৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ও পরে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা দলীয়ভাবে তদন্ত করছে বিএনপি। এরই অংশ হিসেবে শনিবার ফরিদপুর ও ঝিনাইদহে সরেজমিন তদন্ত শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি ধর্মীয় সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা তদন্তে নিতাই রায় চৌধুরীর নেতৃত্বে ১১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করে বিএনপি। এই তদন্ত কমিটি প্রথমে ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের রনকাইল গ্রামে যায়। প্রতিনিধি দলটি নির্যাতিতদের বাড়িতে যায় এবং সহিংসতার প্রত্যক্ষ বর্ণনা শোনেন।
নির্যাতনের শিকার সংখ্যালঘুরা জানান, নৌকায় ভোট না দিয়ে ফরিদপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। তারা আরও অভিযোগ করেন, নৌকায় ভোট না দিলে তাদের দেশ ছাড়া করা হবে।
বিএনপির প্রতিনিধি দলে আরও উপস্থিত ছিলেন তদন্ত কমিটির সদস্য ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরী।
এ ছাড়া যুবদলের সহ-আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরে আলম সিদ্দিকী সোহাগ, ফরিদপুর জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব আফজাল হোসেন খান পলাশ, যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েল, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব গোলাম মোস্তফা মিরাজ, কোতয়ালি থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান চৌধুরী রঞ্জন, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি বেনজির আহমেদ তাবরিজ, জেলা যুবদলের সভাপতি রাজিব হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি কে এম জাফরসহ স্থানীয় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সমকাল