তাইজুলের ঘূর্ণিতে ২১৪ রানে অলআউট আয়ারল্যান্ড

  • নয়া দিগন্ত অনলাইন
  •  ০৪ এপ্রিল ২০২৩, ১৬:৫৩, আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০২৩, ১৭:৪৮
ঘূর্ণি জাদুতে আজ ৫টি উইকেট শিকার করেন তাইজুল – ছবি : সংগৃহীত

আগের দিনই বলা হয়েছিল আগ্রাসী ক্রিকেট খেলতেই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বাংলাদেশ। আজ একাদশেও তার নমুনা দেখা গেল, ৬ বোলার নিয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশ। শুধু তাই নয়, মিরপুরে এইদিন ছয় স্লিপ ফিল্ডার নিয়ে বল করেন পেসাররা। তবে দিনশেষে টাইগারদের সেরা বোলার তাইজুল ইসলাম। ঘূর্ণি জাদুতে পাঁচ উইকেট তুলে নেন তিনি। সুবাদে ২১৪ রানেই থামে আইরিশদের ইনিংস।

মঙ্গলবার টস জিতে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের পেস বোলারদের আগ্রাসনের মুখোমুখি হয় আইরিশরা। ফলও আসে দ্রুত, দলীয় ১১ রানে ভাঙে আইরিশদের উদ্বোধনী জুটি। ম্যারি কামিন্সকে ফেরান এবাদত হোসেন। পরের দুটো উইকেটও দ্রুত তুলে নেয় বাংলাদেশ। দলীয় ২৭ রানে শরিফুল ইসলাম ফেরান জেমস ম্যাককালামকে, ৩৪ বলে ১৫ রান করে শান্তকে ক্যাচ দেন তিনি।

খানিক বাদে অধিনায়ক এন্ডি বালবির্নি ফেরেন ৫০ বলে ১৬ রান করে, তাকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন তাইজুল। ৬৫ রানে ৩ উইকেট নিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে যায় আইরিশরা। তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় আয়ারল্যান্ড। লাঞ্চ থেকে ফিরে উল্টো বাংলাদেশের বোলারদের পরীক্ষা নিতে শুরু করেন ক্যাম্ফার ও ট্যাক্টর। দেখে শুনে খেলে দ্রুতই দলকে তিন অংকের ঘরে পৌঁছে দেন দু’জনে। সাথে ট্যাক্টর তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি।

তবে এরপর আর এগোতে পারেননি এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। মেহেদী হাসান মিরাজের চমৎকার এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে ৫০ রানেই ফেরেন টেক্টর। পরের ওভারে ক্রিজে আসা পিটার মুরকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান তাইজুল। পরের ওভারে এসে ক্যাম্ফারকেও ফেরান এই স্পিনার। ৩৪ রান করেন ক্যাম্ফার।

ফলে ধস নামে তাদের ব্যাটিং লাইনআপে। ১২২-৩ থেকে মুহূর্তেই স্কোরবোর্ড দাঁড়িয়েছে ১২৪-৬! অর্থাৎ ২ রান যোগ করতেই আয়ারল্যান্ড হারিয়েছে ৩ উইকেট। চা বিরতিরে যাবার কালে সফরকারীদের সংগ্রহ ১৪৬/৬।

এরপর লরকান টাকার ও মাকবির্নি মিলে অপরাজিত ৩৫ রানের জুটি গড়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন, তবে ১৯ রান করে এবাদতের শিকার হন ম্যাকবির্নি। এরপর মার্ক অ্যাডায়ারের সাথে ৪০ রানের জুটি গড়েন টাকার। টাকারকে ৩৭ রানে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন তাইজুল। এরপর ৩২ রান করা মার্ক অ্যাডায়ারকেও ফিরিয়েছেন তিনি। আর শেষ উইকেট তুলে নেন মেহেদি মিরাজ।

২১৪ রানে থামে আয়ারল্যান্ডের ইনিংস। তাইজুল ইসলামের ৫ উইকেট ছাড়াও এবাদত হোসেন ও মেহেদী মিরাজ নেন দুটো উইকেট। ১টি উইকেট যায় শরিফুল ইসলামের ঝুলিতে।