ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ‘বাংলাদেশের সব সরকারি সংস্থা, সরকারি অধিদপ্তর যা আছে, তার মধ্যে একমাত্র ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন সবচেয়ে দুর্নীতিমুক্ত প্রতিষ্ঠান।’
আজ মঙ্গলবার দায়িত্ব গ্রহণের তৃতীয় বর্ষপূর্তিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ফজলে নূর তাপস এমন দাবি করেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটির নগর ভবনের মেয়র হানিফ মিলনায়তনে ‘উন্নত ঢাকার উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় ৩ বছর’ শীর্ষক এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, উদ্দেশ্য ছিল সুশাসিত ও দুর্নীতিমুক্ত ঢাকা দক্ষিণ সিটি দাঁড় করানো। এই তিন বছরে আজকে বলতে পারি, একমাত্র ঢাকা দক্ষিণ সিটি সবচেয়ে দুর্নীতিমুক্ত প্রতিষ্ঠান। কারণ, প্রথম দিন থেকেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা ‘শূন্য সহনশীল’।
এই সবকিছুর মাধ্যমে ঢাকা দক্ষিণ সিটিকে সুশাসিত নগর প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করা হয়েছে জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘করপোরেশনের কোথাও আর কোনো দুর্নীতির আখড়া সৃষ্টি হতে দেব না। করপোরেশনের যেসব শাখায় দুর্নীতির আখড়া ছিল, সেগুলো ভেঙে দেওয়া হয়েছে।’
পরিবহনচালক, পরিচ্ছন্নতাকর্মী এবং রাজস্ব বিভাগের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের চক্র ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলেও মেয়র তাপস উল্লেখ করেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটির বেদখলে থাকা সম্পত্তি দখলমুক্ত করেছেন জানিয়ে মেয়র তাপস আরও বলেন, তিন বছরে ৩৪ একর জায়গা দখলমুক্ত করা হয়েছে। যে সম্পত্তির বাজারমূল্য প্রায় ৩ হাজার ১০০ কোটি টাকা। এখন যেকোনো দখলদার দখলের আগে অন্তত তিনবার চিন্তা করে।
মেয়র বলেন, ‘প্রতি সপ্তাহের বুধবার আমি যখন বিভিন্ন ওয়ার্ড পরিদর্শনে যাই, তখন দখলদারেরা আতঙ্কে থাকে। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, দক্ষিণ সিটিতে অবৈধ দখলদারদের সময় শেষ।’
ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘মশকনিধনে আমরা যে কর্মপরিকল্পনা নিয়েছি, বছরব্যাপী মশকনিধন কর্মপরিকল্পনার আওতায় আমরা ঢাকাবাসীকে সুফল দিতে পারছি। আমাদের মশকনিধন কার্যক্রম এখন বছরব্যাপী, যেখানে এক দিনও কোনো ব্যত্যয় হওয়ার আর কোনো সুযোগ নেই। অগ্রিম সব কর্মপরিকল্পনা নিয়ে থাকি। কীটনাশক আমদানি, মানসম্পন্ন কীটনাশক ব্যবহার, জনবল যান যন্ত্রপাতি নিয়ন্ত্রণ ও মজুত আমরা নিশ্চিত করি।’
সংবাদ সম্মেলনে মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস গত তিন বছরে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে যেসব কাজ করেছেন এবং যে কাজগুলো করার জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়েছেন, সেগুলোর বিস্তারিত আলোচনা করেন। সংবাদ সম্মেলন শেষে তিনি কর্মকর্তা ও কাউন্সিলরদের নিয়ে তৃতীয় বর্ষপূর্তির কেক কাটেন। এর পরে নগর ভবনের সামনে মেয়র বেলুন ওড়ান ও গাছের চারা রোপণ করেন।