টি২০ দলে ধীরে চলো নীতি

টি২০ দলে ধীরে চলো নীতি

বাংলাদেশ টি২০তে খুব বেশি ভালো খেলে না। যদিও গত দুই বিশ্বকাপে কিছুটা উন্নতি দেখাতে পেরেছে। ২০২২ সালে নেদারল্যান্ডস ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জিতেছেন সাকিবরা। অ্যাডিলেডে ভারতের বিপক্ষে জিততে জিততে হেরে গেছেন। ২০২৪ সালে তিন জয় ছাপিয়ে গেছে আগের রেকর্ড। সেদিক থেকে দেখলে ২০২৬ সালটা হতে পারে ভালো কিছু করার বিশ্বকাপ। বিসিবির পরিকল্পনাতেও ঢুকে গেছে পরবর্তী মিশন। এক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে পাইপলাইনের ওপর।

জাতীয় দলে ভালো খেলোয়াড় পেতে ‘এ’ দলের খেলা বাড়াতে বলেছেন ক্রিকেট কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, “একটি দল পুনর্গঠন করা রাতারাতি সম্ভব নয়। গ্যারান্টি দিয়ে কেউ দল পুনর্গঠন করতে পারবে না। ‘এ’ দলের সিরিজ বেশি খেলে পরীক্ষিতদের দিয়ে ধাপে ধাপে ‘রিপ্লেস’ করতে হবে। একসঙ্গে পুরো দলে পরিবর্তন আনা হলে ফেল করার হার বেড়ে যেতে পারে। কারণ নিজেদের  মধ্যে বোঝাপড়া, সমন্বয় ও আন্তর্জাতিক ম্যাচে পারফরম্যান্স করার সক্ষমতা একটি ব্যাপার।”

পরিবর্তনের এই প্রক্রিয়ায় ‘এ’ দলকে মাধ্যম হিসেবে কাজে লাগানোর পরামর্শ দেন তিনি, ‘জাতীয় দলের মতো ‘এ’ দল বিভিন্ন দেশে খেলবে ভালো সুযোগ-সুবিধা নিয়ে। যারা ভালো খেলবে, তাদের জাতীয় দলে অন্তর্ভুক্ত করে দেখা হবে। এ ক্ষেত্রে তাড়াহুড়া করতে গেলে খারাপ হতে পারে। কারণ একজন বড় ক্রিকেটারের ‘রিপ্লেস’ রাতারাতি হয় না। আমি মনে করি, একটি পজিশনের জন্য একসঙ্গে পাঁচজন ক্রিকেটারের ওপর নজর রাখতে হবে। তাদের ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেলিয়ে প্রস্তুত করতে হবে।’

সালাউদ্দিন জানান, টি২০ ক্রিকেটে ভালো করতে শক্তিশালী বোলিং লাইনআপের প্রয়োজন হয়। বাংলাদেশের বোলিং সবদিক থেকে উন্নতি হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি। আগামী দুই বছরে বোলিং লাইনআপ আরও ভালো হবে বলে আশা তাঁর।

টি২০ দল গোছাতে তাড়াহুড়া করার পক্ষে নন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু, ‘যে কোনো খেলার আগে ওয়ার্মআপ থাকে। ভারত সিরিজ দিয়ে সেই ওয়ার্মআপ। সামনে ঘরোয়া লিগ আছে, সেখানে নজর থাকবে। যেসব খেলোয়াড় উঠে আসবে, তারা যেন লম্বা সময় খেলতে পারে। হাতে বিকল্পও রাখতে হবে, যাতে করে বদলি নেওয়া যায়। আমরা এখন কোথায় আছি মূল্যায়ন করার পর পরিবর্তনের চিন্তাভাবনা করা হবে।’

বিসিবির নির্বাচক হান্নান সরকার পরিবর্তনটা দেখেন প্রয়োজন থেকে। তিনি মনে করেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পারফরম্যান্স দেখে বিকল্প খেলোয়াড় বাছাই করবেন তারা, ‘টি২০তে বেশির ভাগ সময়ে ব্যাটিং-সহায়ক উইকেট হয়। যে কারণে বোলিংয়ের চেয়ে ব্যাটিংটা মোটামুটি সহজ। তাই বোলিং ইউনিট ভালো থাকলে সফল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। আগামী দুই বছরে অনেক খেলা। আশা করি, পরীক্ষিত ক্রিকেটারদের দিয়ে দল গোছাতে পারব।’

২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারির পরে এশিয়া কাপসহ ২১টি আন্তর্জাতিক টি২০ ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। জাতীয় ক্রিকেট লিগে দুই মৌসুমে ১৬টি, সাত দলের বিপিএল হলে ৩০টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবেন নাজমুল হোসেন শান্তরা। সঙ্গে গা-গরমের ম্যাচ খেলা হতে পারে ১০টি। লিপু জানান, ২০২৬ সালের টি২০ বিশ্বকাপের আগে গড়পড়তায় ৭৭টি টি২০ ম্যাচ খেলার সুযোগ আছে। যেটা কাজে লাগিয়ে শক্তিশালী টি২০ দল গড়তে চায় জাতীয় দল নির্বাচক প্যানেল।

সমকাল