নিহত ১০০০ ইসরায়েলি : অটল হামাস

৭৩ সেনা নিহত : ১৫০ বন্দি : ৬ শহরে তীব্র যুদ্ধ

বাংলাদেশ ক্রনিক্যাল ডেস্ব :  গাজা-সীমান্তে ট্যাঙ্ক ও সাঁজোয়া যান নিয়ে এক লাখ ইসরায়েলি সেনা জড়ো হয়েছেন। গাজায় ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান থেকে অনবরত চলছে বোমাবর্ষণ। মিসাইলের আঘাতে ধসে পড়ছে গাজার ভবনগুলো। তবুও, পুরোদমে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন হামাসের যোদ্ধারা। অভিযান শুরুর তৃতীয় দিনে ইসরায়েলের ভেতরে অন্তত ছয়টি স্থানে এখন হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলি সেনাদের বিরুদ্ধে লড়ছেন। ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে চলছে রকেট নিক্ষেপও।
ফিলিস্তিনিদের ওপর নৃশংসতার প্রতিবাদে এবং আল-আকসা মসজিদে অবমাননার প্রতিশোধ নিতে শনিবার সকালে বিপুল অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ইসরায়েলে ঢুকে পড়েন ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের যোদ্ধারা। এই প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হাতে নিহত ইসরায়েলির সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়েছে বলে সোমবার জানিয়েছে ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম ‘ইয়েদিয়োত আহরোনোত’। আহত হয়েছে ২ হাজার ৪০০।
হামাসের হাতে বন্দি হয়েছেন ১৫০ জনেরও বেশি ইসরায়েলি। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজ জানিয়েছে, হামাসের হামলায় নিহত আরও ১৬ সেনার নাম প্রকাশ করেছে ইসরায়েল। এ-নিয়ে মোট ৭৩ জন নিহত সেনা-কর্মকর্তার নাম প্রকাশ করলেন তারা।
অন্যদিকে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বিমান হামলা জোরালো হয়েছে। এতে ৪৩৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন; এর মধ্যে ৯১টি শিশু। আহত হয়েছেন ২ হাজার ২৭০।
ইসরাইলের উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, তারা ইসরায়েলের সুপারনোভা সংগীত উৎসবস্থলে আড়াই শতাধিক মানুষের মরদেহ পেয়েছেন। ইসরায়েলি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সোমবার জানিয়েছে, হামাসের হামলায় আহতদের মধ্যে ২২ জনের অবস্থা ‘ক্রিটিক্যাল’ এবং ৩৪৫ জনের অবস্থা ‘সিরিয়াস’।
সোমবার দক্ষিণ ইসরায়েলের ছয়টি এলাকায় লড়াইয়ের খবর দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর শীর্ষ মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ডেনিয়েল হাগারি। এর মধ্যে বিয়িরি, কফার আজা, নিরিম ও আলুমিমের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন তিনি। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী সোমবার জানিয়েছে, কিব্বুজের চারপাশে হামাসের ৭০ জন যোদ্ধার সঙ্গে লড়াই করছেন তারা। রোববার রাতে ওই যোদ্ধারা টানেলের মাধ্যমে ইসরায়েলে প্রবেশ করেন বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।

২.

ইসরায়েল স্বীকার করেছে, হামাসের শক্ত প্রতিরোধের কারণে এই লড়াই ধারণার চেয়ে দীর্ঘ হবে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর আন্তর্জাতিক মুখপাত্র রিচার্ড হেচ সোমবার সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, হামাসের বন্দুকধারীদের কাছ থেকে শহরগুলো পুনরুদ্ধারের লড়াই চলছে; তবে এটি ধারণার চেয়ে বেশি সময় নিতে পারে।
হামলার তীব্রতায় বাসিন্দাদের ঘর তালাবদ্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সদেরোত মিউনিসিপালিটি। সোমবার এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, দ্রুত ঘরে ঢুকে দরজা-জানালা বন্ধ করুন। অপরিচিত কেউ এলে অবশ্যই দরজা খুলবেন না। পশ্চিম জেরুজালেম থেকে আলজাজিরার প্রতিনিধি জানিয়েছেন, হামাসের দখলে থাকা জায়গাগুলো পুনরুদ্ধারের চেষ্টায় বিশেষ বাহিনী ডেকেছে ইসরায়েল।
বিপুল ক্ষয়ক্ষতি এবং লড়াইয়ে আশানুরূপ অগ্রগতি না আসায় দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনীর কাছে অস্ত্রের অভাব রয়েছে বলে খবর বেরিয়েছে। প্রতিরক্ষা বাহিনী সোমবার জানিয়েছে, তাদের কাছে সরঞ্জামের অভাব নেই; তবে সরঞ্জাম স্থানান্তরে সময়ের প্রয়োজন হচ্ছে।
ইসরায়েলকে সহায়তা করতে বিমানবাহী রণতরী পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেছেন, ইসরায়েলের প্রতি সংহতি জানাতে তারা ইসরায়েলের কাছাকাছি একাধিক সামরিক জাহাজ ও বিমান মোতায়েন করবে। মার্কিন সহায়তা এরইমধ্যে ইসরায়েলের পথে রয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে, এই মার্কিন সিদ্ধান্ত সংকটকে ঘনীভূত করবে বলে মনে করছেন আলজাজিরার জ্যেষ্ঠ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মারওয়ান বিশারা। তিনি বলেছেন, ইসরায়েল যেখানে গাজা উপত্যকায় হামাসের সঙ্গে মোকাবিলা করতে সক্ষম, সেখানে যুক্তরাষ্ট্র এখানে পাঁচ হাজার নাবিকসহ কেন বিশে^র সবেচেয়ে অত্যাধুনিক বিমানসহ রণতরী পাঠাবে, তা বোধগম্য নয়। এই সময়ে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন অস্ত্র-সমাবেশ বিপজ্জনক হবে বলে মনে করেন তিনি।

