ডিএমপি কমিশনারের লজ্জা থাকলে এই কথা বলতেন না : হিরো আলম

  • নয়া দিগন্ত অনলাইন
  •  ২৩ জুলাই ২০২৩, ১৫:৫৬, আপডেট: ২৩ জুলাই ২০২৩, ১৬:০১

ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম তার ওপর হামলার ব্যাপারে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেছেন, তার লজ্জা থাকলে এই কথা বলতেন না।

রোববার ঢাকা-১৭ উপ-নির্বাচন বাতিল ও পুনর্নির্বাচনের দাবি নিয়ে নির্বাচন কমিশনে এসে তিনি এ মন্তব্য করেন।

‘উপনির্বাচনের দিন পুলিশকে না জানিয়ে একই কেন্দ্রে দুইবার যাওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমকে নিরাপত্তা দিতে পারেনি পুলিশ। আর সেই সুযোগে দুষ্কৃতকারীরা তার ওপর হামলা করে থাকতে পারে’ ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক গতকাল শনিবার এমন মন্তব্য করেন।

এর পরিপ্রেক্ষিতে হিরো আলম বলেন, ‘ডিএমপি কমিশনার ফারুক স্যার যা বলেছেন তা খুবই দুঃখজনক ও লজ্জাজনক। তার লজ্জা থাকলে এই কথা বলতেন না। কারণ একটাই উনি বলেছেন- আমি নাকি একই কেন্দ্রে দুইবার গেছি। দৃষ্টি আকর্ষণ করছি আপনি ভিডিও ফুটেজগুলো দেখবেন? ওই কেন্দ্রে দুইবার গেছি কি না।’

তিনি বলেন, ভোটকেন্দ্রের বাইরে নিরাপত্তা দেবেন না, এটা ভুল ধারণা। পুলিশ সারাদেশে নিরাপত্তা দেবে এটাই পুলিশের কর্তব্য। পুলিশের দায়িত্ব পুরো এলাকার নিরাপত্তা দেয়া, তাহলে কেন্দ্রে কেন দেবে না? অথচ দেখলাম আমাকে যারা মারধর করছে পুলিশ তাদের বের করে দিচ্ছে। তাদের উচিত ছিল আমাকে উদ্ধার করে সসম্মানে বাড়িতে পৌঁছে দেয়া। যখন আমাকে ওরা বেদম মারছিল তখন পুলিশের কাজ ছিল আমাকে রক্ষা করা। পুলিশ আমাকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। পুলিশ আমাকে কোনোদিনই নিরাপত্তা দিতে পারেনি।

হিরো আলম কি ভাইরাল হওয়ার জন্য নির্বাচনে দাঁড়ায়? এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভাইরাল নয়, জনগণের জন্য কথা বলতেই ভোটে দাঁড়াই- এটা কি আমার অন্যায়? একটা জায়গায় অন্যায় হচ্ছে, অন্যায়ের প্রতিবাদ করছি এটা কি আমার অন্যায়? অনেকে বলে হিরো আলম ভাইরাল হতে এগুলো করছে, এটা সত্য নয়। আমি আপনাদের জন্য কথা বলতে চাই, জীবনের পরোয়া করি না। যখন যে সমস্যা হচ্ছে তখন প্রতিবাদ করছি। হিরো আলম ভাইরাল হয়েছে ২০১৬ সাল থেকে এটা নতুন নয়। আমি অভিনয়ের মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছি।

ঢাকা-১৭ আসনে নির্বাচনে জাল ভোট দেয়া হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, ঢাকা-১৭ আসনে ভোট জাল হয়েছে। ১২ ও ১৩ বছরের ছেলেমেয়েরা ভোট দিয়েছে। অনেকে ২০ থেকে ৩০টা ভোট দিয়েছে, এটা মুখের কথা নয়, আমার কাছে প্রমাণ আছে। আমার কাছে ভিডিওফুটেজ আছে তা ইসিতে জমা দিয়েছি। স্পিকারকে অনুরোধ করব যতক্ষণ বিচার না হয়, ততক্ষণ আরাফাত ভাইকে শপথগ্রহণ করাবেন না।