- নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন ফিরে পাচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটিকে নিবন্ধন ফিরিয়ে দিতে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। আজ রবিবার (১ জুন) ইসিকে এ নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ।
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে জামায়াতে ইসলামীর আর কোনো বাধা নেই
সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ফলে আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতের অংশ নেওয়ার বিষয়ে আর কোনো বাধা থাকছে না। এই রায়ের মধ্য দিয়ে ২০১৮ সালের পর এবার নির্বাচনে সক্রিয় হচ্ছে জামায়াত।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির বেঞ্চ রায়ে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে হাইকোর্টের আগের দেওয়া রায় বাতিল ঘোষণা করেন।
দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের বিষয়ে আপিল বিভাগ বলেছেন, জামায়াতে ইসলামী তাদের দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লা ফেরত পাবে কিনা, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল।
এর আগে ২০০৯ সালে জামায়াত ইসলামীর নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেছিলেন সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ ২৫ জন। পরে চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। ওই বছরের ৫ আগস্ট রায় স্থগিত চেয়ে জামায়াতের আবেদনও খারিজ করে দেন চেম্বার আদালত।
পরে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে নিয়মিত লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে দলটি। জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে দলটির আপিল ও লিভ টু আপিল ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। বিশেষ করে আপিলকারীর পক্ষে সেদিন আদালতে কোনো আইনজীবী না থাকায় ওই আদেশ (ডিসমিসড ফর ডিফল্ট) করে দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ।
গত বছরের ৫ আগস্ট জুলাই আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ওই আপিল পুনরুজ্জীবিত করার জন্য ২৮৬ দিনের বিলম্ব মার্জনা চেয়ে দুটি লিভ টু আপিল করে জামায়াত। এরপর গত বছরের ২২ অক্টোবর বিলম্ব মার্জনা মঞ্জুর করে আদালত আপিল পুনরুজ্জীবিত করায় নিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতের আইনি লড়াইয়ের পথ উন্মুক্ত হয়।
এরপর আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় উঠলে জামায়াতের আপিল ও লিভ টু আপিল শুনানি গত ৩ ডিসেম্বর শুনানি শুরু হয়। সর্বশেষ ১৪ মে শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য ১ জুন তারিখ নির্ধারণ করেছিলেন আপিল বিভাগ।