৩.
আলজাজিরা জানিয়েছে, গাজার পাশে প্রায় এক লাখ রিজার্ভ সেনা জড়ো করেছে ইসরায়েল। দেশটির সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র মেজর ডোরোন স্পিয়েলম্যান এক্সে এক ভিডিওতে বলেছেন, ‘হামাস আর ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিকদের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ানোর সক্ষমতা পাবে না। আমরা এটাও নিশ্চিত করতে চাই, হামাস আর গাজা উপত্যকা শাসন করতে পারবে না।’ তিনি বলেন, ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর ৭৫ বছরে এবারই দেশটিতে সবচেয়ে বিপর্যয়কর হামলা হয়েছে। গাজা থেকে অপহৃত ব্যক্তিদের উদ্ধারে সম্ভাব্য সবকিছু করা হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে, ইসরায়েলের ভেতরে তুমুল লড়াইয়ের পাশাপাশি গাজা থেকে রকেট ছোড়া অব্যাহত রেখেছে প্রতিরোধ আন্দোলনগুলো। সোমবার একটি রকেট আশকেলন শহরের আবাসিক ভবনে আঘাত করলে আট বছরের এক ইসরায়েলি শিশু আহত হয়। সোমবার সকালে নিরিম এলাকায় রকেট হামলার বিপদ সাইরেন বাজানো হয়।
হামলার ভয়ে ইসরায়েলের দখলকৃত এলাকা থেকে পালাতে তেল আবিবের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে হাজার হাজার ইসরায়েলি ভিড় করেছেন। ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলো রোববার বিমানবন্দরে যাত্রীদের ভিড়ের ভিডিও প্রচার করেছে। সিএনএন জানায়, বহু বিমান কোম্পানি বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরের উদ্দেশে তাদের ফ্লাইট বাতিল করেছে। ওই তালিকায় মার্কিন বিমান কোম্পানিগুলোও রয়েছে। জার্মান বিমান কোম্পানি লুফথানসা, ইউএই-র এমিরেটস, গ্রিক বিমান কোম্পানি এজিন এয়ার লাইন্সও তেলআবিবে তাদের ফ্লাইট বাতিল করেছে। এই তালিকায় ফরাসি, পোলিশ, স্প্যানিশ ও ইতালীয় কোম্পানিও রয়েছে।

৪.
রয়টার্স জানায়, ইসরায়েলের ভেতরে হামাসের হামলায় কয়েকজন বিদেশিও নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে দুজন ইউক্রেনের, একজন ফ্রান্সের, ১০ জন থাইল্যান্ডের এবং ১০ জন নেপালের নাগরিক। সিএনএন বলেছেন, নিহতদের মধ্যে অন্তত তিনজন মার্কিন নাগরিক রয়েছেন।
হামাসের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, ইসরায়েলের হামলার পর তারা ১০০ জনের বেশি লোককে বন্দি করেছে। আরবি ভাষার সংবাদমাধ্যম আল-গাদকে মুসা আবু মারজুক জানিয়েছেন, তাদের মধ্যে ইসরায়েলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও আছেন। এর আগে ইসলামিক জিহাদ ৩০ জনেরও বেশি ইসরায়েলিকে বন্দি করার কথা জানিয়েছিল। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, আটক এসব ইসরায়েলি সেনা ও অবৈধ বসতি স্থাপনকারীর মুক্তির জন্য মিসরকে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দিয়েছে তেল আবিব।
হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ নিয়ে রোববার জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদ ৯০ মিনিটের রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছে। তবে যৌথ বিবৃতির বিষয়ে ঐকমত্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছেন তারা। যুক্তরাষ্ট্র হামাসকে কঠোরভাবে নিন্দা জানাতে পরিষদের ১৫ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানায়। কিন্তু,রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন সদস্যরা হামাসকে নিন্দার পরিবর্তে বিষয়টিকে আরও বড় দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে দেখার কথা বলেন। জাতিসংঘে রুশ রাষ্ট্রদূত ভাসিলি নেবেনজিয়া বলেছেন, তিনি বৈঠকে অবিলম্বে যুদ্ধ বিরতিতে গিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনায় যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
জাতিসংঘে ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান হামাসকে যুদ্ধাপরাধের জন্য অভিযুক্ত করে তাদেরকে বর্বর বলে অভিহিত করেন। জবাবে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত রিয়াদ মনসুর বলেন, ইসরায়েলের অবরোধ ও হামলা কিছুই অর্জন করতে পারেনি। তিনি বলেন, কারও এমন কিছু বলা বা করা উচিত নয়, যাতে ইসরায়েল সহিংসতার পথ বেছে নিতে উৎসাহিত হয়ে পুরো ফিলিস্তিনি জনগণকে শাস্তি দেয়।

