ডলার সংকটে হাসপাতালে জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জামের ঘাটতি

জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জামের জন্য বিদেশ থেকে আমদানির ওপর নির্ভর করতে হয় দেশের হাসপাতালগুলোকে। বিশেষ করে হৃদরোগ, অর্থোপেডিক, চক্ষু, ক্যান্সার, জেনারেল সার্জারি, স্নায়বিক রোগের চিকিৎসা ও অস্ত্রোপচারের প্রায় শতভাগ সরঞ্জামই আমদানি করতে হয়। বর্তমানে এগুলো আনায় ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে বিদ্যমান ডলার সংকট। সরঞ্জামের অভাবে দেশের হাসপাতালগুলোয় এখন বড় অস্ত্রোপচারের সংখ্যাও কমার পথে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

সবচেয়ে বেশি আশঙ্কা তৈরি হয়েছে হৃদরোগের সার্জারি নিয়ে। ব্যাঘাত ঘটছে অর্থোপেডিকসহ অন্যান্য অসংক্রামক রোগের চিকিৎসায়ও। ডলার সংকটের কারণে চিকিৎসা সরঞ্জাম আমদানির জন্য ব্যাংকে এলসি (ঋণপত্র) খোলা বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে। আমদানি কমে যাওয়ায় সরবরাহ এখন চাহিদার অর্ধেকে নেমে এসেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

অসংক্রামক রোগের চিকিৎসার জন্য অতিজরুরি সরঞ্জাম আমদানি ব্যাহত হওয়ায় চিকিৎসায় ব্যাঘাতের পাশাপাশি রোগীদের মৃত্যুঝুঁকিও বাড়ছে। বাংলাদেশ মেডিকেল ইনস্ট্রুমেন্টস অ্যান্ড হসপিটাল ইকুইপমেন্ট ডিলার অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা গেছে, দেশে বছরে অন্তত ১০ হাজার কোটি টাকার চিকিৎসা সরঞ্জাম ও মেডিকেল ডিভাইসের প্রয়োজন হয়। এর মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশই আমদানি করতে হয়। হৃদরোগের চিকিৎসার পাশাপাশি নিউরো সার্জারি, কিডনি সার্জারি, অর্থোপেডিক সার্জারির মতো গুরুত্বপূর্ণ ও জটিল সার্জারির সরঞ্জামও নিয়মিতভাবে বিদেশ থেকে আনতে হয়। এছাড়া রোগ নিরীক্ষা ও জীবাণুনাশের যন্ত্রসহ গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা সরঞ্জামের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ প্রধানত আমদানিনির্ভর।

দেশে অসংক্রামক রোগে মৃতদের মধ্যে সর্বোচ্চসংখ্যক হলেন হৃদরোগী। বাংলাদেশের হাসপাতালগুলোয় হৃদরোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত সরঞ্জামের শতভাগই আমদানি করতে হয়। এসব ডিভাইস ও সরঞ্জামের মধ্যে রয়েছে হৃদযন্ত্রের রিং, ভালভ, পেস মেকার, অক্সিজেনেটর। বাংলাদেশে প্রতিদিন কতসংখ্যক অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে হৃদযন্ত্রে এসব সরঞ্জাম স্থাপন করা হয়, তার কোনো সঠিক পরিসংখ্যান নেই। তবে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল এবং বাংলাদেশ মেডিকেল ইনস্ট্রুমেন্টস অ্যান্ড হসপিটাল ইকুইপমেন্ট ডিলার অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, দেশে মোটাদাগে হৃদরোগের চিকিৎসা সরঞ্জাম আমদানি করে চারটি প্রতিষ্ঠান। বছরে সারা দেশে প্রায় তিন হাজার পেস মেকার, চার থেকে ছয় হাজার অক্সিজেনেটর, ৩৫ হাজারের বেশি রিং ও প্রায় দেড় হাজার ভালভের চাহিদা রয়েছে। বর্তমানে এ চাহিদার ৫০ শতাংশও পূরণ করতে পারছে না আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো।

