এই শাসকগোষ্ঠীকে যুদ্ধ করে নামাতে হবে : ইশরাক

  • অনলাইন প্রতিবেদক
  •  ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২০:৫১
বক্তব্য রাখছেন ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। – ছবি : নয়া দিগন্ত

বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেছেন, বর্তমান শাসকদল নিজেদের রাজপরিবার ভাবছেন। ব্যাংকগুলো নিজেদের সম্পদ মনে করে খালি করে দিচ্ছেন। দেশটাকে ফোকলা বানিয়ে দিচ্ছেন। লুট করে দেশের মানুষকে অভাবে রেখে বিদেশে টাকা পাচার করছেন।

তিনি বলেন, এদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে নামাতে হবে। এরা কখনো আপসে আসেনি, আসবেও না। এজন্য গড়ে তুলতে হবে দূর্বার আন্দোলন। আর এজন্য রাজনীতি ঢাকা থেকেই এ সরকারের পতন যাত্রা শুরু হবে। আর আন্দোলনে সরকারের সকল অন্যায় অবিচার চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যাবে।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ধোলাইখালে খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ একদফা দাবিতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

সমাবেশে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেয়। ধোলাইখাল চৌরাস্তায় এ সমাবেশ হওয়ার কথা থাকলেও এর পরিধি রায়ের শাহ বাজার, টিপু সুলতান রোড, এবং লক্ষ্মীবাজার পর্যন্ত বিস্তৃতি হয়ে পড়ে।

ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

ইশরাক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভাতিজা কোটায় অবৈধভাবে মেয়র হয়ে নগরবাসীর দিকে তার কোনো নজর নেই। প্রতিদিন ১৪ তেকে ১৮ জন মারা যাচ্ছে সেদিকে তার দৃষ্টি নেই। দৃষ্টি বিএনপির দিকে।

তিনি বলেন, মির্জা ফখরুলকে ঢাকায় ঢুকতে দেয়া হবে না। আরে আপনি নিজেইতো অবৈধ। ঢুকতে দেয়ার আপনি কে? দেশ কি আপনার পৈতৃক সম্পত্তি?

তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকারকে দেয়া আল্টিমেটামের ২৪ ঘণ্টা অতিবাহিত হয়ে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো ভুমিকা দেখছি না। আজকে শুধু খালেদা জিয়া বন্দী নয়, বন্দী দেশের গণতন্ত্র বন্দী দেশের জনগণ।

ইশরাক বলেন, আজ বিএনপি নেতা মজনু, রবিনসহ লাখো নেতাকর্মী বন্দী। আপনারা হতাশ হবেন না। সময় এসেছে কেরানীগঞ্জের কারাগার ভেঙেই আপনাদের মুক্ত করার।

ঢাকা দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব লিটন মাহমুদের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপার্সনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সহ-স্বেচ্ছাসেবক সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল, কাজী আবুল বাসার, রওনকুল ইসলাম টিটু, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, অর্পণা রায়, ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবী, মোশাররফ হোসেন খোকন, আব্দুস সাত্তার, যুবদলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক খন্দকার এনাম প্রমুখ।