৫.
এদিকে, এই নজিরবিহীন অভিযানের সঙ্গে নিজের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে ইরান। জাতিসংঘে ইরানি মিশনের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা ফিলিস্তিনিদের অটুট সমর্থন দিয়ে সবসময় তাদের পাশে আছি। তবে ফিলিস্তিনিদের এই প্রতিক্রিয়ার সঙ্গে আমরা জড়িত নই; তারা নিজেরাই এই পদক্ষেপ নিয়েছেন।’ এদিকে, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রায়িসি ফিলিস্তিনি সেনা ও ফিলিস্তিনের সব দলের জন্য এই ঘটনাকে ‘বিজয়’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আবদুল্লাহিয়ান রোববার টুইটে এই হামলাকে বছরের পর বছর ধরে চলা হত্যা ও অপরাধের বৈধ প্রতিক্রিয়া হিসেবে অভিহিত করেন।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল হামাস ও লেবাননভিত্তিক প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ-র প্রতিনিধিদের বরাতে জানিয়েছে, ইসরায়েলে হামলার পরিকল্পনা শুরু হয় চলতি বছরের আগস্টে। আর এতে পুরোপুরি সহায়তা করেছে ইরান। সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ইসরায়েলে হামলা চালাতে আগস্ট থেকে হামাসের সঙ্গে কাজ করা শুরু করেন ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের কর্মকর্তারা। তারা আকাশ, নৌ ও স্থলে একইসঙ্গে ইসরায়েলে হামলার পরিকল্পনা সাজান। খবরে বলা হয়, হামলার পরিকল্পনায় বেশ কয়েকবার পরিবর্তন আনা হয়। নতুন পরিকল্পনা সাজানো, পুরোনো পরিকল্পনা বাতিলসহ নানান বিষয়ে আলোচনা করে বৈরুতে বিপ্লবী গার্ডের কর্মকর্তা এবং ইরান সমর্থিত চারটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা একাধিকবার বৈঠক করেন।
তবে রয়টার্স জানিয়েছে, ইসরায়েলকে বোকা বানানোর পরিকল্পনা চলে এক বছর ধরে। এ-সময় হামাস দেখিয়েছে, তারা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত নন। কয়েকমাস ধরে সাধারণ ইসরায়েলিদের মধ্যেও তারা এই ধারণা পোক্ত করেছেন। ইসরায়েল দৃঢ়ভাবে মনে করেছে, হামাস যুদ্ধে জড়াবে না এবং শান্তি বজায় রাখার জন্য অর্থনৈতিক প্রণোদনা বাড়ানো যেতে পারে। অভূতপূর্ব গোয়েন্দা কৌশলের কারণে হামাস এত বড় হামলায় সক্ষম হয় বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

৬.
আলজাজিরা জানায়, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন রোববার সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান, আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ বিন জায়েদ এবং তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদানের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করে আরব আমিরাত ও সৌদি আরববে সঙ্ঘাত নিরসনে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানান।
সংকট সমাধানে তুরস্কের তৎপরতা দেখা গেছে। হাকান ফিদান এবং শেখ আবদুল্লাহ বিন জায়েদ এ-নিয়ে কথা বলেছেন। শনিবার সকালে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ফিদান যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি, কাতার, মিসর, ফিলিস্তিন, ইরান, স্পেন ও জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সংকট সমাধানের পথ নিয়ে আলোচনা করেন।
ফিলিস্তিনের তিনটি মানবাধিকার সংস্থা জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদের কাছে একটি খোলাচিঠি দিয়েছেন। এতে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনে সহিংসতার প্রাথমিক দায় জাতিসঙ্ঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর। কারণ, ইসরায়েলের পদ্ধতিগত ও ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনে তারা নিস্ক্রিয় ও জড়িত থেকেছে। সংস্থাগুলো হলো- আল-হক, আল-মিজান সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস এবং দ্য প্যালেস্টিনিয়ান সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস।
এদিকে, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলা জোরালো হয়েছে। সোমবার বিরতিহীনভাবে বোমাহামলা করেছে তারা। ইসরায়েল বলেছে, পাঁচ শতাধিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে তাদের প্রতিরক্ষা বাহিনী। জাতিসংঘের মানবিক ত্রাণ সংস্থা জানিয়েছে, ঘরবাড়ি লক্ষ্য করে ইসরায়েলের বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণে গাজায় প্রায় এক লাখ ২৪ হাজার ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। তাদের অনেকে উপকূলীয় ছিটমহলের ৬৪টি স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন। ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংস হয়েছে চারটি বহুতল ভবন ও ১৫৯টি হাউজিং ইউনিট। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এক হাজার ২১০টি ভবনের।