নারাইন ঝড়ে ফাইনালে কুমিল্লা

  • নয়া দিগন্ত অনলাইন
  •  ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ২০:৪৮, আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ২১:০৯

বিপিএলের ফাইনালে কুমিল্লা। – ছবি : নয়া দিগন্ত

মিরপুরের উইকেটে ১৪৮ রান টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে চ্যালেঞ্জিংই। তবে এক সুনীল নারাইনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ের কাছে সব যেন পান্তাভাতের মতো হয়ে গেল।

বিপিএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে বুধবার চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৭ উইকেটে উড়িয়ে ফাইনালে নাম লিখিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।

আগে ব্যাট করতে নেমে চট্টগ্রাম করে ১৪৮ রান। জবাবে সুনীল নারাইনের রেকর্ড ফিফটিতে ৪৩ বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌছায় কুমিল্লা। ১৩ বলে ফিফটি করে বিপিএলে রেকর্ড গড়েন নারাইন। সব মিলিয়ে ১৬ বলে ৫৭ রানের ইনিংসের সুবাদে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন ক্যারিবীয়ন এই অলরাউন্ডার। আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে ফরচুন বরিশালের মুখোমুখি হবে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।

১৪৯ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলে আউট হন লিটন দাস। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে রানর নহর বইয়ে দেন ইমরুল কায়েস ও সুনীর নারাইন। দলীয় ৭৯ রানের মাথায় বিদায় নেন নারাইন টর্নেডো ইনিংস খেলে। ১৬ বলের ইনিংসে তিনি হাকান ছয়টি ছক্কা ও ৫টি চার। রান করেন ৫৭। ১৩ বলে স্পর্শ করেন ৫০, যা বিপিএলে নতুন রেকর্ড।

জয় যখন হাতের মুঠোয় তখন শেষের দিকে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন মঈন আলী। টানা দুই ছক্কা হাকিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন তিনি। ১৩ বলে তিন চার ও দুই ছক্কায় ৩০ রানে অপরাজিত থাকেন মঈন। ২৩ বলে ৩০ রানে অপরাজিত থাকেন ডুপ্লেসিস। অধিনায়ক ইমরুল কায়েস করেন ২২ রান। ১২.৫ ওভারে জয়ের বন্দরে পৌছায় কুমিল্লা।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই ছিল চট্টগ্রামের। তবে উদ্বোধনী জুটি বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর বেসামাল হয়ে পড়ে দলটি। ৫০ রানের মধ্যে হারায় পাচ উইকেট। মিডল অর্ডারে মিরাজ ও আকবরের জুটিতে দলীয় স্কোরটা মজবুত হয় চট্টগ্রামের।

দলীয় ৩১ রানে প্রথম বিদায় নেন হার্ড হিটার উইল জ্যাকস। ৯ বলে দুই চার ও এক ছক্কায় ১৬ রান করে তিনি শহিদুলের বলে ক্যাচ দেন ইমরুলের হাতে। যার উপর ভরসা ছিল সেই ওয়ালটন এদিন ব্যর্থ। ৩ বলে দ্ইু রান করে তিনি শহিদুলের বলে এলবিডব্লিউ। এরপর মঈন আলীর আঘাত। বিদায় করেন ১৯ বলে চারটি চারে ২০ রান করা ওপেনার জাকির হাসানকে। পরের বলেই আউট হার্ড হিটার খ্যাত শামীম হোসেন। ভালো করতে পারেননি অধিনায়ক আফিফ হোসেন ধ্রুবও। ১০ বলে দুই চারে ১০ রানে তিনি মঈন আলীর শিকার।

৮ ওভারে ৫০ রান তুলতে পাচ উইকেট খোয়ায় চট্টগ্রাম। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে দলের হাল ধরেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও আকবর আলী। এই জুটি দলকে নিয়ে যায় ১১১ রান পর্যন্ত। আবু হায়দারের বলে তার হাতেই ক্যাচ দিয়ে ফেরেন আকবর। ২০ বলে সমান দুই চার ও ছক্কায় ৩৩ রান করে ফেরেন তিনি।

এদিন জ্বলে উঠতে পারেননি বেনি হাওয়েল। ৫ বলে তিন রানে তিনি হন রান আউট। দলীয় ১৩৬ রানের মাথায় বিদায় নেন মিরাজ। তার ব্যাটেই আসে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। ৩৮ বলে তিন চার ও দুই ছক্কায় ৪৪ রান করে শহিদুলের বলে মঈন আলীর হাতে ক্যাচ দেন তিনি।

শেষের দিকে দুই ছক্কায় ৯ বলে ১৫ রান করেন পেসার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। চট্টগ্রামের ভাগ্য খারাপ, পুরো বিশ ওভার খেলতে পারেনি তারা। বল হাতে কুমিল্লার হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন মঈন আলী ও শহিদুল ইসলাম। রনি, মোস্তাফিজ, তানভির নেন একটি করে উইকেট।