নাগরিকত্ব প্রশ্নে ভোটের আগে উত্তপ্ত ভারত

ড. মাহফুজ পারভেজ

ভারতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) নিয়ে উত্তেজনা দেশের ভেতর ছাড়িয়ে বাইরেও সঞ্চারিত হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন আমেরিকা নজর রাখছে। আমেরিকার পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সিএএ নিয়ে ওয়াশিংটনের উদ্বেগের কথা জানিয়ে বলেছেন, গোটা বিষয়টি তারা পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। এ প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, ‘‘গত ১১ মার্চ ভারত সরকার সিএএ নিয়ে যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে, আমরা তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। এই আইন কী ভাবে প্রণয়ন করা হচ্ছে, আমরা তার দিকে নজর রেখেছি। ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধা এবং আইনে সব সম্প্রদায়ের সমান অধিকার মৌলিক গণতান্ত্রিক নীতি।’’

আনন্দবাজার পত্রিকার নয়াদিল্লিস্থ নিজস্ব সংবাদদাতার বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) ‘সিএএ-কে কোন চোখে দেখছে প্রতিবেশীরা, নজর কূটনীতিকদের’ শীর্ষক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সংসদে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ হওয়ার এক মাস পরে ভারতে এসে বাংলাদেশের তৎকালীন বিদেশমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছিলেন, ভারতে কোনো অস্থিরতা তৈরি হলে প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশে তার প্রভাব পড়তে বাধ্য। তবে এটা যে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়, সে কথাও জানিয়েছিলেন সঙ্গে। কিন্তু তারপর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংযুক্ত আরব আমিরশাহি সফরে গিয়ে ক্ষোভের সঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘‘আমরা বুঝতে পারিনি ভারত সরকার কেন এটা (সিএএ) করল। এর কোনো প্রয়োজন ছিল না।’’

সিএএ কার্যকর হওয়ার পরে ঢাকা এখনও চুপই। কিন্তু সে দেশে জাতীয় নির্বাচনের পর যে ভারত-বিদ্বেষের হাওয়া দেখতে পাওয়া যাচ্ছে, তাতে এই বিষয়টি নতুন করে ইন্ধন জোগাবে কিনা সেই প্রশ্নও উত্থাপন করেছে আনন্দবাজার পত্রিকা ঐ একই প্রতিবেদনে। ভারতে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল আইনে পরিণত হয়েছিল চার বছর আগেই।

তখন সিএএ নিয়ে সরকারের উদ্যোগের বিরুদ্ধে তীব্র বিরোধিতা দেখা দেয় ভারতজুড়ে। শতাধিক সংঘাতের ঘটনায় সরকারি বাহিনীর হাতে কমপক্ষে ৫০ জন আন্দোলনকারী প্রাণ হারায়।  ২০২৪ সালে এসে লোকসভার ভোটের প্রাক্কালে গত সোমবার (১১ মার্চ) ‘আচমকা’ সিএএ আইন চালু করার বিজ্ঞপ্তি জারি করে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। ওই আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মতো মুসলিম ধর্মাবলম্বী দেশ থেকে যদি সে দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে ভারতে আশ্রয় চান, তা হলে তা দেবে ভারত। সংসদের দু’কক্ষে পাশ হওয়ার পরে দেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দও অনুমোদন দেন সিএএ বিলে। কিন্তু এত দিন ধরে সিএএ কার্যকর করা নিয়ে কোনো বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি। সোমবার সেই বিজ্ঞপ্তি জারির পরেই দেশ জুড়ে আবার আলোড়ন তৈরি হয়।

