আল-মামুন, উদ্যোক্তা, মাস্টার র্যাকস্ অ্যান্ড ফার্নিচার।
ডলার-সংকটের কারণে কাঁচামাল আমদানির ঋণপত্র খুলতেও হিমশিম খাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। আবার কাঁচামালের উচ্চ মূল্য, গ্যাস–বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি বাড়িয়ে দিয়েছে পণ্যের উৎপাদন খরচ। এ মুহূর্তে ব্যবসার বড় সংকট কী, তা জানিয়েছেন ছোট, মাঝারি ও বড় ছয় উদ্যোক্তা ও কোম্পানির শীর্ষ কর্মকর্তা।
ইস্পাতের র্যাক বা তাক তৈরির জন্য আমাদের নিয়মিতই কাঁচামাল আমদানি করতে হয়। তবে ব্যাংকে ডলারসংকটে গত ছয় মাস ঋণপত্র (এলসি) প্রায় খুলতে পারিনি। মাসে যেখানে আমরা ২০০-২৫০ টন ইস্পাত আমদানি করতাম, সেখানে ২ মাসেও
১০০ টন আনতে পারিনি। অন্যদিকে দেশের বাজারেও কাঁচামালের দাম অস্বাভাবিক উত্থান-পতনের মধ্যে রয়েছে। অবস্থা এমনও হয়েছে, কোনো একটি পণ্য উৎপাদনের কাজ ৯০-৯৫ শতাংশ হওয়ার পর বাকিটা কাঁচামালের কারণে
শেষ করা যায়নি। সব মিলিয়ে গত ছয় মাসে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে। একধরনের ভয়ের
মধ্যে আছি।
বর্তমানে ব্যাংক কাঁচামাল আমদানির ঋণপত্র খুলতে শুরু করেছে। দুই থেকে আড়াই মাস পর কাঁচামাল আসতে শুরু করবে। তাতে হয়তো চাহিদার ৮০-৮৫ শতাংশ পূরণ হবে। কিন্তু ঋণপত্র খোলা আবার বন্ধ হলে বিপদে পড়ব আমরা।
কাঁচামাল আমদানির পাশাপাশি বিদ্যুতের লোডশেডিংও ভোগাচ্ছে। শীত শেষ না হতেই দিনে এক-দুবার লোডশেডিং হচ্ছে। তখন ডিজেল জেনারেটর চালিয়ে উৎপাদন সচল রাখতে হচ্ছে। তাতে উৎপাদন ব্যয় বাড়ছে। কারণ, ডিজেলের দাম অনেক বাড়তি। নতুন করে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির কারণে আবারও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়ার কথা গণমাধ্যমে শুনছি। এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দামের বোঝা কতটা নিতে পারবে, সেটি বিবেচনা করা প্রয়োজন। কারণ, আমরা যদি ভালো না থাকি, তাহলে সরকারও ভালো থাকতে পারবে না।