ঢাকায় পশ্চিমা দূতাবাসগুলোর যৌথ বিবৃতি: অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই

 আমার দেশ
৬ ডিসেম্বর ২০২২

ঢাকাস্থ ১৫টি কূটনৈতিক মিশনের যৌথ বিবৃতি

ঢাকাস্থ ১৫টি কূটনৈতিক মিশনের যৌথ বিবৃতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে ঢাকাস্থ ১৫টি কূটনৈতিক মিশনের যৌথ বিবৃতিতে অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশের নিশ্চয়তার তাগিদ দিয়েছে।

এক বিবৃতিতে তারা বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী প্রক্রিয়ার গুরুত্বারোপ করেছে।

মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইংরেজি ও বাংলা দুই ভাষাতেই বিবৃতিটি প্রকাশ করেছে। বিবৃতিদাতা দেশ গুলোর মধ্যে রয়েছে-অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশন, বৃটিশ হাইকমিশন, কানাডিয়ান হাইকমিশন, ডেনমার্ক দূতাবাস, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ডেলিগেশন, ফ্রান্স দূতাবাস, জার্মান দূতাবাস, ইটালি দূতাবাস, জাপান দূতাবাস, নেদারল্যান্ডস দূতাবাস, নরওয়ে দূতাবাস, স্পেন দূতাবাস, সুইডিশ দূতাবাস, সুইজারল্যান্ড দূতাবাস ও যুক্তরাষ্ট্র।

এই ১৫টি পশ্চিমা দেশের কূটনৈতিক মিশনের যৌথ বিবৃতিতে মানবাধিকার সুরক্ষা ও উন্নয়ন উৎসাহিত করার ক্ষেত্রে গণতন্ত্রের মৌলিক ভূমিকার বিষয়টি উল্লেখ করে বলা হয়েছে-মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণাপত্রে সংরক্ষিত স্বাধীনতা উদযাপন এবং ঘোষণাপত্রে বর্ণিত বিভিন্ন অঙ্গীকারের মধ্যে স্বাধীন মতপ্রকাশ, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও নির্বাচন বিষয়ে জাতিসংঘের সকল সদস্য রাষ্ট্রের অঙ্গীকার রক্ষার গুরুত্ব রয়েছে।

বিবৃতিতে আরো উল্লেখ করা হয়, অর্থপূর্ণ অংশগ্রহণ, সমতা, নিরাপত্তা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক মানবিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য অনুকরণীয় মূল্যবোধ ও নীতি হিসেবে এই দেশ গুলো গণতান্ত্রিক শাসনকে সমর্থন ও উৎসাহিত করে।

বিবৃতিতে বাংলাদেশের বন্ধু ও অংশীদার হিসেবে এদেশের সাফল্যকে আরো উৎসাহিত করতে আগ্রহী এবং মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে অবাধ, সুষ্ঠু, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী প্রক্রিয়ার গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করা হয়।

ঢাকায় পশ্চিমা দূতাবাসগুলোর যৌথ বিবৃতি

ঢাকায় পশ্চিমা দূতাবাসগুলোর যৌথ বিবৃতি

উল্লেখ্য, ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস। এই দিবস উপলক্ষ্যে ঢাকাস্থ ১৫টি পশ্চিমা দেশ যৌথ বিবৃতিটি এমন এক সময় দেওয়া হয়েছে, যখন ফ্যাসিবাদী সরকার ঢাকায় বিএনপি’র মহাসমাবেশ নিয়ে নানা টালবাহানা করছে। বিশেষ অভিযানের নামে পাইকারি হারে বিএনপি’র নেতা-কর্মীদের গ্রেফতারের পাশাপাশি পুরাতন মামলায় জামিন বাতিল করে নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করছে।