- অনলাইন প্রতিবেদক
- ২০ মে ২০২১
সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের জামিন শুনানির রায় বিলম্বের ঘটনাকে ‘ওল্ড প্রাকটিস’ উল্লেখ করে ‘এটাই রাষ্ট্রের বর্তমান চরিত্র’ বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার বিকালে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব এ মন্তব্য করেন।
দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আপসহীন সংগ্রাম থেকে সকলকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগুনোর কথাও বলেন বিএনপি মহাসচিব। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘রোজিনা ইসলামের ঘটনা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। সামগ্রিক যে বাংলাদেশের আজকে চেহারা, সেই চেহারার একটা অংশ। তিনি একাই ক্ষতিগ্রস্ত নন। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই এখানে ধারাবাহিকভাবে একের পর এক এই সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন নেমে এসেছে। গণমাধ্যমের ওপর নির্যাতন নেমে এসেছে। সংবাদপত্র বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সাংবাদিকদের দেশ থেকে চলে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। হত্যা পর্যন্ত করা হয়েছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কোথায় যাবেন, জুডিশিয়ারি? আজকে রোজিনা ইসলামের জামিনের শুনানি হয়েছে। রায় দিবে রোববার। সেইম ওল্ড প্রেকটিস।’ তিনি বলেন, ‘এখানে ড. খন্দকার মোশাররফ আছেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী আছেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আছেন, আমাদের সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদ আছেন। আমাদের সাথে যে কী আচরণ করার হয়, এটা তো আমরা ধর্তব্যের মধ্যে নেই না। আমরা রাজনীতিবিদ, আমাদের প্রাপ্য-এটা হবে। কিন্তু এটাই বাস্তবতা। এই জিনিসটা আমাদের বুঝতে হবে যে এটাই রাষ্ট্রের চরিত্র। এই রাষ্ট্র যারা শাসন করছেন তারা রাষ্ট্রকে একদলীয় শাসন ব্যবস্থার রাষ্ট্র, বাকশাল প্রতিষ্ঠার জন্য তারা অতীতেও করেছিলেন, এ লক্ষ্যে তারা কাজ করছেন।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দুর্ভাগ্য আমাদের যে, আজকে আওয়ামী লীগের মতো একটি দল যারা একসময় জনগণের ভিত্তি ছিল, তারা জনগণের অধিকারের জন্য আন্দোলন করেছে, তাদের কাছে এখন জনগণ কেউ নয়। তারা জনগণের পাশেও নেই।’
তিনি বলেন, ‘তাদের এখন কাজী জেবুন্নেসার মতো আমলা অথবা পুলিশ, র্যাব এই ধরনের সম্প্রদায়কে নিয়ে টিকে থাকতে হচ্ছে। এটা এক দিকে যেমন লজ্জার, আরেক দিকে ভীতিরও। আজকে ফ্যাসিবাদী ভীতি ছড়িয়ে পুরো দেশকে একেবারে একটা অন্ধকারের মধ্যে ফেলে দেয়া হয়েছে। এই ফ্যাসিবাদকে আমাদের পরাজিত করতে হবে। এটাই একমাত্র মুক্তির পথ। সংগ্রাম-আন্দোলন ও মুখোমুখি হওয়া- এটা ছাড়া আমাদের আর কোনো বিকল্প পথ নেই।’