আজ শনিবার ‘একতরফা ভোট বর্জন করুন’ এই আহ্বানে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চের গণসংযোগপূর্ব সমাবেশে নেতারা এসব কথা বলেন। সমাবেশ শেষে মঞ্চের নেতারা লিফলেট বিতরণ করেন।
নেতারা বলেন, দেশ একটা ভয়াবহ বিপর্যয়ের দিকে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নিজেও সেকথা জানেন বলে দুর্ভিক্ষের কথা বলছেন। দেশে যে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট তৈরি হতে যাচ্ছে, তা সামাল দিতে তিনি পারবেন না, সেটা তিনিও জানেন। এরই মধ্যে লোপাটকৃত ৯২ হাজার কোটি টাকার গরমিল সামনে এসেছে।
গণতন্ত্র মঞ্চের নেতার বলেন, সংবিধানের কথা বলে যারা ভুয়া নির্বাচন ও প্রহসনের নির্বাচন করছেন, তারা জনগণের চোখে ধুলা দিতে পারবেন না। কেননা, সংবিধানের ১২৩ নম্বর আর্টিকেলের খ-তে এখনো সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচন করার পরিস্থিতি আছে। নতুন অধিবেশন ডেকে এরপর সে-সময় থেকে ৯০ দিন পর নতুন নির্বাচন দেওয়া যাবে। কাজেই সংবিধানের দোহাই খাটে না।
নেতারা আরও বলেন, ইনু-মেননের রাজনীতি শেষ। স্বতন্ত্র রাজনীতি বলে কিছু নাই; তারা নৌকা ছাড়া নির্বাচন করতেও পারছে না। এরা (আওয়ামী লীগ) দেশে যা খুশি তাই করছে। নির্বাচন নিয়ে চলছে নাটক ও তামাশা। এখন নির্বাচনী নাটকে কে কে অভিনয় করবে, সেটা প্রধানমন্ত্রী একাই ঠিক করছেন। ডামি প্রার্থী, স্বতন্ত্র প্রার্থী, বিদ্রোহী ও নৌকার প্রার্থী দিচ্ছেন। এরপর নাটকটা হবে। এভাবেই যদি একতরফা ভোট সম্পন্ন হয়, তাহলে দেশের জনগণ তাদের ক্ষমা করবে না।
রাষ্ট্রসংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুয়ের সভাপতিত্বে সমাবেশে
উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি’র সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দীন মাহমুদ স্বপন প্রমুখ।
সমকাল