- অনলাইন প্রতিবেদক
- ২৪ আগস্ট ২০২২, ১৮:১৩
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারকে পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সংসদ ভেঙে নির্বাচন দিতে হবে। সেই নির্বাচন হতে হবে ব্যালটে।
তিনি বলেন, সরকার ৩০০ আসনে ইভিএম চেয়েছিল, কমিশন সমঝোতার মাধ্যমে অর্ধেক আসনে সরকারের সাথে রফা করেছে। এর মাধ্যমে এটাই প্রমাণিত নির্বাচন কমিশন সরকারের হয়েই কাজ করছে। বিএনপি নির্বাচন কমিশন নিয়ে ভাবছে না। সরকার সরিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে।
বুধবার বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যৌথসভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) সরকারের নির্দেশে আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় আনতে ১৫০ আসনে ইভিএমের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি বলেন, সরকারের সাথে ইসির সমঝোতা হয়েছে। যার মাধ্যমে সরকারের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে। ইভিএমে ভোটের মাধ্যমে ইসি সরকারের ইচ্ছার চূড়ান্ত প্রতিফলন ঘটাবে। বিএনপি এসব ইভিএম মানে না।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে হত্যা করা হয়েছে। বিভিন্নভাবে দেশের জাতীয়তাবাদকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছিল। অনেক চড়াই উতরাই গেছে বিএনপির। বিএনপি আবার বেগম জিয়ার নেতৃত্বে জেগে উঠেছে। কিন্তু তিনি কারান্তরীণ হয়ে আছেন। বিএনপির জন্ম ক্যান্টনমেন্ট আর ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে যারা বলেন, তারা অসত্য বক্তব্য দিচ্ছেন, বরং তারাই সে পথ ধরেই নিজেরা আসছে।
তিনি বলেন, জনগণের অধিকার হরণ করে সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে জবরদখল করে ক্ষমতায় টিকে আছে বর্তমান আওয়ামী লীগ। তারা কথা বলে একরকম, কাজ করে অন্যরকম। প্রধানমন্ত্রী একদিকে বললেন, সভা-সমাবেশ করতে দেবেন, কিন্তু অন্যদিকে ভোলায় দুই কর্মীকে গুলি করে হত্যা করা হলো।
ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকারের হাত থেকে জনগণ মুক্তি চায়। ইভিএম নিয়ে বিএনপির কোনো আগ্রহ নেই। সরকার পরিবর্তন না হলে কোনো কমিশনের অধীনেই নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না।
তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য মতে খেলা হচ্ছে, কিন্তু সেটা মানুষের বাসায় আর বিরোধী রাজনৈতিক দলের উপর। সভা-সমাবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না।
সভায় দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব, যুগ্ম-মহাসচিববৃন্দ, ঢাকা মহানগর উত্তর এবং দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিববৃন্দ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি/আহ্বায়ক, সাধারণ সম্পাদক/সদস্য সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।