নির্বাচন কমিশন (ইসি) আয়োজিত সংলাপে অন্তত ১১টি দল নির্বাচনের বিদ্যমান পরিবেশ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে কেউ কেউ আবার পরিবেশ সৃষ্টির আগে তপশিল ঘোষণা স্থগিত রাখারও পরামর্শ দিয়েছে। তবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, পরিবেশ অনুকূল বা প্রতিকূল যা-ই হোক না কেন, নির্বাচন আয়োজনের বিকল্প তাদের সামনে নেই।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার প্রস্তুতি নিয়ে নিবন্ধিত ৪৪ রাজনৈতিক দলকে গতকাল শনিবার আমন্ত্রণ জানানো হলেও অংশ নিয়েছে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ ২৬টি দল। এ আলোচনায় অংশ নেয়নি বিএনপি, সিপিবিসহ ১৮টি দল।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত এ আলোচনায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্য কমিশনারদের উপস্থিতিতে সকালে ১৩টি দল এবং বিকেলে আরও ১৩টি দল অংশ নেয়। এ সংলাপে দু’পর্বে ভাগ করে ২২টি করে দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন হবে, বিএনপিকে ভোটে আসার আহ্বান জানিয়ে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচনের পরিবেশটা অনুকূল নয়, কিছু কিছু দল এখনও অংশ নিতে পারছে না। আমরা সেটা স্বীকার করেছি।
এদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ভোটের পরিবেশ ভালো রয়েছে বলে দাবি করেছে। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফারুক খান বলেন, দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ আছে। আগামীতে এটা আরও ভালো হবে। তিনি বলেন, বিএনপিকে নিয়ে নির্বাচন করতে হবে– সংবিধানের কোথাও এ কথা লেখা নেই। জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া অবশ্য ইসির আয়োজনকে নিয়ম রক্ষার গতানুগতিক আয়োজন হিসেবে অভিহিত করে বলেছেন, ইসির এ উদ্যোগে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টির কোনো চেষ্টা লক্ষ্য করা যায়নি।
সিইসির প্রেস ব্রিফিং
সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ‘স্পেস ও টাইম’ সীমিত উল্লেখ করে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনের সামর্থ্য ইসির নেই। সংকট নিরসনে ইসির কোনো ম্যান্ডেটও নেই। দলগুলোকেই নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সংকটের সমাধান করে অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে দিতে হবে।
বিএনপির প্রতি সিইসি বলেন, ‘আপনারা আসুন। কীভাবে আসবেন, সে কোর্সটা আমরা চার্ট করে দিতে পারব না। আপনারা আসুন, আমাদের শুভকামনা থাকবে।’
নির্বাচনের পরিবেশ অনুকূল-প্রতিকূল হওয়াটা আপেক্ষিক মন্তব্য করে সিইসি বলেন, রাজনৈতিক যে সংকটগুলো সম্পর্কে আমাদের প্রত্যাশা সব সময় ইতিবাচক। নির্বাচন বিষয়ে আমাদের রাজনীতিতে বিদেশিরা এসে অনেক পরামর্শ দিচ্ছেন। অথচ আপনারা দিতে পারছেন না। রাজনৈতিক নেতা হিসেবে এ দায়িত্বটা নিতে পারতেন। চেষ্টা করতে পারতেন নিজেদের মধ্যে সংলাপ করে একটা অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করতে।
ভোট সামনে রেখে সময়ও ফুরিয়ে আসছে। সেই সঙ্গে ইসির বাধ্যবাধকতার কথাও স্মরণ করেন সিইসি। তিনি দলগুলোর উদ্দেশে বৈঠকে বলেছেন, সময়সীমা সংবিধানে নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে নির্বাচন করতে হবে।
সিইসি বলেন, নির্বাচন কমিশনের সামর্থ্য অত্যন্ত সীমিত। নির্বাচনের আয়োজন ইসি করলেও পরিচালনার দায়িত্বটা আমাদের হস্তান্তর করে দিতে হয়। তাদের ওপর আমাদের নজরদারি থাকবে। পোলিং এজেন্ট যদি আপনাদের (প্রার্থী) প্রোটেক্ট করতে না পারে, আমরা ঢাকা থেকে প্রোটেক্ট করতে পারব না।
আওয়ামী লীগের ব্রিফিং
বৈঠক থেকে বেরিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফারুক খান বলেন, বিএনপিকে নিয়ে নির্বাচন করতে হবে– সংবিধানের কোথাও এ কথা লেখা নেই। পৃথিবীর কোনো আইনেও লেখা নেই। বিভিন্ন দেশে আমরা দেখেছি, নির্বাচনের সময় অনেক রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নেয় না। সুতরাং যেসব রাজনৈতিক দলের সক্ষমতা নেই, যাদের জনসমর্থন নেই, জনগণের প্রতি যাদের আস্থা নেই, তারা তো নির্বাচনে আসবেই না।
তিনি বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে নির্বাচন কমিশন যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, সরকার তাতে সহায়তা করছে। ইতোমধ্যে সরকার থেকে সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য ৮২টি সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে। যেগুলো ইসি বাস্তবায়ন করছে। এসবের প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে।
বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল কমিশনকে জানিয়েছে, নির্বাচনের সময় ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল অরাজকতা সৃষ্টি করতে পারে– এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কখনও নির্বাচনে অরাজকতা করে না। নির্বাচনে ভোটাররা কেন্দ্রে গিয়ে তাদের ভোট প্রয়োগ করবে। যেসব রাজনৈতিক দল নামসর্বস্ব, যাদের ভোটার নেই, তারাই শুধু এ ধরনের কথা বলতে পারে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে ফারুক খান বলেন, বিএনপি সন্ত্রাসী দলের মতো কর্মসূচি দিচ্ছে। নির্বাচনের সময় যে কোনো রাজনৈতিক দল যদি অরাজকতা সৃষ্টি করে, তাহলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের প্রতি ব্যবস্থা নিয়েছে এবং নেবে।
জাতীয় পার্টির অবস্থান
বৈঠক থেকে বেরিয়ে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ইসি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশন দিয়েছে। এটির মধ্যে তারা নতুনত্ব কিছু খুঁজে পাননি। একই ধরনের প্রস্তুতি আগের দুই কমিশন নিয়েছিল, কিন্তু তাদের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এবারের প্রস্তুতিতে এমন উল্লেখযোগ্য কিছু নেই, যাতে সব দলের আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি হবে এবং সবাই নির্বাচনে অংশ নেবে।
তিনি বলেন, তাঁর দলের পক্ষ থেকে ইসিকে বলা হয়েছে, নির্বাহী বিভাগসহ ৯ লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ভোটের কাজে লাগানো হয়। অতীত অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, নির্বাহী বিভাগের লোকজন একটি দলের হয়ে প্রকাশ্যে কাজ করেন। এ দায়িত্ব যারা পালন করেন, তাদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় দেখা যাবে, ভোটের সময় নীরব ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ থাকলেও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা সম্ভব হবে না।
তিনি বলেন, দলগুলোর অভিযোগের জবাবে সিইসি যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে আশ্বস্ত হওয়ার মতো কিছু নেই। এটি গতানুগতিক, নিয়ম রক্ষার জন্য ইসি এ আলোচনার আয়োজন করেছে। সবাইকে নির্বাচনে আনতে যে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার তা নেই।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনে কারা অংশ নিচ্ছে বা কারা বর্জন করছে, এ নিয়ে বৈঠকে কোনো আলোচনা হয়নি।
অন্যান্য দলের অবস্থান
তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের মতো নির্বাচন তারা চান না। জনগণ আস্থা রাখতে পারে, জনগণ যেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারে এবং জনস্বার্থ রক্ষা হয়, এমন একটি নির্বাচন তারা চান।
বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান বলেন, সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন তারা চেয়েছেন। এখানে কোনো দলের অংশগ্রহণ না হলে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হবে না। নির্বাচন কমিশনের এটি দায়িত্ব, সব দল যেন অংশ নিতে পারে।
বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলে অংশগ্রহণমূলক হবে কিনা– এমন প্রশ্নের জাবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব সেখানে পরিবেশ সৃষ্টি করা। খেলার মাঠে এক দল খেলল আরেক দল খেলল না, তাহলে খেলা তো হলো না। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব বলে তারা আমাদের দাওয়াত দিয়েছে।
জাতীয় গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মোমিনুল আমিন বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সিইসি রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর যেভাবে দায়িত্ব চাপিয়েছেন, তাতে আকাশ থেকে হজরত জিব্রাইলের (আ.) নেতৃত্বে যদি ফেরেশতাদের বিশাল বাহিনী পাঠানো না হয়, তাহলে কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে আওয়ামী লীগের ক্যাডার বাহিনীকে মোকাবিলা করে ভোটকেন্দ্রে টিকে থাকা সম্ভব নয়। তাঁর এ বক্তব্যের সময় আওয়ামী লীগের দুই প্রতিনিধি ফারুক খান ও সেলিম মাহমুদ আপত্তি জানান।
রাজনৈতিক ঐকমত্য সৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা স্থগিত রাখার দাবি জানিয়ে মোমিনুল আমিন বলেন, নির্দলীয় সরকার ছাড়া নির্বাচনে অংশ নেওয়া হচ্ছে জেনেশুনে বিষ পান করা। বর্তমানে যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিদ্যমান, তা নির্বাচন আয়োজনের অনুকূল নয়।
সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া বলেন, নির্বাচন যেন অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হয় এবং এ নির্বাচনে যাতে জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে, সে জন্য ইসিকে অর্থবহ পদক্ষেপ নিতে হবে। তিনি বলেন, যেহেতু রাজনৈতিক অস্থিরতা আছে, মানুষের মধ্যে কিছুটা শঙ্কা আছে। জাতি এ শঙ্কা থেকে মুক্তি চায়।
ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের চেয়ারম্যান আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদী বলেন, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের প্রহসনের নির্বাচনের মতো আগামী নির্বাচন জাতি দেখতে চায় না। ২০১৮ সালের মতো নির্বাচন হলে তারা এ নির্বাচন বর্জন করবেন।
