সিলেট
সিলেট জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক ইফতেখার আহমদ ও ছাত্রদল নেতা জুনেদ আহমদ ‘নিখোঁজ’-এর ১০ বছর অতিবাহিত হয়েছে আজ রোববার। সকালে জেলা বিএনপির নেতারা ইফতেখার আহমদ ও জুনেদ আহমদের বাসায় গিয়ে তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় তাঁরা ইফতেখার আহমদের বাবা মঈনুদ্দিনসহ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন ও পরিবারের খোঁজখবর নেন।
এ সময় নেতারা বলেন, দুই ছাত্রদল নেতা গুমের ১০ বছর পেরিয়ে গেলেও সরকার তাঁদের কোনো খোঁজ দিতে পারেনি। দেশে যে আইনের শাসন নেই, এটাই তার বড় প্রমাণ। গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে, যাতে বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদছে। জনতার সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে সব গুমের রহস্য উদ্ঘাটিত হবে এবং তাঁরা অক্ষত অবস্থায় পরিবারের কাছে ফিরে আসবেন বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন নেতারা।
২০১২ সালের ৩ এপ্রিল ঢাকার উত্তরা থেকে ইফতেখার আহমদ ও তাঁর বন্ধু জুনেদ আহমদ নিখোঁজ হয়েছিলেন। ওই বছর ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে সিলেটে খুন হয়েছিলেন ছাত্রদল নেতা মাহমুদ হোসেন। এরই জের ধরে অনেকটা অন্তরালে ছিলেন ইফতেখার আহমদ। চোখের আড়ালে থাকা অবস্থায় ৩ এপ্রিল তিনি নিখোঁজ হন।
এদিকে ছাত্রদলের দুই নেতার সন্ধান চেয়ে আজ বিকেল সাড়ে চারটায় নগরের হজরত শাহজালাল (র.) মাজার মসজিদে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে জেলা বিএনপি। এতে ‘নিখোঁজ’ বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলী, তাঁর গাড়িচালক আনসার আলীসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের গুম হওয়া নেতা-কর্মীদের সন্ধান কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
মাহফিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমেদ। কর্মসূচিতে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এনামুল হক চৌধুরী, জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ, সাবেক সহসভাপতি শেখ মখন মিয়া, আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য শাহজামাল নুরুল হুদা, মাহবুবুর রব চৌধুরী, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এমদাদ হোসেন চৌধুরী, সৈয়দ মঈন উদ্দিন, আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য ইশতিয়াক আহমদ সিদ্দিকী, আবুল কাশেম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।