চুক্তি অনুযায়ী ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয় দলের কোচ হিসেবে থাকার কথা চন্ডিকা হাথুরুসিংহের। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের আগেই শেষ হতে যাচ্ছে হাথুরুসিংহের বাংলাদেশ অধ্যায়। আজ মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় সংবাদ সম্মেলনে হাথুরুসিংহেকে ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিতে পারেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। লঙ্কান এই কোচের বিরুদ্ধে অভিযোগ, আচরণবিধি লঙ্ঘন ও অসদাচরণ। জানা যায়, কোচ হিসেবে তার জন্য নির্ধারিত ছুটির চেয়ে বেশি ছুটি তিনি কাটিয়েছেন দুই বছরেই।
প্রধান কোচ হাথুরুসিংহের জন্য বছরে বরাদ্দকৃত ছুটি ৪৫ দিন। গত বছর তিনি কাটিয়েছেন ৬৭ দিন, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৫৯ দিন। বাড়তি ছুটি কাটানোর ক্ষেত্রে বিসিবির কাছ থেকে অনুমতিও নেননি তিনি। এটাকে আচরণবিধি ভঙ্গ হিসেবে দেখছে বিসিবি। এর বাইরে গত ওয়ানডে বিশ্বকাপ চলাকালীন এক ক্রিকেটারের সঙ্গে বাজে আচরণের একটি বিষয় বেশ সমালোচনার জন্ম দেয়।
আগামী ২১ অক্টোবর থেকে শুরু হবে বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। গুঞ্জন আছে, দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের আগেই হাথুরুর বিকল্পও ভেবে রেখেছে বাংলাদেশ।
কোচ হাথুরুসিংহেকে নিয়ে পুরোনো দ্বন্দ্ব আছে বিসিবির নতুন বস ফারুক আহমেদের। ২০১৬ সালে দল নির্বাচনে হাথুরুর হস্তক্ষেপের কারণেই প্রধান নির্বাচকের পদ থেকে সরে গিয়েছিলেন ফারুক। বোর্ড প্রধানের দায়িত্ব নেওয়ার আগে একটি টিভি চ্যানেলের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ফারুক আহমেদ বলেছিলেন, ‘আমি মনে করি না বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জন্য হাথুরু খুব কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম।’
রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বিসিবির সভাপতির চেয়ারে বসেই আগের সিদ্ধান্তেই অটল থাকার কথা জানান ফারুক আহমেদ। দায়িত্ব নেবার প্রথম দিনেই হাথুরুকে বাংলাদেশ দলে না রাখার বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।
অভিযোগ আছে, প্রথম মেয়াদের মতো দ্বিতীয় মেয়াদেও বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনকে ‘ম্যানেজ’ করে চলতেন হাথুরুসিংহে। যে কারণে ওয়ানডে বিশ্বকাপে দলের ভরাডুবি, টি২০ বিশ্বকাপের সুপার এইটে হতাশাজনক পারফরম্যান্সেও কোচের কোনো দায় দেখেনি বিসিবি। ফারুক আহমেদ মনে করেন, হাথুরুসিংহে দেশের ক্রিকেটের কাঠামো নষ্ট করে দিয়েছেন।
samakal