ্ঠিত সমাবেশে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এই সরকারের সঙ্গে কোনো ভালো মানুষ নেই। যে প্রতিবাদের মিছিলগুলো শুরু হয়েছে, এই মিছিল একদিন জনবিস্ফোরণে পরিণত হবে। সরকার যতই বড়াই করুক, পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘এই “ডামি” সংসদ দিয়ে আগামী পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকা যাবে না। যদি মনে করেন ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো ভোট ভোট খেলা করে ক্ষমতায় থাকবেন, সেটা সম্ভব না। মানুষ নির্বাচন যেমন গ্রহণ করেনি, এই সংসদকেও মানুষ কোনোভাবেই গ্রহণ করবে না। সরকারকে কোনোভাবেই ক্ষমতার বৈধতা দেওয়া যাবে না।’
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, সরকার মুখে যা বলে, অন্তরে আরেকটা জিনিস ধারণ করে। মুখে বলছে, বিরোধী দল শোক করছে, কালো পতাকা মিছিল করছে। আসলে নিজেরা ভয়ে কাঁপছে। বিনা ভোটের ‘ডামি’ এই সংসদ কখন ভেঙে যায়, কখন তাদের ক্ষমতার মসনদ উল্টে যায়—এ নিয়ে তারা শঙ্কিত। এ কারণেই শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা করছে।
সমাবেশে ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্যসচিব হাবিবুর রহমান রিজুর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন প্রমুখ।
সমাবেশে বিএনপিসহ যুগপৎ আন্দোলনের বিভিন্ন দলের কালো পতাকা মিছিলে পুলিশের বাধা দেওয়া, বিএনপির স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য মঈন খানকে আটকের নিন্দা জানানো হয়।