- ২৪ ডেস্ক
সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ১ হাজার ৬৭৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ সদরদপ্তর শুক্রবার জানায়, এদের মধ্যে ৯০৬ জন পরোয়ানাভুক্ত ও মামলার আসামি এবং বাকি ৭৭১ জন অন্যান্য অভিযোগে আটক হয়েছেন। অভিযানকালে একটি এলজি, তিনটি একনলা বন্দুক, একটি রিভলবার, ককটেল, কার্তুজ এবং রামদাসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র জব্দ করা হয়।

এদিকে, রাজধানীতে নাশকতার পরিকল্পনা ও ঝটিকা মিছিলের প্রস্তুতির অভিযোগে নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের পাঁচ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন তৃণমূল জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম, গাজীপুরের তেলিহাটি ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সাবেক সদস্য রুহল আমিন, মংলা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য মো. জাহিদুল ইসলাম, শ্রীপুর উপজেলা শ্রমিক লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক সাথী আক্তার এবং কেরানীগঞ্জের কালিন্দী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. কামাল হোসেন। তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরেও বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে ২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে নিয়মিত মামলা ও পরোয়ানাভুক্ত আসামি রয়েছেন এবং এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এই ধরনের অভিযান চলবে।
অন্যদিকে, শাহ আলী থানা এলাকায় বৃহস্পতিবার রাতে একটি বাসে অগ্নিসংযোগের পর পালানোর সময় জনতার হাতে একজন ধরা পড়েছেন। এই ঘটনায় রুদ্র মোহাম্মদ নাহিয়ান আমির সানি (১৮) নামের এক তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। স্থানীয়রা ধাওয়া করলে তার সহযোগী সাইয়াফ (১৮) তুরাগ নদীতে ঝাঁপ দিয়ে ডুবে মারা যায় এবং আরেকজন পালিয়ে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, পলাতক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে নিষিদ্ধঘোষিত চার নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে পৌর এলাকার মোরগমহাল থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম সিরাজী এবং পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল আউয়ালসহ শাহজাহান ও খায়রুল ইসলাম। এ ঘটনার পর তাদের মুক্তির দাবিতে শতাধিক নেতাকর্মী থানার সামনে মিছিল করে। পুলিশ জানিয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের আটক করা হয়েছে এবং তিনজনের বিরুদ্ধে আগে থেকেই মামলা ছিল। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে এবং গ্রেপ্তারকৃতদের জেলা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।