হৃদরোগের চিকিৎসার গুরুত্বপূর্ণ এসব সরঞ্জাম আমদানিকারক তিনটি প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দেশে হার্টের ভালভ ও অক্সিজেনেটর আমদানি করা হয় জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে। ডলার সংকটের কারণে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে এসব সরঞ্জাম আনতে গিয়ে বিপত্তিতে পড়তে হচ্ছে আমদানিকারকদের।

বেসরকারি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ইউনিমেইডের মহাব্যবস্থাপক (আমদানি) আকরামুল কবির বণিক বার্তাকে বলেন, ‘গত এক বছর ধরে খুব সামান্য এলসি হয়। এখন তো এলসিই নেই। আর গত তিন মাস ধরে আমি কোনো হার্টের রিংয়ের অর্ডার দিতে পারিনি। কোনো প্রতিষ্ঠানই ঠিকমতো এলসি করতে পারছে না। আমাদের দুই হাজার অক্সিজেনেটরের ক্রয় আদেশ বাতিল হয়েছে। কেউ কেউ যুক্তরাষ্ট্র থেকে উড়োজাহাজে করে এনেছে। এতে দাম বেশি পড়ে যায়। এ সংকট চলতে থাকলে খুব খারাপ অবস্থা হবে।’

আমদানি কমায় এসব সরঞ্জামের সরবরাহও এখন সীমিত হয়ে পড়েছে। আমদানিকারকরা বলছেন, যেগুলো আমদানি হচ্ছে ডলারের বিনিময় হারে অস্থিতিশীলতার কারণে সেগুলোর মূল্য পরিশোধের সময় বিপাকে পড়তে হচ্ছে। ক্রয়াদেশ দেয়ার পর ডলারের যে দর থাকছে, পরিশোধের সময় তা আরো বেড়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে কিছু সরঞ্জামের মূল্য আবার ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর থেকে নির্ধারিত। ফলে দেশে আনার পর ডলারের বিনিময় হার বৃদ্ধিজনিত ক্ষতি সমন্বয়েরও সুযোগ থাকছে না।

নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে মেডিকেল ডিভাইস ও জীবনরক্ষাকারী সরঞ্জাম আমদানিকারক একটি প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক বণিক বার্তাকে বলেন, ‘হৃৎপিণ্ডের বাইপাস সার্জারির জন্য অতিগুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম অক্সিজেনেটর নেই বললেই চলে। এলসি সমস্যা এখন সর্বোচ্চে। বর্তমান পরিস্থিতি যদি চলমান থাকে, তবে আগামী পাঁচ-ছয় মাসে সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। আগে যেখানে প্রতি মাসে এলসি খুলতে পারতাম, সেখানে দুই-তিন মাসে একটি এলসি খুলতে পারছি। এতে বছরে সক্ষমতার অর্ধেক চাহিদা পূরণ করা যাচ্ছে। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো চাহিদার ৫০ শতাংশও পূরণ করতে পারছে না। একই চিত্র অন্যান্য সরঞ্জামেও। বিশ্ববাজারে পেস মেকারের সংকট না থাকলেও আমরা আমদানি করতে পারছি না। ভালভ আমদানিতে এলসির জন্য আবেদন দিয়ে রেখেছি দেড় মাস হয়। কিন্তু ব্যাংক খুলতে পারছে না। হার্টের রিংও নিয়মিতভাবে আনা যাচ্ছে না।’

দেশে হৃদরোগের চিকিৎসার সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল (এনআইসিভিডি)। সরকারের এ স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে শয্যা রয়েছে ১ হাজার ২৫০টি। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হাসপাতালটিতে বড় ধরনের অস্ত্রোপচার হয়েছে পৌনে তিন হাজার ও মাঝারি পর্যায়ের অস্ত্রোপচার হয়েছে পৌনে ১৩ হাজার। নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে হাসপাতালের কয়েকজন চিকিৎসক বণিক বার্তাকে জানিয়েছেন, বর্তমানে এখানে অক্সিজেনেটরের সংকট অনেক বেশি। ফলে নিয়মিতভাবে বাইপাস সার্জারি ব্যাহত হচ্ছে। অস্ত্রোপচারের সংখ্যা প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। এনআইসিভিডি ছাড়াও অন্যান্য সরকারি হাসপাতালগুলোয়ও হৃদরোগের চিকিৎসা চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে হৃদরোগীদের জীবনের ঝুঁকি আরো বাড়বে।

