এর আগে শ্রমিকরা শাখা সড়ক থেকে মিছিল নিয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন। এ সময় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের দুই পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানান, তিন মাসের বেতন ও এক বছরের ছুটির টাকা দিচ্ছে না। প্রথম আন্দোলন করার পর এক মাসের অর্ধেক বেতন দেয় মালিক। টাকা না পাওয়ায় আমরা ঘর ভাড়া দিতে পারছি না। বাড়ির মালিক আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার শুরু করে দিয়েছে। এ অবস্থায় আমরা কি করবো ভেবে পাচ্ছি না। এক পর্যায় বাধ্য হয়ে মহাসড়ক অবরোধ করেছি।
আন্দোলনরত শ্রমিক রুনা জানান, এই কারখানায় এক বছর ধরে বেতন নিয়ে ঝামেলা করতেছে। তিন মাসের বেতনের মধ্যে মাত্র এক মাসের বেতনের অর্ধেক দিয়েছে। আমাদের দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। দরকার পরলে রাস্তায় শুয়ে পরবো, তারপরও দাবি মানা না পর্যন্ত আন্দোলন থামবে না।
আরেক শ্রমিক রাবেয়া জানান, আমি এই কারখানায় অনেক বছর ধরে কাজ করতেছি। বেতন নিয়ে ঝামেলা লেগেই আছে। আমার স্বামী কারখানায় ১০ বছর ধরে কাজ করেন। একদিন কাজ করতে করতে হঠাৎ স্টোক করে মারা যান কারখানার ভেতরেই। কারখানা কর্তৃপক্ষ আমার স্বামীর মৃত্যুতে কোনো সহযোগিতা করেনি। তাদের সাথে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের টঙ্গী জোনের সহকারী পুলিশ সুপার মোশাররফ হোসেন বলেন, মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে। আমরা শ্রমিকদের বুঝানোর চেষ্টা করছি।
samakal