- অর্থনৈতিক প্রতিবেদক
- ২৭ জুন ২০২০
ইউএনডিপির এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় আঞ্চলিক কার্যালয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনায় সংক্রমণকালীন নাগরিকদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক সুরক্ষাদানের ক্ষেত্রে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ১৮ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ তলানিতে অবস্থান করছে। দেশগুলোর নেয়া সুরক্ষামূলক ব্যবস্থাকে আটটি সূচকে তুলনা করে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। এতে শ্রীলঙ্কা, নেপাল এবং পাকিস্তান সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণে বাংলাদেশের তুলনায় এগিয়ে রয়েছে। আট সূচকের মধ্যে বাংলাদেশ সরকার কেবল বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীদের ভাতা দেয়ার ক্ষেত্রে পদক্ষেপ নিয়েছে।
এদিকে বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক ও বিকেএমইএ সভাপতি এ কে এম সেলিম ওসমানের স্বাক্ষরিত যৌথ এই চিঠিতে দেশের অর্থনীতির প্রাণশক্তি পোশাক রফতানির সক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে শ্রমিক-কর্মচারীদের আগামী জুলাই, আগস্ট, সেপ্টেম্বরের বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য ‘আগের মতো’ সহজ শর্তে অর্থ বরাদ্দ দিতে অর্থমন্ত্রীকে অনুরোধ জানানো হয়। বর্তমানে শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেয়ার জন্য ৫০০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল থেকে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ হারে সার্ভিসচার্জ দিয়ে ঋণ নিতে পারছেন ৮০ শতাংশ পণ্য রফতানি করছে এমন সচল প্রতিষ্ঠান। ইতোমধ্যে এ তহবিল থেকে ঋণ নিয়ে এপ্রিল, মে ও জুন মাসের বেতন দিয়েছেন অনেক পোশাক কারখানার মালিক।
করোনাভাইরাসের ক্ষয়ক্ষতি বিবেচনায় গত ২৫ মার্চ প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে রফতানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের মজুরি দেয়ার জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেন। পরে অর্থ মন্ত্রণালয় নির্দেশনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ২ এপ্রিল সার্কুলার জারি করে। ওই সার্কুলারে বলা হয়, ৫০০০ কোটি টাকার বিশেষ প্যাকেজ থেকে ঋণ পাবে উৎপাদনের ন্যূনতম ৮০ শতাংশ পণ্য রফতানি করছে এমন সচল প্রতিষ্ঠান। ঋণের অর্থ দিয়ে কেবল শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে হবে। সুদবিহীন এ ঋণে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ হারে সার্ভিসচার্জ নিতে পারবে ব্যাংকগুলো।
ওই তহবিল থেকে ঋণ পেতে বিজিএমইএর সদস্য ১ হাজার ৩৭০ ও বিকেএমইএর সদস্য ৫১৯টি কারখানা আবেদন করেছিল। বিভিন্ন কারণে বিকেএমইএর ৯৯ সদস্য কারখানাসহ বেশি কিছু আবেদন বাতিল হয়। তবে এরপরও পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজের সিংহভাগ অর্থই ঋণ হিসেবে পেয়েছেন পোশাকশিল্পের মালিকরা। ফলে দুই মাস ধরে পোশাক শ্রমিকদের একটি বড় অংশের মজুরি হচ্ছে প্রণোদনার টাকায়।