- ইকতেদার আহমেদ
- ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১
জাতীয় সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞা ও রূপরেখা না থাকলেও জাতীয় সরকার জনমানুষের আকাক্সক্ষার প্রতিফলনে দেশের ও জাতির প্রয়োজনে গঠিত হয়। জাতির ক্রান্তিকালে বা সঙ্কটময় মুহূর্তে এবং ক্ষেত্রবিশেষে সাংবিধানিক শূন্যতা বা আইনগত কাঠামোর অনুপস্থিতিতে জাতীয় সরকার গঠনের আবশ্যকতা দেখা দেয়। সংবিধানসম্মত বা আইনসম্মত ভিত্তি না থাকলেও দেশের জনমানুষের ব্যাপক অংশের সমর্থনই জাতীয় সরকারের প্রতি আস্থার অনুমোদন। জনভিত্তি বা জনসমর্থন রয়েছে এমন রাজনৈতিক দলের অথবা সংসদে প্রতিনিধিত্ব রয়েছে এমন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সমন্বয়ে যেমন জাতীয় সরকার গঠিত হয়; অনুরূপভাবে দেশের বিভিন্ন পেশাজীবীদের প্রতিনিধিত্বে বরেণ্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে বা উভয়ের সমন্বয়ে জাতীয় সরকার গঠিত হয়। জাতীয় সরকার গঠন পূর্ববর্তী দেশের শীর্ষ রাজনৈতিক দলের নেতাদের মধ্যে অথবা পেশাজীবীর প্রতিনিধিত্বে বরেণ্য ব্যক্তিদের আলোচনার মধ্য দিয়ে জাতীয় সরকার গঠনের পদ্ধতি ও প্রক্রিয়া নির্ধারণ করা হয়। এটিকে কখনো ঐকমত্যের সরকারও বলা হয়।
পাকিস্তানের সংবিধান প্রণয়নে ১৯৭০ সালে যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ওই জাতীয় সংসদে পূর্ব পাকিস্তান থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক পরিষদের সংসদ সদস্য সমন্বয়ে বাংলাদেশ অভ্যুদয়-পরবর্তী গণপরিষদ গঠিত হয়েছিল। যদিও সে সময় সদ্য স্বাধীন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলের নেতারা এবং বিভিন্ন বাহিনী, পেশাজীবী সংগঠন এবং ছাত্র, কৃষক, শ্রমিক প্রতিনিধি সমন্বয়ে জাতীয় সরকার গঠনের দাবি জনমানুষের পক্ষ থেকে উচ্চারিত হয়েছিল।
গণপরিষদের সদস্যরা বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন-পরবর্তী সদ্য স্বাধীন দেশের ক্ষমতাসীনদের অধীন ১৯৭৩ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন যে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে পরিচালিত হয়নি তা দেশের জনমানুষের দৃষ্টির অন্তরালে নয়। দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচনও ক্ষমতাসীনদের অধীন দলীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনেও জনমতের প্রকৃত প্রতিফলনে প্রতিটি আসনের সংসদ সদস্য যে নির্বাচিত হয়েছিলেন; এমন দাবি দেশের সচেতন জনমানুষের কাছে যুক্তিগ্রাহ্য নয়। তৃতীয় ও চতুর্থ সংসদ নির্বাচন ক্ষমতাসীনদের প্রভাবিত ও নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় এ দু’টি নির্বাচনের কোনোটিই দেশের সাধারণ জনমানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য বিবেচিত হয়নি।
দেশের প্রথম থেকে চতুর্থ সংসদ নির্বাচন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা বলা হলেও প্রতিটি নির্বাচনের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন প্রকৃত অর্থে কতটুকু স্বাধীনভাবে কাজ করতে পেরেছিল সে প্রশ্নের সুরাহা দেশের জনমানুষের কাছে আশানুরূপ ছিল না। এ চারটি সংসদের কোনোটিই মেয়াদ পূর্ণ করতে না পারার কারণে মধ্যবর্তী বা আগাম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান আবশ্যক হয়ে পড়েছিল। এ নির্বাচনগুলো সংসদ ভেঙে যাওয়া-পরবর্তী অনুষ্ঠিত হয়েছিল যদিও সে সময়কার সংবিধানের বিধান অনুযায়ী মেয়াদ অবসানের কারণে সংসদ ভেঙে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভেঙে যাওয়ার পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে সংসদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিধান ছিল।
পঞ্চম সংসদ নির্বাচনটি দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলসমূহের সমন্বয়ে গঠিত তিন জোটের রূপরেখার আলোকে কর্মরত প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন অস্থায়ী সরকারের অধীন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এ অস্থায়ী সরকারের কাঠামো ও গঠন পদ্ধতি জাতীয় সরকার হতে ভিন্ন নয়। বাংলাদেশ অভ্যুদয়-পরবর্তী এই নির্বাচন সব মহলে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ মর্মে বিবেচিত ও গ্রহণযোগ্য বলে স্বীকৃতি পায় ।
