ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার ডাবরী সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে বাংলাদেশি দুই যুবক নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার রত্নাই সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি আরেক যুবক আহত হয়েছেন। সোমবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত দুই যুবক হলেন- হরিপুর উপজেলার গেরুয়াডাঙ্গী গ্রামের আবদুল বাসেদের ছেলে জহুরুল ইসলাম (২৭) ও নজরুল ইসলামের ছেলে মো. মকলেছ (২৮)। আহত ব্যক্তির নাম ইদ্রিশ আলী (৩০)। তিনি বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের বারোসা গ্রামের দুলু মোহাম্মদের ছেলে।
হরিপুর উপজেলার গেদুড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম বলেন, জহুরুল ইসলাম ও মকলেছ চোরাকারবারির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। রোববার রাতে তাঁরা ভারত থেকে চোরাই পথে ফেনসিডিল আনতে ডাবরী সীমান্ত এলাকায় যান। সোমবার ভোরে ওত পেতে থাকা নারগাঁও ক্যাম্পের বিএসএফের সদস্যরা তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। এতে দুজনই গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনার পর বিএসএফের সদস্যরা আহত জহুরুলকে ভারতের ভেতর নিয়ে যান। আর মকলেছ কোনোমতে বাংলাদেশের ভেতর চলে আসেন।
পরে নাগর নদীতে তাঁর লাশ ভাসতে দেখেন স্থানীয় লোকজন। জহুরুল ভারতে মারা গেছেন বলে তিনি শুনেছেন।
ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর থানার ওসি এ বি এম ফিরোজ ওয়াহিদ বলেন, সীমান্তে দুজনের নিহত হওয়ার কথা শোনা গেলেও মকলেছ নামের এক যুবকের লাশ পাওয়া গেছে। তাঁর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বিজিবির ঠাকুরগাঁও সেক্টর কমান্ডার কর্নেল এম এইচ হাফিজুর রহমান জানান, বিএসএফের গুলিতে সীমান্তে দুই বাংলাদেশির নিহত হয়েছেন। এ বিষয়ে বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠক হয়েছে। প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ভারতে থাকা যুবকের লাশ বিএসএফ দ্রুত ফেরত দেবে।