ঢাকা
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলের উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের বলেছেন, পাচার হওয়া টাকা ফিরিয়ে এনে ভোগের বিধান অনৈতিক। পাচার হওয়া টাকা ফিরিয়ে আনার বৈধতা দেওয়া মানেই পাচারকে উৎসাহিত করা। এতে টাকা পাচার ও দুর্নীতি বেড়ে যাবে।
আজ রাজধানীতে জাতীয় পার্টিতে এক যোগদান অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন কাদের। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠান হয়। আজ মেজর (অব.) গাজী মো. মাকসুদ উর রহীম জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন।
৯ জুন ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় দেশ থেকে বিভিন্ন উপায়ে পাচার হয়ে যাওয়া অর্থ বৈধ করার প্রস্তাব দেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, কর দিয়ে এসব অর্থ বৈধ হয়ে গেলে এর বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারবে না আয়কর কর্তৃপক্ষসহ যেকোনো কর্তৃপক্ষ।
তবে অর্থমন্ত্রীর এ ঘোষণায় নানা মহল থেকে সমালোচনা চলছে। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) বলেছে, পাচার হওয়া টাকা দেশে আনার বৈধতা দিলে যাঁরা নিয়মিত কর দেন, তাঁরা হতাশ হবেন। যাঁরা সৎভাবে ব্যবসা করছেন, তাঁরা কর দিতে নিরুৎসাহিত হবেন।
তবে বাজেট-পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে অর্থ পাচার হয়েছে। আর এ কারণেই তা ফেরত আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইন্দোনেশিয়াসহ অনেক দেশ এমন উদ্যোগ নিয়ে সফলও হয়েছে।
জি এম কাদের বলেন, ‘যারা দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে, তাদের বিচারের মুখোমুখি করা উচিত। আমরা দীর্ঘদিন ধরে পাচারকারীদের তালিকা প্রকাশ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলাম। আমরা এখনো চাই পাচারকারীদের তালিকা প্রকাশ করে তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হোক।’
আজ জাতীয় পার্টিতে এই যোগদানের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, দপ্তর সম্পাদক-২ এম এ রাজ্জাক খান, কেন্দ্রীয় সদস্য মিথিলা রওয়াজা।