পঞ্চম সংসদটি বহাল থাকাবস্থায়ই নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি উত্থাপিত হয়েছিল। ষষ্ঠ সংসদ নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর আকাক্সক্ষার অবলোকনে সাংবিধানিক বৈধতা দেয়া পরবর্তী ওই সংসদ প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনে গঠিত হওয়ায় ভেঙে দেয়া হয়।
সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর অধীন প্রণীত নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাটিতে মেয়াদ অবসানের কারণে অথবা মেয়াদ অবসান ব্যতীত অন্য কোনো কারণে সংসদ ভেঙে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভেঙে যাওয়ার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিধান করা হয়। এ বিধানটির অনুসরণে গঠিত নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন সপ্তম ও অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাটি অন্তর্বর্তী অবস্থায় শুধু অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান পরিচালনায় গঠিত হয় বিধায় এটি যে জাতীয় সরকার নয় এমন বিতর্ক অমূলক।
নবম সংসদ নির্বাচন সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন অনুষ্ঠিত হয়। এ সরকার সংবিধানসম্মত পন্থায় গঠিত হয়নি এবং সংসদ কর্তৃক এ সরকারটিকে বৈধতা দেয়ার কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি; যদিও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বৈধতাবিষয়ক মামলাটি সর্বোচ্চ আদালতের আপিল বিভাগে নিষ্পত্তির সময় অপ্রাসঙ্গিক আলোচনার অবতারণায় অযাচিতভাবে এটিকে বৈধতা দেয়ার প্রয়াস নেয়া হয়। এ সরকারটি জাতীয় সরকারের অনুরূপ হলেও সংসদের মাধ্যমে এটির বৈধতা কর্মরত প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন অস্থায়ী সরকার এবং নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মতো স্পষ্ট ও স্বচ্ছ নয়। দলীয় সরকারবহিভর্‚ত ব্যবস্থায় অনুষ্ঠিত চারটি নির্বাচন যথা পঞ্চম, সপ্তম,অষ্টম ও নবম সংসদ নির্বাচনের মধ্যে দেশের জনমানুষের কাছে প্রথমোক্ত তিনটি যে মাত্রায় গ্রহণযোগ্য বিবেচিত হয়েছিল শেষোক্তটির গ্রহণযোগ্যতার মাত্রা সে তুলনায় নি¤œগামী। এতদসত্তে¡ও এ চারটি নির্বাচন দেশের জনমানুষের কাছে দলীয় সরকারের অধীন অনুষ্ঠিত যেকোনো নির্বাচনের চেয়ে অধিক স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য বিবেচিত হলেও প্রতিদ্ব›দ্বী বিজীত দলের কাছে এর কোনোটিই গ্রহণযোগ্য বিবেচিত হয়নি।
দশম ও একাদশ সংসদ নির্বাচন প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও ষষ্ঠ সংসদ নির্বাচনের ন্যায় দলীয় সরকারের অধীন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এ দু’টি নির্বাচনের প্রথমোক্তটিতে প্রত্যক্ষ নির্বাচনে উন্মুক্ত ৩০০টি আসনের মধ্যে ১৫৪টির প্রার্থী বিনাপ্রতিদ্ব›িদ্বতায় নির্বাচিত হওয়ায় এ সংসদ সংবিধানের অনুচ্ছেদ নং ৬৫(২) এর আলোকে সিদ্ধ কি না আগত দিনে অনুকূল পরিবেশে এর সুরাহা বিষয়ে দেশবাসী প্রত্যাশী। একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ বিষয়ে সংবিধান ও নির্বাচনী আইন যে উপেক্ষিত এটি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মহলে স্বীকৃত বিধায় পূর্বোক্ত নির্বাচনের মতো এটিও সময়ের পরীক্ষায় সিদ্ধতা ও অসিদ্ধতার দোলাচলে দোদুল্যমান।
সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল পরবর্তী পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে জাতীয় সংসদ নির্বাচনবিষয়ক যে বিধান করা হয়েছে- তাতে বলা হয়েছে মেয়াদ অবসানের কারণে সংসদ ভেঙে গেলে ভেঙে যাওয়ার পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে এবং মেয়াদ অবসান ব্যতীত অন্য কোনো কারণে সংসদ ভেঙে গেলে ভেঙে যাওয়ার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে সংসদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় সংসদের নির্বাচনবিষয়ক এ বিধান ৭২-এর সংবিধানে উল্লিখিত জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিধানের অনুরূপ। স্মরণযোগ্য যে, ১৯৯০ সাল পূর্ববর্তী যে চারটি সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল এর কোনোটিই মেয়াদ পূর্ণ করতে না পারায় তখন সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আবশ্যকতা দেখা দেয়নি যদিও দশম ও একাদশ সংসদ নির্বাচনের ক্ষেত্রে সংসদ মেয়াদ পূর্ণ করায় সংসদ বহাল থাকাবস্থায় নির্বাচন অনুষ্ঠান আবশ্যক হয়ে পড়ে। সংসদ বহাল থাকাবস্থায় জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধতা ভবিষ্যতে যে কঠিন প্রশ্নের সম্মুখীন হবে এমন আশঙ্কা ক্রমান্নয়ে ঘনীভূত হচ্ছে।
গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় সরকারপ্রধান সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সমর্থন হারালে এবং অন্য কোনো সংসদ সদস্য সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের আস্থাভাজন না হলে সংসদ ভেঙে দিয়ে মধ্যবর্তী নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হয়। তা ছাড়া যেকোনো জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশীজনবিহীন, প্রতিদ্ব›িদ্বতাহীন, অস্বচ্ছ, অগ্রহণযোগ্য, অনিয়ম ও কারচুপির কালিমায় কলুষিত হলে দেশের স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির বিষয়টিকে বিবেচনায় নিয়ে জন-আকাক্সক্ষার সম্মানে সংসদ ভেঙে দিয়ে মধ্যবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা হয়। মধ্যবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠানের এমন নজির আমাদের দেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রয়েছে। সচরাচর দলীয় সরকারবহির্ভূত ব্যবস্থায় এরূপ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করা হয় যার গঠন পদ্ধতি ও রূপরেখায় ভিন্নতা থাকলেও চরিত্রগত দিক থেকে এটি জাতীয় সরকারের সদৃশ।
জাতীয় সরকারসদৃশ চারটি সরকারের মধ্যে কর্মরত প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন অস্থায়ী সরকারটিকে গঠন পরবর্তী সাংবিধানিক বৈধতা দেয়া হয়। অপর দিকে অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন দু’টি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংবিধানের বিধানাবলির আলোকে গঠিত হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত গভর্নরের নেতৃত্বাধীন সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারটিকে সাংবিধানিক বৈধতার অনুপস্থিতিতে আদালত কর্তৃক প্রদত্ত বৈধতাটি প্রশ্নের সম্মুখীন। এ চারটি জাতীয় সরকারসদৃশ সরকারের মধ্যে প্রথমোক্তটি দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলসমূহ ও বিশিষ্টজনদের মতামতের প্রাধান্যে গঠিত হওয়ায় এটি ঐকমত্যের সরকার হিসেবে রূপ পায়।
আমাদের পঞ্চম জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারব্যবস্থা হতে সংসদীয় পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থায় প্রত্যাবর্তনের বিল অনুমোদন এবং ষষ্ঠ জাতীয় সংসদে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর দাবির সমর্থনে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে সাংবিধানিক রূপ প্রদানে সে সময়কার ক্ষমতাসীনদের অনন্য অবদান এ দেশে গণতন্ত্রের ভিত প্রতিষ্ঠার পথ সুদৃঢ় করলেও পরবর্তীতে সে পথ থেকে কারা বিচ্যুত হয়েছেন বিষয়টি বিস্মৃতিতে চলে গেলে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার প্রতিনিয়ত বাধাগ্রস্ত হবে।
সংবিধান ও আইন জন-আকাক্সক্ষায় জনগণের কল্যাণ ও মঙ্গলার্থে প্রণয়ন করা হয়। জন-আকাক্সক্ষার প্রতি সম্মান প্রদর্শনে এবং দেশের স্থিতিশীলতা, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির স্বার্থে সংবিধান বা আইন সংশোধন বা প্রণয়নের আবশ্যকতা দেখা দিলে ক‚টবিতর্কে আবদ্ধ না হয়ে এটির সহজ ও গ্রহণযোগ্য সমাধানের পথ খুঁজে বের করা উৎকৃষ্ট দেশপ্রেমের পরিচায়ক। দেশ ও জাতি, দেশের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও বিশিষ্টজনদের কাছে উদ্ভূত পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনায় ইতিবাচক অবস্থানে থেকে কাক্সিক্ষত ফলাফলের উদ্ভবের প্রত্যাশী। এ লক্ষ্য অর্জনে দেশের সাংবিধানিক সংস্থাগুলো, বিচার ও জনপ্রশাসন, বাহিনীগুলো ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর নিরপেক্ষ ভ‚মিকার কোনো বিকল্প নেই। আশা করি তারা দেশ ও জাতিকে হতাশাচ্ছন্ন করবেন না।
লেখক : সাবেক জজ, সংবিধান, রাজনীতি ও অর্থনীতি বিশ্লেষক
E-mail: [email protected]