দেশে ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার আরো কমেছে

দেশব্যাপী কোভিড-১৯ টিকাদান শুরুর দিনে দেশে করোনাভাইরাস শনাক্তের হার আরও কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে ২.৩৫ শতাংশ।

পাশাপাশি, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৯২ জনের শরীরে নতুন করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ৩৮ হাজার ৬২ জনে পৌঁছেছে।

করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ২০৬টি পরীক্ষাগারে ১২ হাজার ৫৬২টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। অ্যান্টিজেন টেস্টসহ পরীক্ষা করা হয় ১২ হাজার ৪০৪টি নমুনা।

মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫২ শতাংশ।

এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৫৩১ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৮৩ হাজার ৩৭২ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৮৪ শতাংশ।

গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

বিশ্ব পরিস্থিতি

কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে বিশ্বব্যাপী মৃতের সংখ্যা ২৩ লাখ ছাড়িয়েছে। সেই সাথে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১০ কোটি ৫৭ লাখ অতিক্রম করেছে।

রবিবার সকাল ১০টার দিকে জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ২৩ লাখ ৯ হাজার জনে। এছাড়া, ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ কোটি ৫৭ লাখ ৪৫ হাজার ৯১৫ জনে।

চীনের উহানে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। গত ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।

করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ পর্যন্ত দেশটিতে ২ কোটি ৬৯ লাখ ১৪ হাজার ৯২৫ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৪ লাখ ৬২ হাজার ১৩৮ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।

পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারত রয়েছে করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় এবং মৃত্যু নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে। ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকলেও সর্বাধিক মৃতের সংখ্যায় রয়েছে দ্বিতীয়তে।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারতে মোট আক্রান্ত ১ কোটি ৮ লাখ ১৪ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৫৪ হাজার ৯১৮ জন। ব্রাজিলে মোট শনাক্ত রোগী ৯৪ লাখ ৪৭ হাজারের অধিক এবং মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৩০ হাজার ৩৪ জনের।

মেক্সিকো ১ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৬ জনের মৃত্যু নিয়ে এ ক্ষেত্রে তিন নম্বরে থাকালেও রোগীর সংখ্যা নিয়ে আছে ১৩তম অবস্থানে। সেখানে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ লাখ ২৬ হাজারের বেশি।

রোগী শনাক্তের দিক দিয়ে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি দেশ হলো- যুক্তরাজ্য (৩৯ লাখ ৪১ হাজারের বেশি), রাশিয়া (৩৯ লাখ ৭ হাজারের বেশি), ফ্রান্স (৩৩ লাখ ৭৬ হাজারের অধিক) ও স্পেন (২৯ লাখ ৪১ হাজারের বেশি)।

মৃতের দিক দিয়ে বিশ্বে পঞ্চম স্থানে আছে যুক্তরাজ্য (১ লাখ ১২ হাজার ৩০৫ জন)। তারপরে ইতালিতে ৯১ হাজার ৩ জন, ফ্রান্সে ৭৮ হাজার ৯৪০ জন ও রাশিয়ায় ৭৫ হাজার ১০ জন মারা গেছেন।

সূত্র : ইউএনবি