এনআইসিভিডির পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীর জামাল উদ্দিন বণিক বার্তাকে বলেন, ‘আমরা সরঞ্জামগুলো পরিমাণে কম পাচ্ছি। সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনা করেই এগিয়ে যেতে হবে। চিকিৎসা যেকোনো মূল্যে চালিয়ে নিতে হবে। এর আগে সংকট বেশি ছিল। আমি অক্সিজেনেটরের জন্য দরপত্র আহ্বান করেছিলাম। কিন্তু তাতে কেনা যায়নি। পুনরায় দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। এরই মধ্যে প্রায় পৌনে ২০০ পেস মেকার ও ৪০০ রিংয়ের জন্য ক্রয়াদেশ দেয়া হয়েছে। ভালভ ও অক্সিজেনেটর ক্রয় করা যায়নি। এর জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। যে সংকট এখন রয়েছে আশা করি তা শিগগিরই সমাধান হয়ে যাবে।’

হৃদরোগের পাশাপাশি ক্যান্সার, দীর্ঘমেয়াদি শ্বসনতন্ত্রের রোগ ও ডায়াবেটিসের মতো রোগের চিকিৎসায় প্রয়োজনমতো সরঞ্জাম আনতে পারছে না দেশের হাসপাতালগুলো। পাশাপাশি আহত ব্যক্তিদের অর্থোপেডিক অস্ত্রোপচারে ইমপ্লান্টের জন্য প্রয়োজনীয় অনেক সরঞ্জামের সংকটও এখন প্রকট হয়ে উঠেছে বলে বিভিন্ন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

বাংলাদেশ মেডিকেল ইনস্ট্রুমেন্টস অ্যান্ড হসপিটাল ইকুইপমেন্ট ডিলার অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শরিফ উদ্দিন আহমেদ বণিক বার্তাকে বলেন, ‘ডলার সংকটের কারণে আমদানিতে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। এলসি করার সময় যত টাকা দরে ডলারের বিনিময় হার হিসাব করা হচ্ছে আমদানির পর অর্থ পরিশোধের সময় তার পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। প্রয়োজনমাফিক এলসি খুলতে না পারলে চাহিদা পূরণ না হওয়া স্বাভাবিক। এসব কারণে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো এখন বেশ জটিলতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ডলারের সংকট যদি আরো বাড়ে তাহলে বিপদের শেষ থাকবে না। দেশে যেসব চিকিৎসা সরঞ্জাম ও ডিভাইসের প্রয়োজন হয়, তার প্রায় ৯০ শতাংশই আমদানি করতে হয়। সরকার বিশেষভাবে যেগুলো নিজ উদ্যোগে আমদানি করে, সেগুলোর ক্ষেত্রে সমস্যা তেমন থাকে না। তবে বেসরকারি আমদানিকারকরা বেশ কঠিন সময় পার করছে।’

দেশের অন্তত ১০টি সরকারি ও বেসরকারি বিশেষায়িত (টারশিয়ারি) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বণিক বার্তাকে জানিয়েছেন, সরঞ্জামের সরবরাহ কম থাকায় চিকিৎসা করতে গিয়ে নানা জটিলতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে তাদের। কোনো কোনো হাসপাতাল অস্ত্রোপচারের সংখ্যা কমিয়ে এনেছে। কোনো কোনো হাসপাতাল একেবারে জরুরি ও অপরিহার্যগুলো ছাড়া আর কোনো অস্ত্রোপচার করছে না।

