দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে সরকার: বাম গণতান্ত্রিক জোট

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশে হামলা, তা পণ্ড করা ও সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট।

এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে ও সরকারের পদত্যাগের দাবিতে ৩০ অক্টোবর বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ ও সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাম জোট।

শনিবার বিকেলে রাজধানীতে বাম গণতান্ত্রিক জোটের অস্থায়ী কার্যালয়ে এক জরুরি সভা করে জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা কমিটি। সভা শেষে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিএনপির মহাসমাবেশে হামলার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানানো হয়। সভার সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বাম জোটের সমন্বয়ক ইকবাল কবির জাহিদ।

বিজ্ঞপ্তিতে বাম জোট বলেছে, মহাসমাবেশের পূর্বানুমতি থাকা সত্ত্বেও তল্লাশির নামে হয়রানি, সমাবেশে পুলিশের কাঁদানে গ্যাসের শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ—এমনকি সমাবেশের মাইক বন্ধ করে সরকার ‘চরম ফ্যাসিবাদী’ আচরণ করেছে।

জোটের নেতারা অভিযোগ করেন, ন্যূনতম গণতান্ত্রিক পরিবেশও ধ্বংস করে সরকার দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে এবং নানা চক্রান্ত ও তৎপরতার পথ প্রশস্ত করছে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি পূরণ ও সরকারকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানান তাঁরা। দেশকে ‘পুলিশি রাষ্ট্রে’ পরিণত করার প্রতিবাদে আন্দোলন বেগবান করার আহ্বানও জানান বাম জোটের নেতারা।

সভায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মো. শাহ আলম, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সহসাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (মার্ক্সবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা, সমাজতান্ত্রিক পার্টির আবদুল আলী, বিপ্লবী সমাজতান্ত্রিক পার্টির শহীদুল ইসলাম প্রমুখ আলোচনায় অংশ নেন।

প্রথেম আলো