বিরোধীদের অভিযোগ, লোকসভা ভোটের দামামা বাজতেই সিএএ দিয়ে ভোট বৈতরণী পার হতে চাইছে বিজেপি। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে ভোটের আগে মোদী সরকারের ‘ছলনা’ এবং ‘প্রতারণা’ বলে কটাক্ষ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর প্রশ্ন, যাঁদের ভোটে সরকার তৈরি হয়েছে, তাঁদের নাগরিকত্ব নিয়ে কী ভাবে প্রশ্ন তুলতে পারে কেন্দ্র? সিএএ-র সঙ্গে এনআরসি-র ঘনিষ্ঠ যোগ আছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। তাঁর আশঙ্কা, সিএএ প্রয়োগের মাধ্যমেই বহু নাগরিকের নাগরিকত্ব কেড়ে নেবে বিজেপি সরকার। তাঁদের পাঠিয়ে দেওয়া হবে ‘ডিটেনশন ক্যাম্পে’। মমতার কথায়, ‘‘কাউকে অধিকার দিলে আমরা খুশি হই। কিন্তু সারা বিশ্বে যে ভাবে করা হয়, সে ভাবে করলে আমাদের কোনো অসুবিধা ছিল না।’’

গোটা অঞ্চলের অন্যতম শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে এবং উদার গণতন্ত্রের পতাকাবাহক ভারত বরাবরই উদ্বাস্তু সমস্যা নিয়ে সহনশীল। তিব্বত থেকে আসা শরণার্থী, শ্রীলঙ্কার তামিল, বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারের চাকমা, রোহিঙ্গা শরণার্থী, আফগানিস্তান থেকে আসা অমুসলিম তথা হিন্দু, জৈন, শিখ, খ্রিস্টান বিভিন্ন সময়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছে। দশকের পর দশক ভারত তাদের আশ্রয়ও দিয়েছে। এবং ভারত বলেছে, তারা অবশ্যই নিপীড়িত সংখ্যালঘুদের আশ্রয় দেওয়ার নীতি থেকে সরে আসবে না।

কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সেটা করতে গিয়ে যদি ধর্মনিরপেক্ষ নীতির বদলে ক্ষমতাসীনদের পছন্দের কোনো বিশেষ ধর্মকে বাড়তি সুবিধা দেওয়া হয়, তা হলে বিষয়টি প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের জটিলতা তৈরি করতে পারে ও সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্রের হানি ঘটাবে। বিশেষত, ভারতে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা ও মন্দির-মসজিদ নিয়ে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব-সংঘাতের পটভূমিতে এই আইন মুসলিম-বিরোধী মনোভাবের প্রতিফলন বলে সমালোচিত হচ্ছে ।

তবে, ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক কলামে লেখক প্রেমাংশু চৌধুরী উল্লেখ করেন, ‘কে হিন্দু, কে মুসলমান, সে প্রশ্ন পরে। সিএএ, এনআরসি-র মতো বিষয় জাত-ধর্ম নির্বিশেষে কোনো নাগরিককে এক পলকে কলমের খোঁচায় সন্দেহভাজন নাগরিকে পরিণত করে দিতে পারে। তাই এ বিষয়ে (সিএএ) অন্তত দেশের সরকারের এক সুরে, এক ভাষায় কথা বলা প্রয়োজন। না হলে সিএএ, এনআরসি নিয়ে দেশে থেকেই দেশহীন হয়ে পড়ার আতঙ্ক থেকেই যাবে।’

প্রশ্ন হলো, সিএএ সুবিধা প্রাপ্তির আশায় ভিন্ন দেশ থেকে আসা অমুসলিম তথা হিন্দু, জৈন, শিখ, খ্রিস্টান, যারা বিভিন্ন সময়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছে, এমন কোনো মানুষ ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য সিএএ-র নিয়মমাফিক আবেদন করলেন। কিন্তু যে সব নথি চাওয়া হয়েছে, তার কোনওটাই দিয়ে উঠতে পারলেন না। বা অন্য কোনো কারণে তাঁর আবেদন খারিজ হয়ে গেল। সে ক্ষেত্রে তাঁর পরিচিতি কী হবে? তিনি কি বেআইনি অনুপ্রবেশকারী হিসাবে চিহ্নিত হয়ে যাবেন? তিনি কি এ দেশে থেকেও অ-নাগরিক হয়ে যাবেন? না কি তাঁকে সন্দেহভাজন নাগরিক বলা হবে?