স্কয়ার হাসপাতালের চিফ অপারেটিং অফিসার মো. ইসাম ইবনে ইউসুফ সিদ্দিক বলেন, ‘ব্যাংকে এলসি নিয়ে জটিলতা রয়েছে। নিজস্ব উদ্যোগে কিছু সরঞ্জাম আমদানি করা হয়। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নির্ভর করতে হয় স্থানীয় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর। এখন সরঞ্জাম সরবরাহ স্বাভাবিকের তুলনায় কম। সরবরাহ কমায় স্বাভাবিকভাবেই স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় প্রভাব পড়ে।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, দেশে সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোয় বছরে অন্তত সাড়ে তিন লাখ বড় ধরনের অস্ত্রোপচার হয়ে থাকে। আর মাঝারি পর্যায়ের অস্ত্রোপচার হয় প্রায় সাড়ে ১৫ লাখ। তবে বেসরকারি হাসপাতালগুলোর অস্ত্রোপচারের সঠিক সংখ্যা জানা যায়নি।

বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনো কোনো হাসপাতালকে সেবার পরিধি বাড়ানোর পরিকল্পনা থেকে বের হয়ে আসতে হচ্ছে বলে জানালেন ল্যাবএইড গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এএম শামীম। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, ‘‌আগে যেখানে বড় অংকের ডলারে এলসি খোলা হতো সেখানে ছোট আকারে বেশ কয়েকটি এলসি বিভিন্ন ব্যাংকে খুলতে হচ্ছে। এখন বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগকারীরা বড় যন্ত্রপাতি আমদানি বন্ধ রেখেছেন। সরবরাহ কোনো কোনো ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশেও নেমে এসেছে। সেবার পরিধি বিস্তার করছে না কিছু হাসপাতাল।’

সরকারি হাসপাতালে যেসব চিকিৎসা সরঞ্জাম সরকারের পক্ষ থেকে আমদানি করে দেয়া হয়, সেগুলোয় এখনো সংকট দেখা দেয়নি বলে বণিক বার্তাকে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. নাজমুল হক ও জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. গোলাম মোস্তফা। তবে অন্যান্য হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, এগুলোর কর্তৃপক্ষ নিজস্ব উদ্যোগে দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে আমদানি করতে গেলেই বিপত্তিতে পড়ছে।

দেশের অর্থোপেডিক চিকিৎসার জন্য সরকারি পর্যায়ে সর্বোচ্চ বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান। এক হাজার শয্যার এ হাসপাতালে গত নয় মাসে বড় অস্ত্রোপচার হয়েছে ১৯ হাজার এবং মাঝারি অস্ত্রোপচার হয়েছে সাড়ে ১৫ হাজার।

হাসপাতালের চিকিৎসক এবং বাংলাদেশ অর্থোপেডিক সোসাইটির (বিওএস) সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম বণিক বার্তাকে বলেন, ‘এলসি খুলতে না পারার কারণে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো মেডিকেল ডিভাইস ও সরঞ্জাম সরবরাহ সীমিত করেছে। যেসব ইমপ্লান্ট ইকুইপমেন্ট যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোপ থেকে আমদানি করতে হয় সেগুলোয় সংকট বেশি। তবে ভারত থেকে যেগুলো আনা হয়, সেগুলোর সংকট কম। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারি প্রক্রিয়ায় কিছু সংগ্রহ করে বিধায় সরকারি প্রতিষ্ঠানে অপেক্ষাকৃত সংকট কম।’

অবিলম্বে এ সমস্যার সমাধান করা না গেলে সামনের দিনগুলোয় পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এভারকেয়ার হাসপাতালের পরিচালক (মেডিকেল সার্ভিসেস) ডা. আরিফ মাহমুদ বণিক বার্তাকে বলেন, ‘বৈশ্বিক সমস্যার কারণে সরবরাহ ব্যবস্থায় সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। ডলার সংকটসহ বিভিন্ন সমস্যার কারণে যেসব বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে, তা আগামীতে আরো বৃদ্ধির শঙ্কা রয়েছে। সংকট অব্যাহত থাকলে চিকিৎসা ব্যাহত হবে।’