বাংলাদেশ কংগ্রেসের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট কাজী রেজাউল হোসেন বলেন, ভোটকেন্দ্র দলীয় প্রভাবমুক্ত রাখতে হবে। প্রার্থী ও ভোটারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা রাখতে হবে।
বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) সভাপতি এস এম আবুল কালাম আজাদ বলেন, নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার নির্বাচন করা। কমিশন সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচনের আয়োজন করবে। ভোট হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে, কোনো সরকারের অধীনে নয়।
ইনসানিয়াত বিপ্লবের মহাসচিব শেখ রাহান আফজাল রাহবার জানান, সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে নির্বাচন পরিচালনার প্রস্তাব দিয়েছি। বর্তমান সংসদ ভেঙে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন, ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো এবং ভোটকেন্দ্রে গণমাধ্যমকর্মীদের অবাধ যাতায়াতের সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছি।
বর্তমান কমিশনের আমলে নিবন্ধন পাওয়া দল বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান কাজী মহসীন চৌধুরী বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্তরায়। নির্বাচনের আগে পোলিং এজেন্টদের নাম ধরে ধরে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য উচ্চ আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সিইসি।
গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. মিজানুর রহমান বলেন, দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য বর্তমানে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের কোনো পরিবেশ দেশে নেই। ইসির ওপর তাদের আস্থা থাকলেও দলীয় ও সরকারের আজ্ঞাবহ প্রশাসনের কারণে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে সংশয় আছে।
গণফ্রন্টের চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন বলেন, জাতীয় সরকার কিংবা তত্ত্বাবধায়ক সরকার নয়, বরং আমরা নির্বাচনকালীন রাজনৈতিক সরকার চাই। তা না হলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না।
বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির সভাপতি আইভি আহমেদ বলেন, আগামী নির্বাচনের দিকে আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি রয়েছে। আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কমনওয়েলথ ও জাতিসংঘ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছে। এ কারণে এ নির্বাচন নিয়ে ইসিরও দায়-দায়িত্ব অন্যান্য নির্বাচন থেকে বেশি। বৈঠকে তিনি সিইসিকে জিজ্ঞেস করেছেন নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ আছে কিনা? জবাবে সিইসি বলেছেন, নির্বাচনের এখন পর্যন্ত পুরোপুরি অনুকূল পরিবেশ তেমন নেই। তবে সব সময় সম্পূর্ণ অনুকূল পরিবেশে নির্বাচন করব, সেটাও না। ৯৯ ভাগ পরিবেশ অনুকূল হবে, সেটিও বলতে পারি না। অনুকূল পরিবেশ না থাকলেও এর মধ্য দিয়ে আমাদের নির্বাচন করে যেতে হবে।
মুক্তিজোটের সংগঠনপ্রধান আবু লায়েস মুন্না বলেন, নির্বাচন কমিশনের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতায় নির্বাচনকালে স্বরাষ্ট্র এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে দেওয়ার সুনির্দিষ্ট আইন পাসের দাবি জানিয়েছি।
সকালে সংলাপে অংশ নেওয়া দলগুলো হলো– বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি), ইসলামী ঐক্যজোট (আবুল হাসনাত), গণফ্রন্ট, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ), তৃণমূল বিএনপি, বাংলাদেশ কংগ্রেস, ন্যাশনালিস্ট আওয়ামী পার্টি, মুসলিম লীগ, ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ, ইসলামি ফ্রন্ট বাংলাদেশ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) ও গণফোরাম। বিকেলে সংলাপে অংশ নেয় জাতীয় পার্টি (জেপি), বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এমএল), বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, জাতীয় পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ, জাকের পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম)।
সংলাপে অংশ না নেওয়া দলগুলোর মধ্যে রয়েছে– বিএনপি, এলডিপি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ-বিএমএল, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, খেলাফত মজলিস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, গণতন্ত্রী পার্টি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ-বিএমএল, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি এবং বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ।