- by খেলাধুলা প্রতিবেদক
অনেক সমালোচনা, চাপের অগ্নিগর্ভ ছেড়ে বের হয়েছেন মুমিনুল হক। নিজেই সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন টেস্ট দলের অধিনায়কের পদে আর থাকতে চান না। ব্যাটিংয়ে মনোযোগী হতে চান তিনি। টেস্ট দলের নতুন অধিনায়কের ভাবনায় অনেক নামই উঠে এসেছে। সিনিয়রদের মধ্যে তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান আছেন। তবে প্রথম দুজন এ দায়িত্ব নিতে চান না। এ তালিকায় তরুণদের নামও উঠে আসছে।
বিশেষ করে লিটন দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাজমুল হোসেন শান্ত’র কথাও ক্রিকেটপ্রেমীদের আলোচনায় আছে। লিটন দাস এখন দুর্দান্ত ফর্মে আছেন। মিরাজও সাদা পোশাকে নিজের কার্যকারিতা প্রমাণ করেছেন। তবে শান্ত’র জায়গা এখনও টেস্ট দলে বেশ নড়বড়ে।
বিসিবি অবশ্য এখনই তরুণদের উপর এমন চাপ দিতে চায় না। নেতৃত্বের ভাবনায় তরুণরা অনেক পিছিয়ে, সেটা টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনই স্পষ্ট করে দিলেন। দীর্ঘমেয়াদে কাউকে টেস্ট অধিনায়ক করার পক্ষে বিসিবির এ পরিচালক, ‘যেই হোক না কেন, আমি মনে করি অন্তত দুই বছর, একটা অধিনায়ককে সময় দেওয়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
লিটন দাসের প্রসঙ্গ আসতেই সুজন জানালেন, একটু তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে। কারণ সদ্যই ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করছেন লিটন। তার ব্যাটিংয়ের সুফল পাচ্ছে দল। আর অধিনায়ক হতে গেলে যে বাড়তি গুণ দরকার সেটা এখনও এই তরুণরে মাঝে দেখতে পাচ্ছেন না সুজন।
বিসিবির এ পরিচালক আরও বলেন, ‘এখনই বলাটা তাড়াতাড়ি হয়ে যায়, সত্যি বলতে লিটন খুবই অন্তর্মুখী একজন ক্রিকেটার। আমি সব সময় এক্সট্রোবার্ট পছন্দ করি। আমি বলব, লিটন বেশ পরিষ্কার মাথার একজন। ওর ক্রিকেট জ্ঞান খুবই ভালো। আসলে এমন কাউকে অধিনায়কত্বের ভার দিতে হবে যে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পারবে। ড্রেসিং রুমের পরিবেশ সামলানোও গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি দলের সংস্কৃতি উন্নতি করাটাও জরুরি। এ ক্ষেত্রে অধিনায়কের ভূমিকাটা অনেক বেশি থাকে।’