নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত যে জাহাজে করে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের যন্ত্রপাতি পাঠিয়েছিল রাশিয়া, না জানার কারণে সেটিকে দেশের অভ্যন্তরে আসার অনুমোদন দিয়েছিল বাংলাদেশ। গত অক্টোবরে উরসা মেজর ওরফে স্পার্টা-৩ জাহাজে পণ্য পাঠানোর জন্য অনুমোদন চায় রাশিয়া। বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট দফতর অনুমোদন দেওয়ার পরে নভেম্বরে সেটি ভ্লাডিভস্টক বন্দর থেকে রওনা দেয়। ওই সময়ও সংশ্লিষ্ট দফতরের কাছে নিষেধাজ্ঞার তথ্যটি না থাকার কারণে ওই অনুমোদন দেওয়া হয়। এ ধরনের বিপত্তি এড়াতে নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত জাহাজের একটি তালিকা নৌপরিবহন অধিদফতরকে দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র যেসব জাহাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সেগুলোর একটি তালিকা আমরা দিয়েছি। নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত জাহাজের সংখ্যা প্রায় ৯০টি। জাহাজ আসার অনুমোদন দেওয়ার সময় ওই তালিকার সঙ্গে মিলিয়ে নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, প্রতিটি জাহাজ অন্য দেশের বন্দর থেকে রওনা দেওয়ার আগে বাংলাদেশের কোন বন্দরে কখন আসতে পারবে তার জন্য বাংলাদেশ থেকে অনুমোদন নিতে হয়। এটি একটি বৈশ্বিক প্রথা। আমাদের জাহাজও যখন বিদেশের বন্দরে যায়, তখন আমরাও অনুমতি নিই।
উল্লেখ্য, রাশিয়া অক্টোবরে একটি চিঠি দিয়ে জানায় উরসা মেজর ওরফে স্পার্টা-৩ ডিসেম্বরের ২৩ তারিখ মোংলা বন্দরে ভিড়তে চাওয়ার অনুমোদন চায়। কিন্তু ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে বাংলাদেশকে সতর্ক করলে জাহাজটিকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরে মে মাসে রাশিয়ার অনেক জাহাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
আরও পড়ুন-
রাশিয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলো বাংলাদেশ
‘আমেরিকান নিষেধাজ্ঞা আওতায় থাকা রুশ জাহাজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে’