বাংলাদেশ সম্প্রতি টেস্ট খেলেনি, সর্বশেষ আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের পারফরম্যান্স দিয়ে এ সংস্করণে ক্যারিয়ার–সেরা ৩২ নম্বরে উঠে এসেছেন লিটন দাস। লিটনের এগোনোর দিনে পিছিয়েছেন মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবালরা; বোলিংয়ে পিছিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজও।
তবে নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট সিরিজ শেষ হওয়ার পর রদবদল হয়েছে টেস্ট র্যাঙ্কিংয়েও। আর তাতে একটা ইতিহাসই গড়ে ফেলেছেন লিটন। টেস্ট ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে এখন ১২ নম্বরে আছেন এ উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যান। বাংলাদেশের আর কোনো ব্যাটসম্যানই এর আগে র্যাঙ্কিংয়ে এত ওপরে ওঠেননি।
টেস্ট ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে লিটন ১২ নম্বরে উঠেছেন মূলত নিউজিল্যান্ডের দুই ব্যাটসম্যান টম ল্যাথাম ও হেনরি নিকোলসের অবনমনের কারণে। ল্যাথাম তিন ধাপ নেমে চলে গেছেন ১৩ নম্বরে, দুই ধাপ অবনমন হওয়া নিকোলসের অবস্থান ১৫-তে। লিটনের রেটিং পয়েন্ট এখন ৬৮৩। তিনি অবশ্য ১০ নম্বরে থাকা ডেভিড ওয়ার্নারের চেয়ে ২১ রেটিং পয়েন্টে পিছিয়ে।
লিটন অবশ্য নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম টেস্টের পরই উঠেছিলেন ১৪ নম্বরে। সে টেস্টের পর চার ধাপ নেমে গিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ডিন এলগার।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে ২ টেস্টে ৩ ইনিংস ব্যাটিং করে লিটন করেছিলেন ১৯৬ রান। ৬৫.৩৩ গড়ে ব্যাটিং করেছিলেন। মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে প্রথম ইনিংসে ১৪ রানের জন্য শতক হাতছাড়া হলেও ক্রাইস্টচার্চে খেলেছিলেন ১০২ রানের দারুণ এক ইনিংস।
লিটনের আগে বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানদের মধ্যে র্যাঙ্কিংয়ে সবচেয়ে ওপরে উঠেছিলেন তামিম ইকবাল। ২০১৭ সালের আগস্টে সর্বোচ্চ ১৪তম স্থানে উঠেছিলেন এ উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জানুয়ারিতে সিরিজ শেষে লিটন উঠেছিলেন ১৫তম স্থানে। তখন দ্বিতীয় সেরা অবস্থানে ছিলেন, এবার তামিমকে টপকে গেলেন।
এখনকার র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানদের মধ্যে লিটনের পর আছেন মুশফিকুর রহিম, ২৪ নম্বরে। এরপর ৩৪ নম্বরে আছেন মুমিনুল হক, ৩৫-এ তামিম ইকবাল।