জনগণ সরকারকে নিশ্চিন্তে ঘুমাতে দেবে না।: গণতন্ত্র মঞ্চ

জনগণ সরকারকে নিশ্চিন্তে ঘুমাতে দেবে না।: গণতন্ত্র মঞ্চফাইল ছবি

গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেছেন, সরকার রাষ্ট্রীয় সব প্রতিষ্ঠান দখল করে নিজের দলে সম্পত্তি বানিয়ে জনগণের ওপর অত্যাচার করছে। সব জায়গায় হাহাকার। এই সরকার টাকা দিতে পারে না, ডলার দিতে পারে না, গ্যাস দিতে পারে না, বিদ্যুৎ দিতে পারে না, ভোট দিতে পারে না। তারা কিছু দিতে না পারলেও খালি লাঠি দিতে পারে। জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে নামবে, একটু সময় লাগছে। তারা সরকারকে নিশ্চিন্তে ঘুমাতে দেবে না

শুক্রবার পুরানা পল্টনে মেহেরবা প্লাজার সামনে এক সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে নেতারা এসব কথা বলেন। ৭ জানুয়ারির প্রহসনের ‘ডামি’ নির্বাচন বাতিল করে অন্তর্বর্তীকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে পুনরায় নির্বাচনের দাবিতে চলমান আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে বাংলাদেশ সরকার ও পশ্চিমা গণতান্ত্রিক বিশ্বকে ইঙ্গিত করে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ভোটটা হয়ে যাক, সব ঠিক করে নেবেন। সব ঠিক হয়েছে? সব যদি ঠিক হয়, তাহলে জিনিসপত্রের দাম কমাতে পারলেন না কেন?’ বিরোধী দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলে উল্লেখ করেন মাহমুদুর রহমান মান্না।

আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে জনগণ নতুন করে প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে মনে করেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, সরকার রাষ্ট্রীয় সব প্রতিষ্ঠান দখল করে নিজের দলে সম্পত্তি বানিয়ে জনগণের ওপর অত্যাচার করছে। সেই কারণে তারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে নামবে, একটু সময় লাগছে। জনগণ সরকারকে নিশ্চিন্তে ঘুমাতে দেবে না। ক্ষমতা থেকে নামতেই হবে। নতুন নির্বাচন দিতে হবে।

বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদের ৩৪৮ সংসদ সদস্য এখনো বহাল আছে। আর এবারকার ২৯৮ সংসদ সদস্যকেও বহাল রাখা হয়েছে। একসঙ্গে প্রায় সাড়ে ৬০০ সংসদ সদস্য বহাল আছে। কোনো আইন, সংবিধান, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে এই সরকার ধার ধারে না। এই সরকার আগামী পাঁচ বছর টিকতে পারবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আরও বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সহ-সভাপতি সিরাজ মিয়া প্রমুখ।

সমকাল