জনতার সুনামিতে ভেসে যাবে সরকার, ফখরুলের হুঁশিয়ারি

 


প্রেসক্লাবের সামনে পেশাজীবী সমাবেশে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

জনগণ জেগে উঠেছে, সরকারের পতন অনিবার্য। রাজপথ দখল করে জনতার সুনামিতে সরকার ভেসে যাবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শুক্রবার (১২ আগস্ট) প্রেসক্লাবের সামনে পেশাজীবী সমাবেশে তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন। জ্বালানি তেলসহ বিভিন্ন খাতে মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে প্রেসক্লাবের সামনে সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদের সমাবেশে যোগ দেন শিক্ষক, সাংবাদিক, আইনজীবী, চিকিৎসক, প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ। সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, নির্বাচনের আগে নানামুখী চাপে বিরোধীদলকে সমাবেশ করতে দেয়াটাও সরকারের প্রতারণা। পরিকল্পিতভাবে দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র পরিণত করে ক্ষমতায় থাকার পাঁয়তারা করছে ক্ষমতাসীনরা।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ইভিএম মেশিন একটা জালিয়াতির যন্ত্র। মানুষ ভোট দেবে ধানের শীষে, ভোট চলে যাবে নৌকায়। তারা দেখাচ্ছে যে, বিরোধী দলকে সভা সমাবেশ করতে দিচ্ছে। আমরা কালও হরতাল-সভা করেছি। তারা খুব বেশি ঝামেলা করে নাই। কারণ একটাই। তারা দেখাচ্ছে যে, তারা গণতান্ত্রিক দল। তারা ঝামেলা করে না। বন্ধুগণ, এটা প্রতারণা। এই প্রতারণা তাদের চরিত্রের সঙ্গে জড়িয়ে আছে।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, সরকারের পতন অনিবার্য। তাই পেশাজীবীসহ সকলকে রাজপথে নামার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, জনতার যে ঢল নামবে, সমুদ্রে যে ঢেউ উঠবে, সেই ঢেউয়ের যে সুনামি সৃষ্টি হবে তাতে ভয়াবহ এই ফ্যাসিবাদী সরকার ভেসে যাবে।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে। সরকার পতনের আগে ঘরে ফিরবে না পেশাজীবীরাও। বিএফইউজে’র সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজী বলেন, সর্বাঙ্গে ব্যথা, ওষুধ দেবো কোথা! এই সরকারের পতন ছাড়া মানুষের পতন হবে না। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্ল্যাহ আমান বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব, আপনি আপনার নেত্রীসহ বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যাবেন।