এইসব প্রশ্ন ও বিতর্কের বিষয়গুলো যত না স্পষ্ট করা হচ্ছে, তারচেয়ে বেশি রাজনীতি করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গত লোকসভা নির্বাচনের পরে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মুখে বার বারই একটি বাক্য শোনা যেত। ‘আপ ক্রোনোলজি সমঝ লিজিয়ে’! সহজ ভাষায় সিএএ ও এনআরসি-র কালানুক্রম ঘটনাপরম্পরা বোঝাতেন তিনি। অমিত শাহের ব্যাখ্যা ছিল, প্রথমে সিএএ আসবে। নাগরিকত্ব আইনে সংশোধন করা হবে। তার মাধ্যমে সমস্ত শরণার্থীকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। তার পরে এনআরসি আসবে। বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করা হবে। শুধু পশ্চিমবঙ্গে নয়, গোটা দেশে এনআরসি আসবে। কারণ, অনুপ্রবেশকারীরা শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, গোটা দেশের সমস্যা। শরণার্থীদের এনআরসি নিয়ে চিন্তা করার কারণ নেই। তবে বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের চিন্তার কারণ রয়েছে।

পুরনো রেকর্ড ঘেঁটে ভারতীয় গণমাধ্যম দেখিয়েছে যে, ২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল থেকে সে বছরের ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে অন্তত ছ’বার এই সিএএ-এনআরসি’র ঘটনাপরম্পরা ব্যাখ্যা করেছেন অমিত শাহ। কখনও পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা ভোটের প্রচারে, কখনও সংবাদমাধ্যমের সামনে, কখনও সংসদে দাঁড়িয়ে শাহ বলেছেন, প্রথমে সিএএ, তার পরে এনআরসি। সিএএ বা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের মাধ্যমে কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে না। বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান থেকে আসা শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। তবে, এনআরসি বা জাতীয় নাগরিক পঞ্জি তৈরির সময় চিহ্নিত করা হবে, কারা ভারতীয় নাগরিক, কারা নাগরিক নন।

সিএএ-এনআরসি’র বিরুদ্ধে যখন আন্দোলন দানা বাঁধছে, তখন অভিযোগ উত্থাপিত হয় যে, মোদী সরকার এ দেশের মুসলমানদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে সিএএ-র মাধ্যমে। তাঁদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকে পরিণত করার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ উঠে। সে সময়ও একই কথা বলে গিয়েছিলেন অমিত শাহ। তবে, ২০১৯ সালের ১৭ ডিসেম্বরের পরে অমিত শাহের মুখে আর এ কথা শোনা যায়নি। কারণ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঠিক তার পরেই অমিত শাহের উল্টো সুর ধরেন। সে বছর ২২ ডিসেম্বর দিল্লির রামলীলা ময়দানে বিজেপি দিল্লি বিধানসভা ভোটের প্রচার শুরু করেছিল। সেই জনসভায় মোদী বলেছিলেন, তাঁর সরকারের আমলে এনআরসি নিয়ে কোনো দিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আলোচনা হয়নি। সংসদে এনআরসি আসেনি। এনআরসি-র বিধিনিয়ম তৈরি হয়নি। মিথ্যে প্রচার করা হচ্ছে। খোদ ভারতীয় মিডিয়াই প্রশ্ন তুলেছে, দেশের প্রধানমন্ত্রী, নাকি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, কার কথা বিশ্বাস করা উচিত? একজন বলছেন, সিএএ-র পরে এনআরসি আসছে। অন্য জন বলছেন, এনআরসি নিয়ে কোনো আলোচনাই হয়নি।
বাস্তবতা হলো এই যে, ভারতে এনআরসি বা জাতীয় নাগরিক পঞ্জি তৈরির প্রকল্প না আসলেও সিএএ বা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন চালু হয়ে গিয়েছে। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের সময় থেকে সিএএ নিয়ে বিজেপি ঢাক পেটাতে শুরু করেছিল। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের মুখে দাঁড়িয়ে সিএএ চালু হল। আর সিএএ-র মাধ্যমে আসলে এনআরসি-র প্রক্রিয়া শুরু করে দিল মোদী সরকার।

