জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। আজ সোমবার বিকেল চারটায় রাজধানীর মগবাজারের জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ হয়। এ সময় চীনা দূতাবাসের ডেপুটি অ্যাম্বাসাডরসহ আরও দুজন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
পরে চীনের রাষ্ট্রদূতকে নিয়ে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের বৈঠকটি অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ হয়েছে। আমরা দীর্ঘ এক ঘণ্টা দুই দেশের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কথা বলেছি। গণচীন আমাদের উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। আমরা অনুরোধ করেছি, তাঁরা যেন বাংলাদেশে আরও বেশি বিনিয়োগ করেন। রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের জন্য আমরা তাঁদের আরও সক্রিয় হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছি। আমরা আশা করছি, তাঁরা এটা সক্রিয় বিবেচনায় নেবেন।’
জামায়াতের আমির বলেন, ‘উভয় দেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি, উন্নয়নসহ সব ক্ষেত্রে উন্নয়ন ঘটিয়ে আমরা যেন একসঙ্গে এগিয়ে যেতে পারি, সেই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিবর্তনের বিষয়গুলো আলোচনায় স্থান পেয়েছে। আমরা আশা করছি, সামনের দিনগুলোতে দুই দেশের জনগণ, দুই দেশের সরকার, দলের সঙ্গে দল আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার সুযোগ পাব। আশা করছি, আগামী দিনগুলোতে এ ধরনের পারস্পরিক সংলাপ দুই দেশের স্বার্থে অব্যাহত থাকবে।’
পরে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে জামায়াতে ইসলামীর আতিথেয়তায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি সুন্দর দেশ। জামায়াতে ইসলামী একটি সুশৃঙ্খল দল। চীনের জনগণ বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চায়। আমরা ভবিষ্যতে বাংলাদেশের উন্নতি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির জন্য কাজ করে যাব।’
সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান ও সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম মা’ছুম, রফিকুল ইসলাম খান, হামিদুর রহমান আযাদ, আবদুল হালিম, এহসানুল মাহবুব ও মোয়াযযম হোসাইন, কেন্দ্রীয় নেতা সাইফুল আলম খান, মতিউর রহমান আকন্দ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির জনাব নূরুল ইসলাম, উত্তরের আমির সেলিম উদ্দিন ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন।
prothom alo