- অনলাইন প্রতিবেদক
- ১৬ আগস্ট ২০২০
মরহুম আরাফাত রহমান কোকো একজন দক্ষ ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে জনগণের কাছে জায়গা করে নিয়েছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আরাফাত রহমান কোকোর লাশ যখন মালয়েশিয়া থেকে ঢাকায় এসে পৌঁছেছিল তখন আমরা তার প্রমাণ পেয়েছি। তখন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অবরুদ্ধ ছিলেন এবং দুর্ভাগ্যজনকভাবে আরাফাত রহমান কোকো সাহেবকে কবরস্থ করার জন্য জায়গা পাওয়া যাচ্ছিল না। একজন সাবেক সেনাপ্রধানের সন্তান হিসেবে, একজন সাবেক রাষ্ট্রপতি সন্তান হিসাবে বনানী সামরিক কবরস্থানে এ কবরস্থ হওয়া তার প্রাপ্য ছিলো। দুর্ভাগ্য আমাদের সেদিন তিনি সামরিক গোরস্থানে শেষ জায়গাটুকু পাননি। তবে তার জানাযার মধ্যদিয়ে প্রমাণ হয়ে গেছে আরাফাত রহমান কোকো তার নিজস্ব গুনেই এদেশের মানুষের কাছে একজন অত্যন্ত প্রিয় ব্যক্তি ছিলেন।
রোববার আরাফাত রহমান কোকোর স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যারা আজকে জোর করে রাষ্ট্র শাসন করছেন, তারা একাত্তরের সেই চেতনাকে বিনষ্ট করে দিয়ে একদলীয় ফ্যাসিবাদী সরকার প্রতিষ্ঠা করেছে। এখানে খেলাধুলা আলাদা ব্যাপার নয়, ক্রীড়াঙ্গন আলাদা ব্যাপার নয়। পুরো রাষ্ট্রটাই এখন একটা দলের মধ্যে, চিন্তার মধ্যে চলে গেলো।’
তিনি বলেন, ‘কিছুদিন আগে আমেরিকান অ্যাম্বাসিতে এক অনুষ্ঠানে আমাদের প্রতিথযশা শিল্পী যিনি লালনগীতিকে সবচেয়ে বেশি জনগণের কাছে, বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে পরিচিত করেছেন সেই কণ্ঠশিল্পী ফরিদা পারভীনের সাথে আমার দেখা হয়েছিলো। তার স্বামী যিনি সবচেয়ে ভালো বাঁশি বাজান হাকিম সাহেবের সাথেও আমার দেখা হয়েছিলো। উনারা খুব দুঃখ করে বললেন, এখন আর তাদেরকে সরকারি কোনো অনুষ্ঠানে অথবা সরকারের স্পন্সর যে সমস্ত টেলিভিশন চ্যানেলগুলো আছে তাদেরকে সেখানে এখন আর ডাকা হয় না। কি নিদারুণ অবস্থা চিন্তা করেন। লালনসঙ্গীত-লোকসঙ্গীতে ফরিদা পারভীন সর্বশ্রেষ্ঠ শিল্পী। আর যিনি আন্তর্জাতিক বহু পুরস্কার পেয়েছেন সেই হাকিম সাহেবের মতো বংশীবাদকদেরও এখন কোথাও ডাকা হয় না।’ ‘ঠিক একইভাবে যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছেন কিন্তু তাদের (আওয়ামী লীগ) সমর্থক ছিলেন না, তারা মারা যাওয়ার পরে তাদের লাশ শহীদ মিনারে পর্যন্ত নিতে দেয়া হয় না এখন’- যোগ করেন ফখরুল।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের বার বার মনে করতে হবে আমাদের এই স্বাধীন রাষ্ট্রের ভিত্তি যারা রচনা করেছেন তাদের একজন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, গণতন্ত্রের জন্য যিনি আজীবন সংগ্রাম করেছেন এখনো করছেন এবং বন্দী অবস্থায় আছেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে, আমাদের স্মরণ করতে হবে আমাদের আরেকজন গণতন্ত্রের লড়াকু সৈনিক যিনি নির্বাচিত অবস্থায় থেকেও গণতন্ত্রের জন্য কাজ করছেন সেই মহান নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানকে।