গতকাল শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ‘স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণে চ্যালেঞ্জ ও নির্বাচনে দলীয় প্রতীকের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে এ অভিমত দেন বিশিষ্টজন।
রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি) এ সেমিনার আয়োজন করে। শুরুতে সিরডাপের গভর্নিং কাউন্সিলের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলামকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এ সময় মন্ত্রী বলেন, সিরডাপ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য পল্লি উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচন করা। নবনির্বাচিত সভাপতি হিসেবে আমি এ লক্ষ্য এবং পূর্বসূরিদের স্বপ্নপূরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকব।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, সিটি করপোরেশন, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের পৃথক আইনগুলো একীভূত করে একটি আইন করা দরকার। একক তপশিলে একই দিনে ভোট করা গেলে খরচ কমবে। তিনি বলেন, আমি দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করার পক্ষে। সমস্যা প্রতীকে নয়, সমস্যা আসলে রাজনীতিতে।
আরএফইডি সভাপতি একরামুল হক সায়েমের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীরের সঞ্চালনায় সেমিনারে মন্ত্রী ছাড়াও বক্তৃতা করেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন, বেগম কবিতা খানম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন এমপি, বাংলাদেশ উপজেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি ও দোহার উপজেলা চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন প্রমুখ।
তাজুল ইসলাম বলেন, ব্যক্তিগতভাবে আমি স্থানীয় নির্বাচন দলীয় প্রতীকে বা প্রতীক বাদে কোনোটার পক্ষে-বিপক্ষে নই। আমার মনে হয় না, দুটোর কোনোটিতেই খুব ভালো কিংবা ক্ষতিকর কিছু আছে। আমাদের আইনে দলীয় প্রতীক বা প্রতীক ছাড়া দু’ভাবেই নির্বাচন আয়োজনের সুযোগ আছে। এটি সংশোধনের প্রয়োজন নেই।
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা দুর্বল হয় এমপিদের হস্তক্ষেপ ও প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণের কারণে। স্থানীয় উন্নয়নে সংসদ সদস্যদের যুক্ত করা সংবিধানের স্পষ্ট লঙ্ঘন।
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, একটি দলের সুবিধা-অসুবিধার কথা চিন্তা করেই প্রতীক উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। প্রতীক দিয়ে স্থানীয় নির্বাচন করা উচিত নয়। লোকাল বডিকে লোকাল বডি অনুযায়ী চলতে দেন।
সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের মুখ্য পরিচালক আবদুল আলীম বলেন, উপজেলা নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয়নি। ভোটার উপস্থিতি ৪০ শতাংশেরও কম। নির্বাচন ব্যবস্থায় আস্থাহীনতার কারণে এমন হয়েছে।
সমকাল