নির্বাচনের পর তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়নে আশাবাদী চীনা রাষ্ট্রদূত

নির্বাচনের পর প্রস্তাবিত তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়নে আশাবাদী চীন। এরইমধ্যে তিস্তা উন্নয়ন প্রকল্পে সহায়তার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব ও পরিকল্পনা সরকারের কাছে পেশ করেছে বেইজিং। এমনটাই জানিয়েছেন ঢাকাস্থ চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। আগামী ৭ই জানুয়ারি বিএনপি’র নেতৃত্বাধীন প্রধান বিরোধী জোটের ভোট বর্জনের মুখে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচন প্রশ্নে পশ্চিমা দুনিয়ার স্ট্রং অবজারভেশন রয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরাটন হোটেলে ‘বাংলাদেশে চীনের ভাবমূর্তি’ বিষয়ক এক সেমিনারে এক প্রশ্নের জবাবে তিস্তা প্রকল্প নিয়ে কথা বলেন রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর অল্টারনেটিভস ওই সেমিনারের আয়োজন করে।

উল্লেখ্য, প্রস্তাবিত তিস্তা মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ভাটি থেকে তিস্তা-যমুনার মিলনস্থল পর্যন্ত নদীর প্রস্থ কমিয়ে ৭০০ থেকে ১০০০ মিটারে সীমাবদ্ধ করা হবে। নদীর গভীরতা বাড়বে ১০ মিটার। নদী-শাসনের মাধ্যমে তিস্তা নদীকে সঠিক ব্যবস্থাপনার আওতায় আনা, ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে পানি বহনক্ষমতা বাড়ানো, নদীর দুই পাড়ে বিদ্যমান বাঁধ মেরামত করা, দুই পাড়ে মোট ১০২ কিলোমিটার নতুন বাঁধ নির্মাণ করা ইত্যাদি। চীনা অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ২০১৬ সালে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি হলেও নানা জটিলতায় সেটি থমকে যায়।

ইয়াও ওয়েন বলেন, আমরা এরইমধ্যে বাংলাদেশ থেকে তিস্তা নদী বিষয়ক কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব পেয়েছি। ওই প্রকল্পগুলোর খরচ অনেক বেশি। বিপুল পরিমাণ খরচের চাপ কমানোর জন্য আমরা এটি ধাপে ধাপে করতে চাই। এর আগে তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, ৭ই জানুয়ারি নির্বাচনের পর বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে সম্পর্কের আরও উন্নতি হবে। সেমিনারে সেন্টার ফর অল্টারনেটিভস নির্বাহী পরিচালক ইমতিয়াজ আহমেদ একটি গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন। গবেষণাপত্রে দেখা যায়, বড় একটি জনগোষ্ঠী ‘চীনের ঋণের ফাঁদ’ নিয়ে উদ্বিগ্ন হলেও দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে তারা খুশি।
মানব জমিন