পাউন্ডের বিপরীতে টাকার বিনিময় হার রেকর্ড ছাড়িয়ে, রেমিটেন্স পাঠানোর হিড়িক

সম্প্রতি টাকার বিনিময় হার বেড়েছে পাউন্ডের বিপরীতে, যা পূর্বের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। বর্তমানে বৃটিশ ১ পাউন্ড এর বিপরীতে বাংলাদেশি ১৫০ থেকে ১৫১ টাকা মিলছে। সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকগুলোর বিনিময় পলিসির কারণে ১ থেকে ২ টাকা কম বেশি হয়। ২০১২/১৩ সালে এরকম হঠাৎ আকস্মিকহারে পাউন্ডের বিপরীতে টাকার বিনিময় হার বেড়েছিল। তখন ১ পাউন্ডে বাংলাদেশে ১৩৯-১৪০ টাকা পর্যন্ত ছিল তবে এ অবস্থা বেশিদিন টিকেনি।

বর্তমানে টাকার বিনিময় হার বেড়ে যাওয়ায় যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশে টাকা পাঠানোর পরিমাণ বেড়ে গেছে । বিশেষ করে লন্ডনে বাঙালি অধ্যুষিত এলাকা গলতে ব্যাঙের ছাতার মতো মানিট্রান্সফার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি ব্যাংকের শাখাও রয়েছে । গত দুই-তিন দিন মানিট্রান্সফার অফিসগুলোতে ঘুরে দেখা যায় গত কয়েক সপ্তাহের চেয়ে কাস্টমারদের ভিড় অনেক বেশি। প্রেরকরা মনে করছেন, এটাই টাকা পাঠানোর মোক্ষম সময় না হয় রেট কমে যেতে পারে। অনেকেই আবার আত্মীয় স্বজনদের কাছ থেকে ঋণ করেও দেশে টাকা পাঠাচ্ছেন। আবার কেউ কেউ কর্মক্ষেত্র থেকে অগ্রিম বেতন নিয়েও টাকা পাঠানোর চেষ্টা করেছেন। টাকা প্রেরকরা নিজেরাও বুঝতে পারছেন না যে, হঠাৎ করে পাউন্ডের বিপরীতে টাকার বিনিময় হার বেড়ে যাওয়াতে অর্থনীতির (বাংলাদেশের) জন্য লাভ নাকি ক্ষতিকর।

তবে  বৃটেনের (বাংলাদেশি)  অনেক অর্থনীতি বিশ্লেষক, ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদরা বলছেন, পাউন্ডের বিপরীতে টাকার বিনিময় হার অসামঞ্জস্যভাবে বেড়ে যাওয়া বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য রোমাঞ্চকর বা খুশিতে আত্নহারা হয়ে যাবার মতো কিছু নয়।

বরং তা গভীর উদ্বেগের বিষয়।  পাউন্ড বা ডলারের বিপরীতে কোনো দেশের কারেন্সি বিনিময় হার বেড়ে যাওয়া অর্থ এটা নয় যে, সে দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা বা উন্নত হয়েছে বরং অর্থনীতির ভাষায় বুঝে নিতে হবে দেশটির অর্থনীতির অবস্থার অবনতি হচ্ছে।

 

পাউন্ড বা ডলারের বিপরীতে টাকার বিনিময় হার বেড়ে যাওয়াতে হিড়িকে রেমিটেন্স পাঠোনোয় দেশের রেমিটেন্সে ইতিবাচক প্রভাব পড়লেও প্রেরকের খুশি হওয়ার কিছু নেই। যেমন বেড়েছে বিনিময় রেট তেমনই চলছে সকল ক্ষেত্রে মুদ্রাস্ফীতি।

মানব জমিন