‘নেতিবাচক কথাবার্তার কারণেই ফ্যাসিবাদ আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে শুরু করেছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘আপনারা লক্ষ করে দেখবেন যে বিভিন্ন রকম নেগেটিভ কথাবার্তার কারণে ফ্যাসিবাদ কিন্তু মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে শুরু করেছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের কিছু কিছু মিডিয়া তাঁকে প্রোমোট করছে, যেটা আমি মনে করি কখনোই জনগণের জন্য শুভ বয়ে আনবে না।’
আজ শনিবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে ন্যাশনাল ইয়ুথ ফোরামের উদ্যোগে ‘বাংলাদেশ ইয়ুথ পার্লামেন্ট-২০২৪’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল ইসলাম এ কথা বলেন।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমি অনুরোধ করব, যাঁরা নেতিবাচক প্রচারণা চালাচ্ছেন, তাঁরা দয়া করে এটাকে বন্ধ করেন। আমি এটাও অনুরোধ করব তরুণদের-যুবকদের, যে আপনারা এত বড় একটা অসাধ্য সাধন করেছেন। এই প্রবণতা যেন বন্ধ হয়, তার জন্য আপনারা কাজ করবেন। আমাদের সামনে যে সংকট আছে, সেই সংকট উত্তরণের একমাত্র পথ ধৈর্য ধরে আমাদের যে কাজ সংস্কার এবং নির্বাচন—এগুলো যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করতে পারি, সেই কাজগুলো আমাদের করতে হবে।’
অন্তর্বর্তী সরকারকে সময় দেওয়ার কথা জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তাঁদের আমরা দায়িত্ব দিয়েছি, তাঁরা কাজ করছেন। এই তিন মাস সময়ের মধ্যে তাঁরা অনেক কাজ করেছেন। অস্বীকার করার তো উপায় নেই। সংস্কার করার জন্য তাঁরা কমিশন গঠন করেছেন, আইন পরিবর্তন করেছেন, আইনগুলো নিয়ে কাজ করছেন। বেশ কিছু ফ্যাসিবাদের দোসরকে আটক করেছেন, বিচারের জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছেন। এই বিষয়গুলো করছেন। সবকিছু একসঙ্গে সম্ভব নয়।’
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি তরুণদের অনুরোধ করব, আপনাদের একটু ধৈর্য ধরতে হবে। যাদের নেতৃত্বে এই সরকার চলছে, যেখানে ছাত্ররাও আছে। একটা কথা আমাদের জরুরিভাবে মনে রাখতে হবে যে এবার যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, সেই সুযোগ যাতে কোনোমতেই হাতছাড়া না করি। এবার এই সুযোগ হারিয়ে গেলে আমাদের জাতি হিসেবে অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়বে, আমি এই কথাটা জোর দিয়ে বলতে চাই।’
ন্যাশনাল ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের ববি হাজ্জাজ, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির মাহবুব উদ্দিন খোকন, রুহুল কুদ্দুস কাজল, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব জামিল আহমেদ, জহিরুল আলম, ইয়ুথ ফোরামের মেহেরুন্নেসা হক, সোহান হাফিজ, তানজিনা নওসিন, মনিরুজ্জামান মুনির, মেহেদি হাসান মিঠু, শফিউল কবির, জেরিন আনজুম, আয়ান আহমেদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার বিপ্লবে নিহত হাফেজ মোহাম্মদ ইমরান এবং আহত হাফেজ তোফায়েল আহমেদের পরিবারকে নাজমুল হক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে অর্থ সহযোগিতা এবং যুব সংগঠনগুলোকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
prothom alo