সিরিজ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে অস্ট্রেলিয়াকে দারুণ সূচনা এনে দেন ট্রাভিস হেড। তার ব্যাটে করেই পাওয়ার প্লেতে এক উইকেট হারিয়ে ৭৪ রান তোলে দলটি। এরপর দলের কেউ ইনিংস বড় করতে পারেনি। ৮.৪ ওভার ২ উইকেটে ১০৪ রান থেকে অস্ট্রেলিয়া অলআউট হয় ১৭৪ রানে। জবাবে অ্যাডাম জাম্পা, নাথান এলিসের বোলিং তোপে ১০২ রানেই গুটিয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। ফলে ৭২ রানের জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে অসিরা। রানের হিসাবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার এটি সবচেয়ে বড় জয়।
অকল্যান্ডে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৩ বলে ৩২ রানের সূচনা পায় অস্ট্রেলিয়া। জুটিতে ৭ বলে ১১ রান করে নিউজিল্যান্ডের পেসার লুকি ফার্গুসনের শিকার হন ওপেনার স্টিভেন স্মিথ। দ্বিতীয় উইকেটে অধিনায়ক মিচেল মার্শকে নিয়ে ২৭ বলে ৫৩ রান যোগ করেন আরেক ওপেনার ট্রাভিস হেড। ২ চার ও ৫ ছক্কায় ২২ বলে ৪৫ রান করা হেডকে শিকার করে জুটি ভাঙ্গেন পেসার বেন সিয়ার্স।
হেড ফেরার পর অস্ট্রেলিয়ার মিডল অর্ডারের ব্যাটাররা সুবিধা করতে পারেনি। মার্শ ২৬, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ৬, জশ ইংলিশ ৫, টিম ডেভিড ১৭ ও ম্যাথু ওয়েড ১ রানে আউট হন। ১৩৮ রানে সপ্তম উইকেট পতনের পর অষ্টম উইকেটে ২৮ বলে ৩৩ রান যোগ করে অস্ট্রেলিয়াকে ১৭৪ রানের সংগ্রহ এনে দেন কামিন্স ও নাথান এলিস। ৫ চারে ২২ বলে ২৮ রান করেন কামিন্স। ১১ রানে অপরাজিত থাকেন এলিস। নিউজিল্যান্ডের ফার্গুসন ১২ রানে ৪ উইকেট নেন।
১৭৫ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে অস্ট্রেলিয়ান পেসারদের তোপে সপ্তম ওভারে ২৯ রানে ৪ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। ফিন অ্যালেন ৬, উইল ইয়ং ৫, অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার ৭ ও মার্ক চাপম্যান ২ রান করেন। পঞ্চম উইকেটে ৩২ বলে ৪৫ রান যোগ করে নিউজিল্যান্ডকে চাপমুক্ত করেন গ্লেন ফিলিপস ও জশ ক্লার্কসন। দলীয় ৭৪ রানে ক্লার্কসনকে ব্যক্তিগত ১০ রানে আউট করে জুটি ভাঙ্গেন স্পিনার জাম্পা। এরপর আরও ৩ উইকেট নিয়ে নিউজিল্যান্ডকে ১০২ রানে অলআউট করে অস্ট্রেলিয়ার সিরিজ জয় নিশ্চিত করেন জাম্পা।
অলরাউন্ড নৈপুন্যের সুবাদে ম্যাচ সেরা হন কামিন্স। ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি অকল্যান্ডে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া।
samakal