প্রথম আলো ডেস্ক
আজ রোববার থেকে স্কটিশ শহর গ্লাসগোতে শুরু হচ্ছে কপ–২৬ সম্মেলন। আগামী ১২ নভেম্বর পর্যন্ত সম্মেলন চলবে। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিশ্বনেতাদের চাপে ফেলতে বিভিন্ন দেশের পরিবেশ আন্দোলনকর্মীরাও বিক্ষোভ–সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন।
গতকাল ১৮ বছর বয়সী পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ লন্ডন থেকে ট্রেনে করে স্কটল্যান্ডে পৌঁছান। তাঁকে রেলস্টেশন থেকে পুলিশি পাহারায় গ্লাসগোতে নিয়ে যাওয়া হয়। টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে থুনবার্গ বলেন, ‘অবশেষে কপ–২৬ সম্মেলনে যোগ দিতে গ্লাসগোতে এলাম।’ উষ্ণ অভ্যর্থনার জন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
বিভিন্ন দেশের পরিবেশকর্মীরা গ্লাসগোতে ভিড় করছেন। অনেক দূর-দূরান্ত থেকেই মানুষ সম্মেলনস্থলে আসছেন। নিজেদের হতাশার কথা ব্যক্ত করতে অনেকে অনেক পথ হেঁটেও সম্মেলনস্থলে জড়ো হচ্ছেন।
বিক্ষোভকারীরা প্ল্যাকার্ড নিয়ে গ্লাসগোর প্রাণকেন্দ্রে মিছিল করে। প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘শুধু মুখের কথা নয়, পদক্ষেপ চাই’ এবং ‘জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধ করুন’। এক্সটিংকশন রেবেলিয়ন নামক সংগঠনের সদস্যরা বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
বেলজিয়ামের অবসরপ্রাপ্ত নাগরিক ডির্ক ভান এসব্রোয়েক এএফপিকে বলেন, রাজনৈতিক নেতাদের পরিবেশ বিপর্যয় নিয়ে সচেতন করতে আমরা আরও জোরালো পদক্ষেপ নিতে চাই। আমাদের সন্তান ও নাতি–নাতনিরা জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে পড়ছে। ‘গ্র্যান্ড প্যারেন্টস ফর দ্য ক্লাইমেট’ গ্রুপ নামে একটি সংগঠনের হয়ে তিনিসহ আরও প্রায় ২০ জন সদস্য বেলজিয়াম থেকে ট্রেনে করে এডিনবরায় এসেছেন। এরপর সেখান থেকে ৪৭ মাইল হেঁটে গ্লাসগোতে পৌঁছান তাঁরা।
৬৮ বছর বয়সী এসব্রোয়েকের ৫ সন্তান ও ১২ জন নাতি-নাতনি রয়েছে। তিনি বলেন, ‘ঘোষণা থেকে শুরু করে পদক্ষেপ পর্যন্ত আরও অনেক পথ যেতে হবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ শতাধিক নেতা সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় এ সম্মেলনকে গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।
বিক্ষোভে যোগ দিতে স্পেন থেকে এসেছেন ৩১ বছর বয়সী বেকি স্টোকস। তিনি বলেন, ‘আমরা শুধু দৃঢ় পদক্ষেপ চাই। এটিই শেষ সুযোগ।’