পবিত্র কোরআন পোড়ানো নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব ডেনমার্কে, শাস্তি হবে জেল, জরিমানা

logo

মানবজমিন ডেস্ক

(১৯ ঘন্টা আগে) ২৬ আগস্ট ২০২৩, শনিবার, ৫:০৮ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১১:৪৫ পূর্বাহ্ন

mzamin

facebook sharing button

মুসলিমদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল কোরআনে অগ্নিসংযোগ নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব করেছে ডেনমার্ক সরকার। কয়েক দফা এমন অগ্নিসংযোগের ফলে মুসলিম দেশগুলোতে তীব্র উত্তেজনা দেখা দেয়। তার প্রেক্ষিতে দেশটির সরকার এমন প্রস্তাব এনেছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। আইনমন্ত্রী পিটার হ্যামেলগার্ড বলেছেন, এভাবে পবিত্র ধর্মগ্রন্থে অগ্নিসংযোগ ডেনমার্কের ক্ষতি করেছে এবং দেশটির নাগরিকদের নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ফেলেছে।

প্রস্তাবিত বিলটি আইনে পরিণত হলে পবিত্র কোরআন বা বাইবেলের মতো ধর্মগ্রন্থ নিয়ে অনুপযুক্ত কোনো কর্মকাণ্ড ঘটালে তাকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে। তা হবে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। একই সঙ্গে জরিমানা এবং দু’বছর পর্যন্ত জেলের বিধান রাখা হবে। দেশটির মধ্যপন্থি সরকার বলেছে, তারা এর মধ্য দিয়ে বিশ্বের কাছে একটি বার্তা পাঠাতে চায়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী লার্স লোকে রাসমুসেন বলেছেন, কয়েক সপ্তাহে ডেনমার্কে কমপক্ষে ১৭০টি প্রতিবাদ বিক্ষোভ হয়েছে। বিদেশি দূতাবাসের সামনে পবিত্র কোরআনে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।

এসব ঘটনার পর ডেনমার্কের গোয়েন্দা সংস্থা পিইটি সতর্কতা দিয়েছে।

তারা বলেছে, সর্বশেষ এসব ঘটনায় দেশটিতে সন্ত্রাসী হামলার হুমকি বৃদ্ধি পেয়েছে বহুগুণ। সাম্প্রতিক সময়ে প্রতিবেশী ডেনমার্কেও পবিত্র কোরআনে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। সেখানকার নিরাপত্তা বিভাগগুলোও সতর্কতা দিয়ে বলেছে, নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। জুলাইয়ে ইরাকে সুইডিশ দূতাবাসে বিক্ষোভকারীরা আগুন ধরিয়ে দেয়। 

মত প্রকাশের স্বাধীনতার নামে পবিত্র কোরআনে অগ্নিসংযোগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দ্বিধাবোধ করে ডেনমার্ক ও সুইডেন। ১৯৭০ এর দশকে ব্লাসফেমি আইন বাতিল করে সুইডেন। জুলাইয়ের শেষে ডেনমার্কে এবং সুইডেনে পবিত্র কোরআনে অগ্নিসংযোগ করার পর পদক্ষেপ নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কোপেনহেগেন।

যেসব দেশে পবিত্র কোরআনের সঙ্গে এমন আচরণ করা হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানায় মুসলিম দেশগুলোর সংগঠন ওআইসি। ডেনমার্কের আইনমন্ত্রী বলেছেন, প্রস্তাবিত আইনে কারো মুখের কথা, লিখিতভাবে মত প্রকাশ বা ব্যঙ্গচিত্রের বিষয়ে কোনো পরিবর্তন নেই। ধর্মীয় পুস্তক পোড়ানোর মধ্য দিয়ে শুধুই বিভক্তি এবং ঘৃণা সৃষ্টি ছাড়া আর কোনো উদ্দেশ্য থাকতে পারে না বলে তিনি মনে করেন। উপপ্রধানমন্ত্রী জ্যাকব ইলিম্যান-জেনসেন বলেন, আমাদের গণতন্ত্রের এটাই হলো গুরুত্বপূর্ণ দিক। তাহলো আপনার মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে। কিন্তু যখন এমন কর্মকাণ্ডে দেশের নিরাপত্তার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে, তখন ডেনমার্ক অলস বসে থাকতে পারে না বলে তিনি উল্লেখ করেন।

অন্যদিকে সুইডিশ প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টারসন বলেন, প্রতিবেশীর মতো একই পদক্ষেপ নিতে পারছে না স্টকহোম। যদি তা করতে হয়, তাহলে তাদেরকে সংবিধান সংশোধন করতে হবে।