সিএএ চালুর পরে ভারতের বিশিষ্ট নাগরিকরা ‘এনআরসি-র বিরুদ্ধে যৌথ ফোরাম’-এর মাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে প্রশ্ন তুলেন। সিএএ-কে আসলে ‘এনআরসি-র মতো প্রক্রিয়া’ বলেই আখ্যা দিয়েছেন তাঁরা। কারণ সিএএ-র নিয়ম বলছে, একটি ‘এমপাওয়ার্ড’ বা ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি নাগরিকত্বের আবেদন যাচাই করবে। চাইলেই কেউ নাগরিকত্ব পাবেন না। স্বাভাবিক নিয়মেই অনেক আবেদন খারিজ হয়ে যাবে। যাঁরা বহু দিন ধরে ভারতে বসবাস করছেন। তাঁদের রেশন কার্ড, আধার বা ভোটার কার্ডও রয়েছে। তাঁদের আবেদন খারিজ হয়ে গেলে তাঁরা কি ‘অ-নাগরিক’ বা ‘বেআইনি অনুপ্রবেশকারী’ হয়ে পড়বেন কিনা, এই প্রশ্নও উত্থাপিত হয়েছে।

ফলে ভারতে নাগরিকত্ব নিয়ে একটি শঙ্কা ও সংশয়ের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।  মোদী সরকার সিএএ-র মাধ্যমে কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হচ্ছে না, শুধুমাত্র শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হচ্ছে, বললেও বাস্তবে সিএএ নিছক সিএএ থাকছে না। এর মাধ্যমেই কে নাগরিক, কে নাগরিক নন, বা সন্দেহভাজন নাগরিক, তার বাছাইপর্ব শুরু হয়ে যাচ্ছে। যিনি নাগরিকত্ব সংশোধন আইনে নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করবেন, তিনি প্রথমেই মেনে নিচ্ছেন, তিনি এ দেশের নাগরিক নন। তারপরে আবেদন খারিজ হয়ে গেলে তাঁর কী হবে, সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। আরও একটি প্রশ্ন তুলেছেন বিশিষ্ট নাগরিকরা, তা হল, কে ভারতীয় নাগরিক, কে বেআইনি অনুপ্রবেশকারী, তা নির্ধারণের দায়িত্ব রাষ্ট্রের; সরকার, পুলিশ, প্রশাসনের। সিএএ নাগরিকত্ব প্রমাণের দায় সংগোপনে নাগরিকদের ঘাড়ে ঠেলে দিচ্ছে। যেমনটা হয়েছিল আসমে; এনআরসি তৈরির সময়। আসমের গোয়ালপাড়াতে ভারতের বৃহত্তম ডিটেনশন সেন্টার চালু হয়ে গিয়েছে এবং ভারতে বসবাসকারী হাজার হাজার মানুষকে `নাগরিক নয়’ তকমা দিয়ে আটকে রাখা হয় সেখানে।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সাল থেকে শীর্ষ আদালতে দাখিল করা দুই শতাধিক পিটিশন সিএএ বিধানকে চ্যালেঞ্জ করেছে। তাদের দাবি, আইনে বিজ্ঞাপিত নিয়মগুলো “অসাংবিধানিক”, “বৈষম্যমূলক” এবং সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত “নাগরিকত্বের ধর্মনিরপেক্ষ নীতি” লঙ্ঘন করেছে। সিএএ-এর সমালোচকরা যুক্তি দিয়েছিলেন যে, মুসলমানদের এর পরিধি থেকে বাদ দিয়ে এবং নাগরিকত্বকে ধর্মীয় পরিচয়ের সাথে যুক্ত করে, আইনটি ভারতীয় সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত ধর্মনিরপেক্ষ নীতিগুলোকে দুর্বল করে। ফলে ভোটের আগে ভারতের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নাগরিকতার প্রশ্নে উতপ্ত হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছে।

লেখক

লেখক: প্রফেসর, রাজনীতি বিজ্ঞান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও নির্বাহী পরিচালক, চট্টগ্রাম সেন্টার ফর রিজিওন্যাল স্টাডিজ, বাংলাদেশ (সিসিআরএসবিডি)।

Manabzamin