
বাংলাদেশের বিপক্ষে পাকিস্তান আগে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ২০১ রান তুলে। পাহাড়সম লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে ৩৭ রানে হেরে গেছে টাইগাররা।
বুধবার আগে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তানকে শুরুতেই কাঁপিয়ে দেন শরিফুল ইসলাম ও শেখ মেহেদী হাসান। ১.২ ওভারে মাত্র ৫ রানে স্বাগতিকদের ২ উইকেট তুলে নেন তারা। ফেরান স্বাগতিক দুই ওপেনারকেই।
ইনিংসের তৃতীয় বলেই সাইম আইয়ুবকে ফেরান শেখ মেহেদী। নিজের বলে নিজেই ক্যাচ নেন তিনি। গোল্ডেন ডাক মেরে আউট হন সাইম এরপর আঘাত করেন শরিফুল ইসলাম।
দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলেই ফখর জামানকে (১) এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন তিনি। যা তার ৫০তম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি উইকেট। চতুর্থ বাংলাদেশী হিসেবে ৪৪ ইনিংসে এই মাইলফলকে পৌঁছান এই পেসার।
তার আগে এই কীর্তি আছে কেবল চারজনের। ১২৬ ইনিংসে ১৪৯ উইকেট নিয়ে সবার ওপরে সাকিব আল হাসান। মোস্তাফিজুর রহমান ১০৬ ইনিংসে ১৩৪ ও তাসকিন আহমেদ ৭১ ইনিংসে নিয়েছেন ৮২ উইকেট।
এদিকে ৫ রানে ২ উইকেট হারানো পাকিস্তান এরপর ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে মোহাম্মদ হারিসের ব্যাটে। পাওয়ায় প্লেতে আগা সালমানকে নিয়ে ৫২ রান তুলে সেই খানিকটা চাপও তৈরী করেন হারিস।
তবে পাওয়ার প্লে শেষ হতেই তাকে ফেরান তানজিম সাকিব। তানজিদ তামিমকে ক্যাচ দিয়ে ১৮ বলে ৩১ রানে ফেরেন হারিস। ৬.৩ ওভারে ৫৩ রানে ৩ উইকেট হারায় পাকিস্তান।
তবে থামেননি সালমান। ঝড় তুলেন ব্যাট হাতে। ২৯ বলে তুলে নেন ফিফটি। তবে এরপর আর বেশিদূর আগাতে পারেননি। ৩৪ বলে ৫৬ করে থামতে হয় তাকে হাসান মাহমুদের শিকার হয়ে।
ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলে আউট হবার আগে মোহাম্মদ নাওয়াজের সাথে যোগ করেন ৩৪ বলে ৬৫ রান। অবশ্য খানিকটা পর ফেরেন নাওয়াজও। ফেরার আগে ২২ বলে ৪৪ রানের ঝড়ো ইনিংস উপহার দেন তিনি।
এরপর খুশদিল শাহ (১০ বলে ৫) সুবিধা করতে না পারলেও ঝড় তোলেন শাদাব খান। ২৫ বলে ৪৮* রানের ঝড়ো ইনিংসে দলকে দুই শ’ রানের ঠিকানায় নিয়ে যান তিনি। ফাহিম আশরাফ অপরাজিত থাকেন ৬ বলে ১১ করে।
বল হাতে শরিফুল ৩ ওভারে ৩২ রানে নেন ২ উইকেট। অন্যদিকে ৪ ওভারে ৫৫ রান দিয়ে মাত্র ১ উইকেট পান রিশাদ। এটি টি–টোয়েন্টিতে তার সবচেয়ে খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ড।
২০২ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দারুণ করেছিলেন তানজিদ তামিম। আরব আমিরাতের বিপক্ষের ছন্দটা টেনে এনেছিলেন লাহোরেও। চার-ছক্কায় মাতিয়ে তুলছিলেন। তবে ইনিংটা বড় হয়নি, ১৭ বলে ৩১ রানে থামতে হলো তাকে।
তামিমকে ফেরান হাসান আলি। এর আগে আরেক ওপেনার পারভেজ ইমনকেও ফেরান এই পেসার। ৫ বলে ৪ করে ফেরেন ইমন। ৪ ওভারে ৩৭ রানে দুই ওপেনারকে হারায় বাংলাদেশ। এর পর সর্বোচ্চ ৪৮ রান করেন লিটন। আর কেউ তেমন রান করতে না পারায় হেরে গেছে বাংলাদেশ।