সমকাল প্রতিবেদক
১৫ মে ২৩
গবাদি পশুর মাংস আমদানি করতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু সে নিয়ম না মেনেই গত ১০ মে ভারত থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে এক টন হিমায়িত মহিষের মাংস দেশে এনেছে মেডলাইফ প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিজ নামের একটি কোম্পানি। বিষয়টি জানাজানির পর শুরু হয় তোলপাড়। আটকে যায় মাংস ছাড়। বেরিয়ে আসে ওই কোম্পানির নানা অনিয়মের তথ্য। মাংস প্রসেসিং করে রপ্তানি করার কথা থাকলেও নেই কোনো কারখানা। কাস্টম কর্তৃপক্ষের তদন্তেই পাওয়া গেছে নিয়ম না মানার প্রমাণ।
মাংস আমদানির তথ্য পাওয়ার পর গত ১০ মে দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এবং হিলি স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক (প্রাণিসম্পদ কোয়ারেন্টাইন স্টেশন) ডা. কাজী মাহবুবুর রহমান চিঠি দিয়ে হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের উপপরিচালককে পণ্যটির ছাড়পত্র না দেওয়ার অনুরোধ করেন।
মহিষের মাংস ছাড়করণে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে মেডলাইফ প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড জানিয়েছে, তারা মূলত বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিডা) কর্তৃক নিবন্ধিত একটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান। এ মাংস শিল্পে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করার কথা। মাংস দিয়ে তৈরি পণ্য বিদেশে রপ্তানি হয় বলে কোম্পানিটি উল্লেখ করেছে। কিন্তু গতকাল রোববার প্রতিষ্ঠানটির ভাকুর্তায় কারখানা আছে কিনা, তার সত্যতা নিশ্চিত করতে যান ঢাকা কাস্টম হাউসের সাভার ডিভিশনের ডেপুটি কমিশনার আব্দুল্লাহ মামুন। তিনি সেখানে গিয়ে কোনো কারখানা খুঁজে পাননি। একটি ঘরের মধ্যে কিছু পণ্য দেখতে পান শুধু।
এ বিষয়ে মেডলাইফ প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালক আহসানুল হক মিলন সমকালকে বলেন, পণ্য বানাতে কাঁচামাল হিসেবে আমরা প্রথমবারের মতো মহিষের মাংস ও পেঁয়াজ এনেছি। পণ্য আনার পরই কারখানা চালুর কথা ছিল। কিছু যন্ত্রপাতি কেনাও হয়েছে। এখন তো পণ্যগুলো আটকে দিয়েছে।
বাংলাদেশ ডেইরি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইমরান হোসেন বলেন, একটি সংঘবদ্ধ চক্র ভারত থেকে হালাল নয়, এমন নিম্নমানের হিমায়িত মহিষের মাংস আমদানি করে দেশের হোটেল-রেস্তোরাঁয় কম দামে বিক্রি করছে। বিষয়টি সরকারকে খুবই গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে জড়িতদের শাস্তি দিতে হবে।